botvনিউজ:
যৌন নিপীড়নের প্রতিবাদ করায় ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে “বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন স্টুডেন্ট উইং ব্রাহ্মণবাড়িয়া” নামের একটি সংগঠনের উদ্যোগে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন, সোহান মাহমুদ, সুমাইয়া আক্তার প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, একজন শিক্ষকের কাছে যদি শিক্ষার্থীরা নিরাপদ না থাকে তাহলে কেউ নিরাপদ থাকতে পারবে না। বক্তারা নুসরাত হত্যায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
মানববন্ধনে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। শিক্ষার্থীদের সবার হাতে ছিল ‘বোন নুসরাত হত্যার বিচার চাই’ ‘যৌন নিপীড়নমুক্ত শিক্ষাঙ্গণ চাই’ ‘নারীকে নারী নয়, নারীকে মানুষ ভাবুন’ সহ নানা শ্লোগানযুক্ত প্ল্যাকার্ড।
এদিকে মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে গত শুক্রবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করে উদীচী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা।
উল্লেখ্য, গত ২৭ মার্চ নুসরাত জাহান রাফিকে নিজ কক্ষে নিয়ে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় রাফির মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলাও দায়ের করেন। গত ৬ এপ্রিল সকালে নুসরাত চলমান আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় যায়। এ সময় মাদরাসার এক ছাত্রী তাঁর বান্ধবী নিশাতকে ছাদের উপর কেউ মারধর করছে- এমন সংবাদ দিলে নুসরাত ওই বিল্ডিংয়ের চার তলায় যান।
সেখানে মুখোশ পরা চার-পাঁচজন তাঁকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়। নুসরাত অস্বীকৃতি জানালে তারা তাঁর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। ঘটনার চারদিন পর গত বুধবার (১০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় নুসরাত।
###
Leave a Reply