ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পথ শিশু ও দরিদ্র শিশুদের মধ্যে স্বপ্নের দোকানের বিনামূল্যে ঈদ পোশাক বিতরন

botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হত দরিদ্র শিশুদেরকে নিজের পছন্দমতো জামা নেয়ার সুযোগ দিয়েছে ‘স্বপ্নের দোকান।’ গতকাল শনিবার সকালে এলাকার কিছু উদ্যমী ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে এই দোকান নিয়ে বসে। এ সময় অর্ধশতাধিক শিশু দোকান থেকে বিনামূল্যে তাদের পছন্দ মতো জামা-কাপড় নিয়ে যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একবার একটা ঝকমকে শো-রুমের কাচের দেয়ালের বাইরে দাঁড়িয়ে দু’জন সুবিধাবঞ্চিত ভাইবোনকে মিথ্যামিথ্যি ঈদ শপিংয়ের অভিনয় করতে দেখেছিলেন ঢাকার নাঈম অঙ্কন। সেখানে বড়বোন দোকানি, আর ছোট ভাইটা কাস্টমার সেজেছিল।

শো-রুমের কাচের দেয়ালের বাইরে থেকে ইশারায় একটা জামা পছন্দ করেছিল ছোট ভাইটা। বড়বোনও তখন ইশারায় ঈদের জামাটা ছোট ভাইকে ভাঁজ করে প্যাকেট করে দেয়। ওদের এ করুণ অভিনয় শেষ হলে বড়বোনটা হাসিমুখে ছোট ভাইয়ের হাত ধরে রাস্তায় পড়ে থাকা বোতল কুড়াতে কুড়াতে চলে যায়। ওদের এ মিথ্যা অভিনয়, নাঈম অঙ্কনের মনে দাগ কাটে। সেখান থেকেই স্বপ্নের দোকানের আইডিয়াটা মাথায় আসে নাঈম অঙ্কনের।

২০১৭ সালে নাঈম অঙ্কন তার বোন রোকাইয়া এবং বন্ধু ঈশিতা রশিদকে সাথে নিয়ে প্রথম স্বপ্নের দোকান পরিচালনা করে ধানমণ্ডি এলাকার ফুটপাতে। এ বছর তারা ডেভেলপমেন্ট ফর পিস ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ঢাকার মিরপুর, উত্তরা, মোহাম্মদপুর, ধানমণ্ডি, বাড্ডা, যাত্রাবাড়ী, শনির আখড়া ছাড়াও চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশব্যাপী মোট ১২টি শাখায় স্বপ্নের দোকান পরিচালনা করেন।

জান্নাত রায়হানা, তৌহিদা তন্নী ও সাব্বির ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের ২নং প¬াট ফরমে স্বপ্নের দোকান পরিচালনা করেন। তাদের দোকান থেকে পথ শিশু ও হতদরিদ্র শিশুরা ৫০টির বেশি ঈদ পোষাক পছন্দ করে নিয়ে যান।

এ সময় উপস্থিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ সোপানুল ইসলাম বলেন, ‘এ ধরণের বেশিরভাগ উদ্যোগেই কোনো না কোনো স্বার্থ থাকে। কিন্তু এ উদ্যোক্তাদের বেলায় খুবই ব্যতিক্রম দেখছি।
###

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরো খবর

ফেসবুকে আমরা..