আগামীকাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস নদীতে নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতা

 

botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আজ শনিবার তিতাস নদীতে ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। আজ দুপুর ২টা থেকে পৌর এলাকার শিমরাইলকান্দি শ্মশানঘাট থেকে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে পৌর এলাকার মেড্ডা কালাগাজীর মাজার পর্যন্ত গিয়ে শেষ হবে।

দুপুর দুইটায় প্রধান অতিথি থেকে তিতাস নদীর শিমরাইল কান্দি শ্মশানঘাটে নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতার উদ্বোধন করবেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ফজিলাতুন নেসা বাপ্পি, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন একাডেমীর রেক্টর (ভারপ্রাপ্ত সচিব) মোঃ মোশারফ হোসেন, পুলিশ সুপার মোঃ আনোয়ার হোসেন খান, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ তৌফিকুর রহমান তপু, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার। নৌকা বাইচে জেলার বিভিন্ন এলাকার ১০টি নৌকা অংশ গ্রহণ করবে বলে জানা গেছে। তবে শেষ সময়ে প্রতিযোগী নৌকার সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে নৌকা বাইচকে সফলে ব্যাপক প্রস্ততি গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন। শহরের গুরুত্বপূর্ন স্থানগুলোতে বিলবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। শহর ও আশপাশ এলাকায় ব্যাপক পোষ্টারিং ও মাইকিং করা হয়েছে। তিতাস নদীকে (প্রতিযোগীতার স্থল) পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে।

এদিকে নৌকা বাইচ সফলে সাংবাদিকদের সহযোগীতা কামনা করেছেন জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান। গত বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই সহযোগীতা কামনা করেন। প্রেসক্লাব সভাপতি খ.আ.ম. রশিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান বলেন, হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতির ইতিহাসে নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতা লক্ষ মানুষের অন্যতম আনন্দ উৎসব। সারা বছর মানুষ ব্যাকুলভাবে নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতার জন্য অপেক্ষা করে। তিনি বলেন, এবারের প্রতিযোগীতায় ১০/১১টি নৌকা অংশ গ্রহণ করবে। আইনশৃংখলা নিয়ন্ত্রনে পুলিশের একাধিক টীম কাজ করবে। প্রতিযোগীতার দিন সিভিল সার্জনের মেডিকেল টিম, ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরী দল থাকবে। কোন অবস্থাতেই প্রতিযোগীতার স্থলে প্রশাসনের অনুমতি ব্যতীত কোন নৌকা প্রবেশ করতে দেওয়া হবেনা। তিনি নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতা সফল করতে সাংবাদিকদের সহযোগীতা কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য দীর্ঘদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতা বন্ধ ছিল। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত কয়েক বছর ধরে নিয়মিতভাবেই নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শহরে বিনোদনের তেমন কোনো জায়গা না থাকায় নৌকাবাইচকে ঘিরে ইতোমধ্যেই শহরবাসীর মধ্যে উৎসব আমেজের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতি বছরই নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতা দেখতে তিতাস নদীর দুই তীরে লাখো মানুষ ভিড় জমান।
###

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরো খবর

ফেসবুকে আমরা..