সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ব্যবসায়ী রাহুল সরকার-(১৬) হত্যা মামলার রহস্য উম্মোচন করেছে পুলিশ। গত ১৪ এপ্রিল রাতে উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়নের বাঘি গ্রামের একটি ডোবা থেকে রাহুল সরকারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত রাহুল বাঘি গ্রামের যোগেন্দ্র সরকারের ছেলে। রাহুল বাঘি বাজারে একটি স্টেশনারী দোকান পরিচালনা করতো।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে গত শনিবার রাতে নিহত রাহুল সরকারের ভগ্নিপতি প্রহল্লাদ সরকারকে-(৪৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাকে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে রাহুল সরকার হত্যা রহস্য উম্মোচন হয়।
প্রহল্লাদ সরকার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের মৃত রাজ গোবিন্দ সরকারের ছেলে। তিনি বাঘী গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করতেন।
গত শনিবার রাতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পাঠানো প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৩ এপ্রিল রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হন রাহুল সরকার। নিখোঁজের পর সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে রাহুলের দোকানের কাছাকাছি একটি ডোবায় তার লাশ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় রাহুলের সরকারের মামা দ্বীজেন্দ্র বিশ্বাস বাদী হয়ে থানায় এরকটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পরপরই তদন্তে নামে পুলিশ। গত শনিবার মধ্যরাতে সন্দেহভাজন রাহুলের আপন ভগ্নিপতি প্রহল্লাদ সরকারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদে প্রহল্লাদ খুনের কথা স্বীকার করে এই হত্যাকাণ্ডে আরো দুইজন জড়িত থাকার কথা জানায়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রহল্লাদ সরকার জানায়, তিনি কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরবে সজিব ব্রিকস ফিল্ডে (ইটভাটা) কাজ করেন। ঘটনার আনুমানিক ১৫/২০ দিন আগে ইটভাটা থেকে বাড়িতে আসেন তিনি।
ঘটনার চার দিন আগে প্রহল্লাদ সরকার তার শ্যালক রাহুল সরকারের কাছে দুই হাজার টাকা ধার চায়। রাহুল টাকা না দিয়ে প্রহল্লাদ সরকারকে গালি-গালাজ করে। এতে প্রহল্লাদ ক্ষুব্ধ হন। কিছুদিন পর স্থানীয় আরো দুইজনের সাথে যোগাযোগ করে।
পরে তিনজনে মিলে রাহুলকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়। ১৩ এপ্রিল রাত ১১টায় রাহুল দোকান বন্ধ করে বাড়িতে যাওয়ার সময় তিনজন মিলে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ একটি ডোবায় ফেলে রেখে চলে যায়।
এ ব্যাপারে নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজিদুর রহমান জানান, গ্রেপ্তারকৃত প্রহল্লাদ সরকার আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি বলেন, বাকী আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ###
Leave a Reply