স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আর্ন্তজাতিক সমর্থন আদায়ের লক্ষে হাঙ্গেরীর রাজধানী বুদাপেষ্টে অনুষ্ঠিত বিশ্ব শান্তি সম্মেলনে বিশ্ব জনমত সৃষ্টির লক্ষ্যে যোগদানকারী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার দেওয়ান বাড়ির সন্তান, ন্যাপ নেতা অ্যাডভোকেট দেওয়ান মাহবুব আলী কুতুব মিয়ার ৫০তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আজ সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম অডিটোরিয়ামে নাগরিক শোকসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মাহবুব আলী স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে নাগরিক শোকসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। নাগরিক শোক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর।

দেওয়ান মাহবুব আলী স্মৃতি পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুর রাশেদের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক শরীফ উদ্দিনের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠিত শোক সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, সরাইল সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ মৃধা আহমাদুল কামাল।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন দেওয়ান মাহবুব আলী স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান রওশন আরা লাকী।
বক্তব্য রাখেন সরাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি আইয়ুব খান, সরাইল উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ শফিকুর রহমান, সরাইল মহিলা কলেজের প্রভাষক সাংবাদিক মাহবুব খান, ত্রিতাল সংগীতের অধ্যক্ষ সঞ্জীব কুমার দেবনাথ, উপজেলা ন্যাপ সভাপতি দেবদাস রায়, উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু আহম্মদ মৃধা প্রমুখ।

শোক সভায় বক্তাদের দাবির প্রেক্ষিতে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর দেওয়ান মাহবুব আলীর নামে একটি সড়কের নামকরণ সহ তার একটি ম্যুরাল ও একটি দৃষ্টিনন্দিত তোরণ নির্মানের ঘোষণা দেন।

উল্লেখ্য ন্যাপের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি দেওয়ান মাহবুব আলী ৫৪ সালে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি আদমজী জুটমিলের শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বজনমত গঠনের লক্ষে তিনি হাঙ্গেরীর রাজধানী বুদাপেষ্টে অনুষ্ঠিত বিশ্ব শান্তি সম্মেলনে যোগদান করেন। ৭১ সালের ৪ জুন বিশ্ব শান্তি সম্মেলন থেকে ফেরার পথে দিল্লী বিমানবন্দরে আকস্মিক মৃত্যুবরণ করেন।

দেওয়ান মাহবুব আলীর ৫০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সরাইলে নাগরিক শোক সভা অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে বোনের বাড়িতে পাভেল মিয়া (২২) নামের এক ভাই ফাঁসিতে ঝুঁলে আত্মহত্যা করেছেন। গতকাল (২ জুন) দুপুরের উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের দেওবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আজ দুপুরে সরাইল পুলিশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে নিহতের লাশ হস্তান্তর করেন। নিহত পাভেল সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের ভাটপাড়া গ্রামের আলামিন মিয়ার ছেলে।

জানাগেছে, বুধবার দুপুরে দিকে বোনের বাড়িতে পাকা ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় কাপড় পেচিয়ে ফাঁসিতে ঝুঁলে পাভেল আত্মহত্যা করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন।

সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. আসলাম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, প্রেম সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পাভেল আত্মহত্যা করেছে।

তিনি জানান, পাভেল গত পাঁচ মাস যাবত বোনের বাড়িতে থাকতেন। তার বোনের জামাইয়ের বাড়ির কাজ চলছিল। ওইখানে সে রাজমিস্ত্রীর কাজ করতেন। গতকাল দুপুরে কারও সাথে মোবাইলে কথা বলার পর ফাঁসিতে ঝুঁলে আত্মহত্যা করেন। পরে তার বোন তা দেখে সবাইকে জানালে দরজা খুলে দেখেন পাভেলের লাশ ঝুলছে। এব্যাপারে সরাইল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে৷

সরাইলে বোনের বাড়িতে ভাইয়ের আত্মহত্যা


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, সরাইল প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য, বিশিষ্ট কলামিষ্ট অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা ও দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার সরাইল প্রতিনিধি মোহাম্মদ বদর উদ্দিনের রোগমুক্তি কামনায় দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ সন্ধ্যায় প্রেসক্লাব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দোয়ার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি জুলকার নাঈন, যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ কামরূজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মো. ইব্রাহিম, সাহিত্য সম্পাদক মো. জহিরুল ইসলাম রিপন, দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ মাসুদ, কার্যনির্বাহী সদস্য সুলতানা জেসমিন মুসা ও সাংবাদিক দীপক কুমার দেবনাথ।

অ্যাডভোকেট মৃধা ও সাংবাদিক বদর উদ্দিনের রোগমুক্তি কামনায় সরাইল প্রেসক্লাবের দোয়ার মাহফিল

২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও তান্ডবলীলা চালায়। সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরীতে পরিনত করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ আভিযানিক টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত
ইসলাম কর্তৃক বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের তান্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘন্টায় সর্বমোট ০৭ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়। উল্লেখ্য হেফাজতের তান্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯ টি, আশুগঞ্জ থানায় ০৪ টি ও সরাইল থানায় ০২ টিসহ সর্বমোট ৫৫টি মামলা রুজু হয়েছে। এসকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে। এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ৫১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

 

প্রেস রিলিজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবে অগ্নিসংযোগ ও তান্ডবে জড়িত আরও ০৭ জন গ্রেফতার


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে “সেলুন ভিত্তিক পাঠাগার” উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বেলা ১১ টায় সরাইল উপজেলার অরুয়াইল বাজারের নুকুল হেয়ার কাটিং সেলুনে ফিতা কেটে পাঠাগারটি উদ্বোধন উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য ও অরুয়াইল প্রেস ক্লাবের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সাহের উদ্দিন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন অরুয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজি মোঃ আবু তালেব, সাধারণ স¤পাদক অ্যাডভোকেট গাজী মোঃ শফিক, অরুয়াইল প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি প্রফেসর মোঃ এলাই মিয়া, সাধারণ সম্পাদক এম. মনসুর আলী, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোঃ আসিফ ইকবাল খোকন, সরাইল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আখতার হোসেন, অরুয়াইল ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক মোঃ বোরহান উদ্দিন, শিক্ষক গোপাল চন্দ্র গোপ, ইসমাইল মিয়া, জহরলাল সূত্রধর, খোকন বিশ্বাস, সুজন বিশ্বাস এবং “ সেলুন ভিত্তিক পাঠাগার” এর উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা হারুন-অর-রশীদ ।

সেলুন ভিত্তিক পাঠাগারের কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত সুধীজনরা বলেন, মাদকমুক্ত ও আলোকিত সমাজ বিনির্মাণে পাঠাগার আন্দোলন ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

পাঠাগারের উদ্যোক্তা, প্রতিশ্রুতিশীল লেখক ও বিশিষ্ট ব্যাংকার হারুন অর রশীদ জানান, ঢাকার নবাবগঞ্জে সেলুন ভিত্তিক পাঠাগার উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রমের যাত্রা শুরু। পর্যায়ক্রমে ৬৪ জেলায় এ ধরণের ৬৪ টি পাঠাগার স্থাপন করা হবে।
সেলুন ভিত্তিক পাঠাগার আন্দোলনের উদ্যোক্তা বইপ্রেমী হারুন অর রশীদ কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার গোবরিয়া আবদুল্লাহ পুরের আসাদুল্লাহ মাস্টারের ছেলে ।

সরাইলে সেলুন ভিত্তিক পাঠাগার উদ্বোধন


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে বাবাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে নোমান মিয়া-(২২) নামে এক মাদকাসক্ত ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল (২৫ মে) রাতে এলাকাবাসী নোমানকে আটক করে পুলিশের কাছে তুলে দেয়। এ ঘটনায় নোমানের মাতা হনুফা বেগম বাদি হয়ে মঙ্গলবার সকালে সরাইল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃত নোমান মিয়া সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের কালীশিমুল গ্রামের আবদুল জাহেরের ছেলে।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, নোমান মিয়া গত তিন-চার বছর ধরে নিয়মিত মাদক সেবন করে আসছে। নেশার টাকার জন্য নোমান প্রায়ই পরিবারের সদস্যদেরকে শারিরীক নির্যাতন করতো।
গত সোমবার রাতে নোমান নেশার টাকার জন্য তার বাবাকে চাপ দেয়। বাবা আবদুল জাহের টাকা দিকে অপারগতা প্রকাশ করায় বাবাকে উপর্যপুরি ছুরিকাঘাত করে।
আবদুল জাহেরের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর বাম হাতে ২২ টি সেলাই দেয়া হয়। রাতেই গ্রামবাসী মাদকাসক্ত নোমানকে আটক করে পুলিশের কাছে তুলে দেয়।
এ ব্যাপারে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

বাবাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার চেষ্টা সরাইলে মাদকাসক্ত ছেলে গ্রেপ্তার


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ৯০ লিটার চোলাই মদসহ তিন মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার দুপুরে উপজেলার কালিকচ্ছের ঋষি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান চোলাই মদ, চোলাই মদ তৈরীর সরঞ্জামসহ তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, কস্তরি রবি দাস-(৫০), তার স্ত্রী অঞ্জনা রবি দাস-(৩৫) ও মেয়ে চম্পা রবি দাসক-(১৮)। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পরে অন্যান্য মাদক কারবারিরা পালিয়ে যায়।

এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘ প্রায় ৫০ বছর ধরে কালীকচ্ছের ঋষি বাড়িতে চোলাই মদ তৈরী ও বিক্রি করা হচ্ছে। মাঝে মধ্যে পুলিশ অভিযানও পরিচালনা করে। কিন্তু বন্ধ নেই চোলাই মদের কারবার। এখান থেকে সরাইলসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকার লোকেরা পাইকারীভাবে চোলাই মদ কিনে গন্তব্যে নিয়ে যান।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ

দুপুর ১টায় সরাইল থানার এস.আই বিল্লাল হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। দুইঘন্টাব্যাপী অভিযানকালে ঋষি বাড়ির মাটির নীচ থেকে মদ তৈরীর সরঞ্জাম, কন্টিনসহ ৯০ শত লিটার মদ উদ্ধার করা হয়।

এ ব্যাপারে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন বলেন, মাদকের বিষয়ে আমরা জিরো টলারেন্স। তিনি ৯০ লিটার চোলাই মদসহ তিনজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কোন মাদক ব্যবসায়ীকে ছাড় দেয়া হবে না। সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।

সরাইলে তিন মাদক কারবারি গ্রেপ্তার

২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও তান্ডবলীলা চালায়। সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরীতে পরিনত করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ আভিযানিক টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত
ইসলাম কর্তৃক বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের তান্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘন্টায় সর্বমোট ০৪ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়। উল্লেখ্য হেফাজতের তান্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯ টি, আশুগঞ্জ থানায় ০৪ টি ও সরাইল থানায় ০২ টিসহ সর্বমোট ৫৫টি মামলা রুজু হয়েছে। এসকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে। এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ৪৮৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রেস রিলিজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবে অগ্নিসংযোগ ও তান্ডবে জড়িত আরও ০৪ জন গ্রেফতার


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
দৈনিক প্রথম আলোর সিনিয়র সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে আটকে রেখে হেনস্তা, মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদ ও তাঁর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সরাইল প্রেসক্লাবের উদ্যোগে স্থানীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন চলাকালে প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ আইয়ুব খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুব খান বাবুলের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা।
বক্তব্য রাখেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মোঃ আনোয়ার হোসেন, সংস্কৃতি ব্যক্তিত্ব অধ্যক্ষ সঞ্জীব কুমার দেবনাথ, উপজেলা কমিউনিষ্ট পার্টির সভাপতি দেবদাস সিংহ রায়, ব্যবসায়ী ফয়সাল আহমেদ মৃধা দুলাল, সাংবাদিক জুলকার নাঈন, সৈয়দ কামরুজ্জামান ইউসুফ, শেখ মোঃ ইব্রাহিম, মোঃ জহিরুল ইসলাম রিপন, মোহাম্মদ মাসুদ, মোহাম্মদ বদর উদ্দিন, মোঃ সিরাজুল ইসলাম, মোঃ শাহাগীর মৃধা, মো. জাকির হোসাইন, ফকির হাকিম ও আব্দুল মোমিন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শুধুমাত্র স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে ধারাবাহিক প্রতিবেদন করায় ক্ষুদ্ধ হয়ে সাংবাদিক রোজিনাকে দীর্ঘ সময় আটকে রেখে শারিরীক নির্যাতন করেছেন যুগ্ম সচিব জেবুন্নেছার নেতৃত্বে সেখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারিরা। তারা হত্যার উদ্দেশ্যে রোজিনার গলায় চেপে ধরে। পরে রোজিনার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে।
বক্তারা বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক, সচিব মোঃ লোকমান হোসেন মিয়া ও যুগ্ম সচিব কাজী জেবুন্নেছা রোজিনাকে হত্যা চেষ্টার মাধ্যমে সাংবাদিকদের সরকারের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছেন।
বক্তারা অবিলম্বে রোজিনার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করে ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান।

সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে সরাইলে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও অধুনাবিলুপ্ত বিলুপ্ত জাতীয় দৈনিক আজকের কাগজ পত্রিকার সরাইল উপজেলা প্রতিনিধি তারিকুল ইসলাম দুলাল নিখোঁজ হওয়ার একদিন পরেও তাকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
গত সোমবার বিকেল তিনটায় তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পাইকপাড়ার বাসা থেকে সরাইলের উদ্দেশ্যে বের হন। আর বাসায় ফেরেননি। রাত ১টার পর থেকে তার মোবাইল ফোনটিও বন্ধ রয়েছে। এ ঘটনায় সাংবাদিক দুলালের স্ত্রী হোসনাহার বেগম আজ মঙ্গলবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

পারিবারিক সূত্র ও থানায় দায়েরকৃত জিডি থেকে জানা গেছে, তারিকুল ইসলাম দুলাল সরাইল উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তিনি অধুনালুপ্ত জাতীয় দৈনিক আজকের কাগজ পত্রিকার সরাইল উপজেলা প্রতিনিধি ছিলেন। পত্রিকাটি বন্ধ হয়ে গেলে তিনি একটি অনলাইন পোর্টালে কাজ করেন। এছাড়া তিনি একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সত্বাধিকারী। গত সোমবার বিকেল তিনটার দিকে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের পূর্বপাইকপাড়ার বাসা থেকে সরাইলের উদ্দেশ্য বের হন। আর বাসায় ফিরেননি।

তারিকুল ইসলামের বড় ভাই এম এম মুসা বলেন, বাসা থেকে বের হওয়ার সময় দুলালের কাছে ৩০ হাজার টাকা ও দুটি মোবাইল ফোনসেট ছিল। সোমবার রাত একটা পর্যন্ত তাঁর একটি মোবাইল ফোন সচল ছিল।
এদিকে সাংবাদিক দুলাল নিখোঁজের ঘটনায় মঙ্গলবার বিকেলে সরাইল প্রেসক্লাব জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দুলালকে দ্রƒত উদ্ধারের ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কাছে দাবি জানান সাংবাদিকরা।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ শাহজাহান বলেন, এ ঘটনায় সাংবাদিক দুলালের স্ত্রী থানায় জিডি করেছেন। আমরা তাকে উদ্ধারের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছি।

উদ্ধার হয়নি সরাইলের সাংবাদিক দুলাল

ফেসবুকে আমরা..