প্রেস রিলিজ
ডিবি পুলিশ কর্তৃক ১০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ ২ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ আনিসুর রহমানের
নির্দেশনায় এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন,
পিপিএম-সেবা (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে
৩১/০৫/২০২০ ইং তারিখ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গোয়েন্দা শাখার, অফিসার ইনচার্জ
জনাব আমিনুর রশিদ এর নেতৃত্বে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)’র একটি টিম গোপন
সংবাদের ভিত্তিতে  ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানাধীন কসবা পৌরসভাস্থ
টিআলী বাড়ীর মোড়ের দক্ষিণ পার্শ্বে পাকা রাস্তার উপর হইতে রাত্র ২২.৩৫
ঘটিকার সময় ১০০ (একশত) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ আসামী ১। মোঃ হাসেন মিয়া
(৩৮) পিতা-মৃত হেকিম, ২। মোঃ শাহাব উদ্দিন (২৩) পিতা-মিলন মিয়া, উভয়
সাং-শাহপুর (পূর্বপাড়া) ওয়ার্ড নং-০২, কসবা, পৌরসভা, থানা-কসবা,
জেলা-ব্রাহ্মষণবাড়িয়াদ্বয়কে কে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের
বিরুদ্ধে কসবা থানায় প্রচলিত ধারায় মামলা রুজু করা হইয়াছে।

১০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ ২ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কর্মহীন শতাধিক ব্রাহ্মণ পুরোহিতের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে শহরের কেন্দ্রীয় মন্দির শ্রীশ্রী আনন্দময়ী কালিমন্দির প্রাঙ্গণে চেয়ারে বসিয়ে পুরোহিতদের মাঝে এইসব ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করাহয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান।
প্রধান অতিথির বক্ত্যবে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান বলেন, সারা বিশ্ব এখন কঠিন সময় পার করছে। এতে করে জীবন জীবিকা সংকটাপন্ন হয়ে পড়েছে। মন্দিরেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হচ্ছে। যার কারণে পুরোহিতদেরও অসুবিধা হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সবদিকেই খোঁজ খবর রাখছেন। তিনি প্রত্যেকের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য সহ সহায়তা নিশ্চিত করেছেন। সমাজের সর্বশ্রেণী পেশার মানুষের মাঝে সে খাদ্য পৌছে দেয়া হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে আজকে পুরোহিতদের মাঝে এই ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।

এসময় অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, সদর উপজেলার নিবার্হী কর্মকতা পঙ্কজ বড়ুয়া, শ্রীশ্রী আনন্দময়ী কালি মন্দিরের ট্রাষ্টি কমিটির সভাপতি প্রানতোষ চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব দীপক চৌধুরী বাপ্পী, প্রেসক্লাবের সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা,
ইলেকট্রনিক মিডিয়া জার্নালিষ্ট এ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক উজ্জল চক্রবর্তী,
ব্রাহ্মণ পুরোহিত কল্যাণ সংঘের সভাপতি হরিশংকর চক্রবর্তী ও ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক প্রবীর আচার্য সহ ব্রাহ্মণ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

###

চেয়ারে বসিয়ে পুরোহিতদের ত্রান দিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা প্রশাসন

প্রেস‌ বিজ্ঞ‌প্তিঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের কুট্টাপাড়া এলাকা থেকে ৪৩ কেজি গাঁজা‘সহ মাদক ব্যবসায়ী সজল মিয়া(৩৮)’কে আটক করেছে র‌্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্প।

১। “বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র‌্যাব যুব সমাজ তথা বাংলাদেশ’কে মাদকের ভয়াল থাবা, সন্ত্রাস, জঙ্গী, ছিনতাই, ডাকাতি, জুয়া, অপহরণ, খুন, ধর্ষণ, অসাধু ডিলার’সহ বিভিন্ন ধরণের অবৈধ কর্মকান্ড থেকে রক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দেশব্যাপী আপোষহীন অবস্থানে থেকে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

২। এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্প গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, একটি মাদক ব্যবসায়ী চক্র নিয়মিত মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানা এলাকা হতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাইকারি/খুচরা বিক্রয় করে থাকে। উক্ত তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য উক্ত মাদক ব্যবসায়ী চক্রের উপর র‌্যাবের নিরবিচ্ছিন্ন গোয়েন্দা নজরদারী চালানো হয় এবং তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায়। জানা যায় অদ্য ১৮/০৫/২০২০ ইং তারিখ রাতে মাদকদ্রব্য গাঁজার একটি বড় চালান ঢাকার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাবে। এরই প্রেক্ষিতে ভৈরব র‌্যাব ক্যাম্পের স্কোয়াড কমান্ডার সিনিয়র সহকারী পরিচালক চন্দন দেবনাথ এর নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল ১৮/০৫/২০২০ ইং তারিখ অনুমান ২১.৪৫ ঘটিকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানাধীন ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কুট্টাপাড়া এলাকায় লাল পাম্পের সামনে রাস্তার উপর অভিযান পরিচালনা করে ১। মোঃ সজল মিয়া (৩৮), পিতা-মৃত আব্দুল গফুর, সাং-লাখাই, থানা-কালোক, জেলা-হবিগঞ্জ, এ/পি-সাং-আশুগঞ্জ পূর্ব বাজার শরীফ মিয়ার বাসা, থানা- আশুগঞ্জ, জেলা- ব্রাহ্মণবাড়িয়া‘কে আটক করা হয়। আটককৃত আসামীর দখল হইতে (ক) ৪৩ কেজি মাদকদ্রব্য গাঁজা, (খ) মাদক বিক্রির নগদ ৭,৬০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত আলামতের আনুমানিক মূল্য ১২,৯৭,৬০০/- টাকা। ধৃত আসামীর বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন।

রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার
সিনিয়র সহকারী পরিচালক
কোম্পানী অধিনায়ক
র‌্যাব-১৪, ভৈরব ক্যাম্প।
মোবাঃ ০১৭৭৭৭১১৪৩৩।

৪৩ কেজি গাঁজা‘সহ মাদক ব্যবসায়ী সজল মিয়া(৩৮)’কে আটক করেছে র‌্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্প।


ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ২৪ ঘন্টা কর্মরত সকল চিকিৎসকদের মাসব্যাপী ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী প্রদান কর্মসূচি হাতে নিয়েছে আল-মদিনা ফার্মাসিউটিক্যালস।

ইতোমধ্যে কোম্পানিটির পক্ষে আজ শনিবার থেকে এসব সামগ্রী বিতরণ শুরু করা হয়েছে।

কর্মসূচীর প্রথম দিনে কোম্পানির আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আজহার উদ্দিন ২৫০-শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. শওকত হোসেনের কাছে সামগ্রী তুলে দেন। এছাড়া জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক ফায়েজুর রহমান ও জয়নাল আবেদীনের কাছেও সুরক্ষা সামগ্রী তুলে দেয়া হয়।

 

কোম্পানির আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আজহার উদ্দিন জানান, প্রতিদিন আট ঘন্টা করে পালাক্রমে তিনজন চিকিৎসক জরুরি বিভাগে সেবা প্রদানে নিয়োজিত থাকেন। করোনাভাইরাসের এই সংকটকালে মাসব্যাপী এসব চিকিৎসকদের প্রতিদিন ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী দিবে কোম্পানি।

চিকিৎসকদেরকে দেয়া সুরক্ষা সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে- এন-৯৫ মাস্ক, সার্জিকেল মাস্ক, হাতের গ্লাভস, মপ ক্যাপ, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, সু কাভার।

সুরক্ষা সামগ্রী হাতে পেয়ে ডা. ফায়েজুর রহমান বলেন, ইমার্জেন্সির ডাক্তাররা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। এসব ডাক্তারদের প্রতিদিন ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী প্রদান সত্যিকার অর্থেই প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এমন মহৎ কাজটি ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে একমাত্র আল-মদিনা ফার্মাসিউটিক্যালসই করে যাচ্ছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. শওকত হোসেন বলেন, এর আগেও আল-মদিনা ফার্মাসিউটিক্যালস কর্তৃপক্ষ হাসপাতালে কর্মরত সকল চিকিৎসকদের পিপিইসহ যাবতীয় নিরাপত্তা সামগ্রী প্রদান করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এবার মাসব্যাপী কর্মসূচীর আওতায় প্রতিদিন সামগ্রী দিয়ে কোম্পানিটি বিশেষ মানবিকতার প্রমান দিয়েছে, যা অন্য কোন বেসরকারি ওষুধ উৎপাদনকারি কোম্পানি করেনি।

উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণ শুরুর দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত সকল সাংবাদিক ও চিকিৎসকদেরকে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী ও ওষুধ প্রদান করেছিল আল-মদিনা ফার্মাসিউটিক্যালস।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চিকিৎসকদের মাসব্যাপী সুরক্ষা সামগ্রী দিবে আল-মদিনা ফার্মাসিউটিক্যালস

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংকট মোকাবেলায় অস্বচ্ছল ও কর্মহীন হয়ে পড়া শিল্পীদের পাশে দাঁড়িয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমি। করোনা ও লকডাউনের কারণে সংকটে থাকা জেলা শহরের অর্ধশত বাউলশিল্পী, কণ্ঠশিল্পী, যন্ত্রশিল্পী, আবৃত্তিশিল্পী, নাট্যশিল্পীদের হাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর-৩ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদিরী চৌধুরীর সহায়তায় জেলা শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে একহাজার করে নগদ টাকা ভালোবাসা হিসেবে তুলে দেয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (৩০এপ্রিল) সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে শিল্পী ও শিল্পের প্রতি ভালোবাসা বিনিময় শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার, সাধারণ সম্পাদক এসআরএম উসমান গনি সজিব, যুগ্ম-সম্পাদক মো.মনির হোসেন, আনোয়ার হোসেন সোহেল, কার্যকরী সদস্য বাছির দুলাল।

এ ব্যাপারে জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক এসআরএম উসমান গনি সজিব জানান, জেলা শিল্পকলা একাডেমি নিজস্ব উদ্যোগ নিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্যের সহযোগিতায় কর্মহীন হয়ে পড়া অস্বচ্ছল শিল্পীদের পাশে ভালোবাসার হাত প্রসারিত করার প্রয়াসেই এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা চালিয়েছে। এই দুঃসময়ে শিল্পীদের প্রতি এমন ভালোবাসা দেখানোও জরুরী মনে করেছি।

করোনা সংকটে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিল্পিদের পাশে শিল্পকলা একাডেমী


আকতার হোসেন ভুইয়া,নাসিরনগর

করোনা ভাইরাস সংক্রমণরোধে গোটা উপজেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা অবস্থায়ও একটি সুখবর রয়েছে। আর তা হলো নাসিরনগর জুড়ে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।এখন চলছে ধান কেটে তা ঘরে তুরার পালা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে জাপানের অত্যাধুনিক ধান কাটা মেশিন কম্বাইন্ড হারভেস্টার দিয়ে ধান কাটা কর্মসূচীর উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে নাসিরনগর সদরের কামারগাঁও এলাকায় কম্বাইন্ড হারভেস্টার দ্বারা ধান কাটা কর্মসূচির ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান ডাঃ রাফিউদ্দিন আহমেদ ও উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা নাজমা আশরাফী। এসময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু সাইদ তারেক,কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা চিন্ময় কর অপু,উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা মিজানুর রহমান,এসিআই মটরস লিমিটেডের সিনিয়র সেলস ম্যানেজার আবদুল্লাহ তালুকদারসহ উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন। কামারগাও এলাকায় ধান কাটা ও মাড়াইয়ের যন্ত্র প্রদর্শনীতে কৃষক কম্বাইন্ড হারভেস্টার দিয়ে জমির ধান কেটে ও মাড়াই করে উপস্থিত অতিথি ও কৃষকদের দেখান।

সিলেট অঞ্চলের এসিআই মটরস লিমিটেডের সিনিয়র সেলস ম্যানেজার আবদুল্লাহ তালুকদার জানান; এ মেশিনে ধান কাটা,খর কাটা ও মাড়াই সুবিধা-তিন ধরনের সুবিধা একসাথে পাবে কৃষকরা। এর ফলে কৃষকরা স্বল্প সময়ে কম খরচে তাদের ধান কেটে ঘরে তুলতে পারবেন। জাপানের তৈরি অত্যাধুনিক এই ধান কাটা মেশিনটি গ্রামীণ প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষকরা বেশ উপকৃত হবে। চাষীদের সময়,অর্থ সাশ্রয় ও শারীরিক কষ্ট লাঘব হবে এ মেশিনটি ব্যবহারের মাধ্যমে। এই মেশিন ব্যবহারের মাধ্যমে ধান কাটা ও মাড়াইয়ে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ খরচ খরচ কমানো যায়।এই তিন ধরনের কাজ শ্রমিক দিয়ে করাতে হলে চাষীর খরচ পড়ত দ্বিগুণ।

নাসিরনগরে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন দিয়ে ধান কাটা কর্মসূচীর উদ্বোধন

সোহেল আহাদ/নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিশ্ব বিখ্যাত বরেণ্য ইসলামী চিন্তবিদ ও আলোচক আল্লামা হযরত মাওলানা যুবায়ের আহমদ আনসারীর জানাজায় লাখো মানুষের ঢল নেমেছে। করোনা পরিস্থিতিতে হোম কোয়ারেন্টাইন ও লকডাউন উপেক্ষা করে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখেই লাখো মানুষ তাঁর জানাজায় অংশ নেন।
শুক্রবার বিকাল ৫টা ৪৫ মিনিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের মার্কাসপাড়ায় নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন যুবায়ের আহমেদ আনসারী (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে, চার মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

শনিবার (১৮এপ্রিল) সকাল ১০টায় সরাইল উপজেলার জামিয়া রহমানিয়া বেড়তলা মাদরাসা প্রাঙ্গণে এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তবে জানাজায় অংশ নেয়া লোকদের লোকারণ্যে মাদরাসা মাঠ ছাড়িয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দুই পাশে ছড়িয়ে যায়। একদিকে বিশ্বরোড মোড় হয়ে সরাইলের মোড় পর্যন্ত অন্যদিকে আশুগঞ্জের কাছাকাছি গিয়ে ঠেকে লোকজন। এ ছাড়া ওই এলাকার বিভিন্ন ভবনের ছাদেও মানুষের উপস্থিতি দেখা যায়। সেখানে উপস্থিত কিছু পুলিশ ছিল এক প্রকার নীরব দর্শক।
সরাইল থানার ওসি মো. শাহাদাৎ হোসেন টিটু লাখো মানুষ সমাগমের বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন এসে জানায় শরীক হন। এতো লোকের সমাগম হবে আমরা চিন্তাও করতে পারিনি। লোকজন আসতে শুরু করার পর আমাদের আর কিছু করার ছিল না। তবে বলার পর উপস্থিত লোকজন সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়ান বলে তিনি জানান।

যুবায়ের আহমেদ বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের নায়েবে আমির এবং বেড়তলা মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ছিলেন। এ ছাড়া তিনি একাধিক মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। ইসলামী আলোচক হিসেবে তাঁর খ্যাতি বিশ্বজুড়ে।

যুবায়ের আহমদ আনসারীর জানাজায় লাখো মানুষের ঢল

 

বিশ্বজিৎ পাল বাবু :

দেশের সংবিধান প্রণেতাদের অন্যতম প্রয়াত অ্যাডভোকেট সিরাজুল হকের স্ত্রী এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এম.পি’র মা মুক্তিযোদ্ধা জাহানারা হক (৮৬) শনিবার রাত ৩টা ৪০ মিনিটে ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা গেছেন।
মন্ত্রীর ঘনিষ্টজন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক তাকজিল খলিফা কাজল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ঢাকাতেই তাঁর
লাশ দাফনের কথা রয়েছে বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।
তিন বছরের ব্যবধানে মন্ত্রী তাঁর ভাই, বোনের পর মাকে হারালেন। ২০১৭ সালের ১০ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে একটি হাসপাতালে মন্ত্রীর একমাত্র ছোট ভাই
আরিফুল হক রনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।  মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই পুত্র ও এক কন্যা রেখে গেছেন। মন্ত্রীর বড় বোন সায়মা ইসলাম মারাগেছেন ২০১৮ সালের ১৫ জুলাই ঢাকায় মারা যান। তিনি স্বামী ও এক ছেলে রেখেগেছেন। বিয়ের কিছুদিন পর ১৯৯১ সালের ২ জানুয়ারি সড়ক দুর্ঘটনায় তার স্ত্রী নূর আমাতুল্লাহ্ রিনা হককে হারানা তিনি।  ২০০২ সালের ২৮ অক্টোবর মারা যান বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর আনিসুল হকে বাবা।

আনিসুল হক ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৮ (কসবা-আখাউড়া) আসনের সংসদ সদস্য। ৫ জানুয়ারি ২০১৪ সালের অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ও ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ওই আসন থেকে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

 

তিন বছরের ব্যবধানে মন্ত্রী তাঁর ভাই, বোনের পর মাকে হারালেন

  • সংবাদ বিজ্ঞপ্ত‌ি ঃ

নবীনগর থানাধীন কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান ও সাবেক মেম্বার আবু মিয়া এবং কাউছার মোল্লা ও সাবেক মেম্বার মোছলেম উদ্দিনগং পক্ষদ্বয়ের মধ্যে পূর্ব শত্রুতার জের ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ১২/০৪/২০২০খ্রিঃ সকাল ০৯.৩০ ঘটিকায় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দাঙ্গা-হাঙ্গামায় লিপ্ত হয়। সংবাদ পেয়ে নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ সংগীয় অফিসার ফোর্সসহ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দাঙ্গা-হাঙ্গামায় লিপ্ত লোকজনদের নিবৃত্ত ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করে। উভয় পক্ষের উচ্ছৃঙ্খল লোকজন দাঙ্গা-হাঙ্গামা হতে বিরত না হয়ে তিনটি গ্রামে ব্যাপক এলাকাজুুড়ে প্রতিপক্ষের উপর আক্রমন অব্যাহত রাখে এবং বাড়ি ঘরে আক্রমনসহ অগ্নিসংযোগ করে।

পুলিশ সরকারি জানমাল ও জনগনের জানমাল রক্ষার্থে শর্টগান ও গ্যাসগান নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। দাঙ্গা-হাঙ্গামা চলাকালে কাউছার মোল্লা গ্রুপের লোকজন জিল্লুর রহমান চেয়ারম্যান গ্রুপের জনৈক মোবারক হোসেন (৪৫) পিতা-মধু মিয়া, সাং-উত্তর লক্ষীপুর, থানা-নবীনগর, জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর বাম পায়ের গোড়ালি হতে নীচের অংশটুকু কেটে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে এবং উভয় পক্ষের ৪০ জন সাধারণ ও গুরুতর জখম প্রাপ্ত হয়। উক্ত ঘটনায় নবীনগর থানায় একটি মামলা রুজু করা হয় এবং মামলার মূল আসামী

১। আবু কাউছার মোল্লা (৪৯), পিতা-মৃত ফিরোজ মিয়া, সাং-থানাকান্দি

২। জিল্লুর চেয়ারম্যান (৫১) পিতা-মৃত গোলাম মস্তু বেপারী, সাং-থানাকান্দি, উভয় থানা-নবীনগর, জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়াদ্বয়সহ ৪৫ জন আসামীকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়।

অদ্য ১৫/০৪/২০২০খ্রিঃ তারিখ দুপুর ১৩.০০ ঘটিকায় জনাব মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, পুলিশ সুপার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, জনাব মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন,
পিপিএম-সেবা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) (পদোন্নতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার), ব্রাহ্মণবাড়িয়া, জনাব মোঃ মকবুল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ
সুপার, নবীনগর সার্কেল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, পুলিশ পরিদর্শক(নিরস্ত্র) জনাব মোঃ ইমতিয়াজ আহম্মেদ পিপিএম, ডিআইও-১, জেলা বিশেষ শাখা, অফিসার ইনচার্জ নবীনগর থানা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ আনিসুর রহমান মারামারির ঘটনায় ভিকটিম মৃত মোবারক হোসেন (৪৫) এর স্ত্রী সাজিয়া বেগম ও ছেলে রবিউল হোসেনের সাথে কথা বলেন এবং তিনি বলেন ইতিমধ্যে ঘটনার সহিত জড়িত ব্যক্তিদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার সহিত
জড়িত অন্যান্য অপরাধীদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে। প্রত্যেক অপরাধীকে গ্রেফতার পূর্বক আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা
হবে মর্মে আশ্বাস প্রদান করেন।

নবীনগর মারামারি ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জেলা পুলিশ সুপার

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এক নেতার ছেলের বিরুদ্ধে পিতৃহারা এক তরুণীকে (১৮) জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় মামলা করলে এলাকা ছাড়ার হুমকি দেয়া হয়েছে তরুণীর মাকে। ফলে আতঙ্কে বাসায় তালা দিয়ে অন্যত্র অবস্থান করছেন তিনি। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা এখন টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা শহরের পূর্ব মেড্ডাস্থা বক্ষব্যাধি হাসপাতাল এলাকার এক বাড়ি থেকে ওই তরুণীকে উঠিয়ে নিয়ে যান মাহী নামে এক যুবক। তার বাবা জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা। অস্ত্র দেখিয়ে ফিল্মি স্টাইলে তরুণীকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় মাহীর সঙ্গে আরও কয়েকজন ছিলেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। মুহূর্তেই চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার খবর পৌঁছে যায় আওয়ামী লীগ নেতাদের কানে। শনিবার তরুণীর বাড়িতে গিয়ে ঘর তালাবদ্ধ দেখা গেছে।

ওই তরুণীর এক আত্মীয় জানান, ঘটনার পরপরই তার বোন পৌরসভার সংরক্ষিত কাউন্সিলর হোসনে আরা বাবুলকে নিয়ে ওই নেতার কাছে যান। তখন বিষয়টি তিনি দেখছেন বলে তাদেরকে আশ্বস্ত করেন। কিন্তু ঘটনার তিনদিন পেরিয়ে গেলেও কোনো সুরাহা হয়নি। বরং মামলা না করতে হুমকি দেয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, আওয়ামী লীগের ওই নেতার এক চাচাতো ভাইয়ের মেয়েকে আমাদের এক আত্মীয়ের কাছে বিয়ে দেয়। সেই সুবাধে নেতার ছেলে এখানে আসা-যাওয়া করতো। তবে তার ভাগনির সঙ্গে ওই ছেলের কোনো সম্পর্ক ছিল কি-না সেটি জানেন না তিনি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, একজন সাংবাদিকের কাছ থেকে ঘটনাটি শুনেছি। মেয়েটির পরিবার অথবা এলাকার কারও কাছ থেকে কোনো অভিযোগ পাইনি।
###

ফিল্মি স্টাইলে তরুণীকে তুলে নিলেন আ.লীগ নেতার ছেলে

ফেসবুকে আমরা..