গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও তান্ডবলীলা চালায়। সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরীতে পরিনত করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ আভিযানিক টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত
ইসলাম কর্তৃক বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের তান্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘন্টায় সর্বমোট ০৮ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়। তন্মধ্যে গত ২৬ শে মার্চ হেফাজতের কর্মসূচিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ছবি সম্বলিত ব্যানারে অগ্নি সংযোগকারী মোঃ মাহমুদুল হাসান @ শান্ত এবং ২৮ শে মার্চ হেফাজতের ডাকা হরতাল চলাকালে ঘাটুরা হতে পুলিশ লাইন পর্যন্ত রাস্তায় ব্যারিকেড জ্বালাও পোড়াও করে তান্ডব ও পুলিশ লাইনে আক্রমনে জড়িত ঘাটুরা হরিনাদী জামে মসজিদ এর ইমাম হাফেজ আব্দুর রাকিব’কে গ্রেফতার করা হয়েছে। উল্লেখ্য হেফাজতের তান্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯ টি, আশুগঞ্জ থানায় ০৪ টি ও সরাইল থানায় ০২ টিসহ সর্বমোট ৫৫টি মামলা রুজু হয়েছে। এসকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে। এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ৩৮৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রেজ রিলিজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবে অগ্নিসংযোগ ও তান্ডবে জড়িত আরও ০৮ জন গ্রেফতার

২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও তান্ডবলীলা চালায়। সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরীতে পরিনত করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ আভিযানিক টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত
ইসলাম কর্তৃক বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের তান্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘন্টায় সর্বমোট ০৬ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়। তন্মধ্যে গত ২৮ শে মার্চ হেফাজতের ডাকা হরতাল চলাকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানাধীন টিএ রোড এলাকায় তান্ডবে জড়িত সাদেকপুর ইউনিয়ন ছাত্র ওলামা ঐক্য পরিষদের সেক্রেটারী, ক্বারী মোঃ মোজাম্মেল হক এবং আশুগঞ্জ থানাধীন ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ ও টায়ারে আগুন দিয়ে পিকেটিং এ জড়িত আশুগঞ্জ উপজেলার হেফাজত ইসলাম ও  ইমাম পরিষদ সেক্রেটারী, মাওলানা মুফতি ওবায়দুল্লাহ’কে গ্রেফতার করা হয়েছে। উল্লেখ্য হেফাজতের তান্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯ টি, আশুগঞ্জ থানায় ০৪ টি ও সরাইল থানায় ০২ টিসহ সর্বমোট ৫৫টি মামলা রুজু হয়েছে। এসকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে। এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ৩৭৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রেস রিলিস

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবে অগ্নিসংযোগ ও তান্ডবে জড়িত আরও ০৬ জন গ্রেফতার


ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডব চলাকালে শহরজুড়ে ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিকান্ডের ঘটনায় হেফাজতে ইসলামের জেলা শাখার সহকারি প্রচার সম্পাদক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়ার শিক্ষক মুফতি জাকারিয়া খান-(৪৩)সহ আরো ১০জনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

গত রোববার রাতে জেলা শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্ত মঞ্চের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই রাতে পুলিশ বিভিন্ন এলাকা থেকে আরো ৯জনকে গ্রেপ্তার করে। এনিয়ে জেলায় হেফাজতের তান্ডবের ঘটনায় ৩৬৯জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোঃ রইছ উদ্দিন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার রাতে মুফতি জাকারিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি গত ২৬ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত চালানো তান্ডবের ঘটনায় সম্পৃক্ত ছিলেন।
এদিকে গতকাল সোমবার জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা থেকে পাঠানো প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত মুফতি জাকারিয়া খান জানান, গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে সরকার উৎখাতের সূদুরপ্রসারি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসাসহ আশপাশের বিভিন্ন মাদরাসার শিক্ষক-ছাত্রদের নিয়ে ব্যাপক তান্ডবলীলা চালায়। মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষকদের নির্দেশে মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকগন জেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় ভাংচুরও অগ্নিসংযোগসহ ব্যাপক তান্ডব চালায়।

প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, তান্ডবের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন থানায় এ পর্যন্ত  ৫৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯টি, আশুগঞ্জ থানায় ৪টি, সরাইল থানায় ২টি এবং আখাউড়া রেলওয়ে থানায় ১টি মামলা দায়ের করা হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

হেফাজতের প্রচার সম্পাদকসহ গ্রেপ্তার-১০

২৫/০৪/২০২১ খ্রিঃ তারিখ রাত অনুমান ০১.৩০ ঘটিকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর মডেল থানাধীন উত্তর শেরপুর এলাকা হতে  তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ১। মোঃ বিল্লাল মিয়া (৩৮), পিতা-মোঃ ইব্রাহীম মিয়া, সাং-উত্তর শেরপুর, থানা ও জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ২। মোঃ ফাহিম (২৫), পিতা-মৃত সঞ্জব আলী, সাং-বামই কাটিয়ারা, থানা-নাকাই, জেলা-হবিগঞ্জ, বর্তমান ঠিকানা-উত্তর শেরপুর, মাহবুব মিয়ার বাড়ীর ভাড়াটিয়া, থানা ও জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

র‌্যাবের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৬ মার্চ মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তিতে দেশব্যাপী অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় দুস্কৃতিকারীরা অরাজকতা সৃষ্টি করে ধ্বংসযজ্ঞ এবং নাশকতা চালায়। তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভাংচুরের মাধ্যমে জাতির পিতাসহ সমগ্র বাঙালি জাতিকে অবমূল্যায়ন করে। হামলাকারীর ছবি ও ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

হেফাজতের তান্ডবের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই নাশকতা সৃষ্টিকারীদের আটক করেছে র‌্যাব-১৪

গত ২৮ শে মার্চ হেফাজতের ডাকা হরতাল চলাকালে স্থানীয় মসজিদের মাইকে গুজব ছড়িয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘাটুরা থেকে নন্দনপুর এলাকায় ব্যাপক ভাংচুরসহ তান্ডব চালানোর অভিযোগে ঘাটুরা বঙ্গবন্ধু হাই স্কুল জামে মসজিদের পেশ ইমাম হেফাজত নেতা মাওলানা দেলোয়ার হোসেন @ বেলালি ও ঘাটুরা হরিনাদি জামে মসজিদের পেশ ইমাম হেফাজত নেতা মাওলানা ইকবাল হোসেন’কে গ্রেফতার করা হয়।

এছাড়াও গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও তান্ডবলীলা চালায়। সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরীতে পরিনত করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ আভিযানিক টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে
মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের তান্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘন্টায় ০৬ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে। উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের
প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়। উল্লেখ্য হেফাজতের তান্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯ টি, আশুগঞ্জ থানায় ০৪ টি ও সরাইল থানায় ০২ টিসহ সর্বমোট ৫৫টি মামলা রুজু হয়েছে। এসকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে। এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ৩৫৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রেজ রিলিজ

মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে তান্ডব চালানো দুই ইমামসহ হেফাজতের ০৬ নেতাকর্মী গ্রেফতার

আজ ২৪ এপ্রিল ২০২১ ইং তারিখ আনুমানিক ৪টা ও  আনুমানিক সকাল  ০৯.৪৫ ঘটিকায় সময় র‌্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্প, কিশোরগঞ্জ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার সরাইলের বেড়তলা ও আশুগঞ্জের টোলপ্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন ১। মোঃ শাহেদ (২৪), পিতা-মইয়োব আলী, সাং-আলা ডোস্কোপুর, ২। মোঃ বোরহান উদ্দিন (২২), পিতা-মোঃ গিয়াস উদ্দিন, সাং-জোয়ালভাঙ্গা, উভয় থানা-মাধবপুর, জেলা-হবিগঞ্জ ৩। মোঃ জালাল মিয়া (২৪), পিতা-মোঃ আমীন আলী, সাং-সুন্দরপুর, থানা-মাধবপুর, জেলা-হবিগঞ্জ।

এসময় ধৃত আসামীদ্বয়ের নিকট হতে ৩১.৪ কেজি গাঁজা, ০১ টি পিকআপ, ০১ টি প্রাইভেটকার, মাদক বিক্রয়ের নগদ-৩০০০/-টাকা উদ্ধার করে জব্দ করা হয়।

প্রেস রিরিজ

সরাইলের বেড়তলা ও আশুগঞ্জের টোলপ্লাজা এলাকা থেকে ০৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করছে র‌্যাব-১৪

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে জায়গা-সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে চাচাতো ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে মোঃ আবুল কাশেম মিয়া-(৫০) নিহত হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের তেলিকান্দি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত আবুল কাশেম ওই গ্রামের মৃত আবদুল মন্নাফের ছেলে। কাশেম পেশায় একজন কৃষক ছিলেন।

খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। পুলিশ নিহত কাশেমের চাচি সুগেরা খাতুনকে আটক করেছে। এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, তেলিকান্দি গ্রামের আবুল কাশেমের সাথে তার চাচা সিদ্দিকুর রহমানের ৫ শতাংশ জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এনিয়ে আদালতে মামলা-মোকদ্দমাও চলমান।

গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে বাড়ির পাশের রাস্তায় চাচার সাথে আবুল কাশেমের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে দু’জনই উত্তেজিত হয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে আনোয়ার হোসেন – (২৫) আবুল কাশেমের পেটে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
এলাকার লোকজন কাশেমকে উদ্ধার করে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে কাশেম মারা যায়। পরে তার লাশ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই বাড়ি থেকে কাশেমের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।

এ ব্যাপারে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ.এম.এম নাজমুল আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছি। তিনি বলেন, এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে নিহতের চাচি সুগেরা খাতুনকে আটক করা হয়েছে।

সরাইলে চাচাতো ভাইকে খুন


বাংলাদেশ পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ ইকবাল হোসেন, পিপিএম আজ ২৩/০৪/২০২১খ্রিঃ সকাল ১০.৩০ ঘটিকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ লাইন্স ড্রিল শেডে জেলা পুলিশে কর্মরত অফিসার ও ফোর্সদের বিশেষ কল্যান সভা ও মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন।

উক্ত কল্যান সভা ও মত বিনিময় সভায় ডিআইজি মোঃ ইকবাল হোসেন জেলা পুলিশে কর্মরত সকল অফিসার ও
ফোর্সদের মনোবল বৃদ্ধিসহ যার যার স্ব স্ব দায়িত্ব স্বতস্ফুর্তভাবে পালনের জন্য দিক নিদের্শনা প্রদান করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান সহ জেলার উদ্ধর্তন
কর্মকর্তাবৃন্দ।

প্রেস রিলিজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সফর করেছেন বাংলাদেশ পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ ইকবাল হোসেন

গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও তান্ডবলীলা চালায়। সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরীতে পরিনত করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ আভিযানিক টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত
ইসলাম কর্তৃক বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের তান্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ১০ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে। উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র
ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়।

উল্লেখ্য হেফাজতের তান্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯ টি, আশুগঞ্জ থানায় ০৪ টি ও সরাইল থানায় ০২ টিসহ সর্বমোট ৫৫টি মামলা রুজু হয়েছে। এসকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা
৩০/৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে। এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ৩৪৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রেজ রিলিজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবে অগ্নিসংযোগ ও তান্ডবে জড়িত আরও ১০ জন গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের অগ্নিপুরুষ বিপ্লবী উল্লাসকর দত্তের ১৩৭তম জন্মদিন ছিলো গতকাল শুক্রবার। তার জন্মদিনে সরাইল প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে তাঁর স্মৃতিকে ধরে রাখতে তিনটি প্রস্তাব করা হযেছে।
প্রস্তাবগুলো হচ্ছে উল্লাসকর দত্তের স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য সরাইলের কালিকচ্ছে তাঁর পৈত্রিক ভিটায় একটি স্মৃতিসৌধ নির্মান, নতুন প্রজন্ম যাতে জানতে পারে সেজন্য তার তাঁর কর্মকান্ডকে লিপিবদ্ধ করে সংরক্ষনের ব্যবস্থা করা ও প্রতিবছর সরকারি ভাবে তাঁর জন্মদিনে আলোচনা সভার আয়োজন করা।

বিপ্লবী উল্লাস কর দত্তের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায়। ১৮৮৫ সালের ১৬ এপ্রিল তিনি সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ গ্রামে জন্ম গ্রহন করেছিলেন। তাঁর পিতা দ্বিজদাস দত্ত ছিলেন সর্বধর্ম সমন্বয় আদর্শের সাধক।  উল্লাসকর দত্ত কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজের ছাত্র ছিলেন, এবং পরে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষি বিদ্যায় ডিগ্রী অর্জন করেন। তবে কলেজে পড়ার সময় ইংরেজ অধ্যাপক রাসেল বাঙালিদের সম্পর্কে কটূক্তি করার দরুন উল্লাসকর তাকে আঘাত করেন, এজন্য উল্লাসকরকে কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল । এই সময় থেকে তার জীবনে পরিবর্তন আসে। বঙ্গভঙ্গকে কেন্দ্র করে ১৯০৬ সালের ৭ আগস্ট স্বদেশী আন্দোলন কালে তিনি অনুশীলন দলের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। এ সূত্রে ক্ষুদিরাম বসু ও বারীন্দ্রকুমার ঘোষ এর সাথে তাঁর প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ছিল।

উল্লাসকর দত্ত তখন ‘অভিরাম’ ছদ্মনাম ব্যবহার করতেন। তাঁর তৈরি বোমা ছুড়েই ক্ষুদিরাম ১৯০৮ সালের ৩০ এপ্রিল ইংরেজ ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ডকে বহনকারী গাডিড় ভেবে ভুল করে দুজন ইংরেজ মহিলাকে হত্যা করেছিলেন। এ অপরাধে ২ মে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ উল্লাসকরকে মুরারিপুকুর বাগান থেকে গ্রেপ্তার করেন। পরের দিনই মোজাফফরপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে ইংরেজ ব্যারিস্টার কেনেডি সস্ত্রীক নিহত হন। এ সকল ঘটনা ইংরেজ মহলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। ফলে কয়েক দিনের মধ্যে গোয়েন্দা পুলিশ কলকাতার মানিকতলায় বোমা তৈরির গোপন কারখানাটি খুঁজে বের করতে সক্ষম হয়। গোয়েন্দা রিপোর্টে প্রমাণিত হয় যে, ৩০ এপ্রিল ক্ষুদিরাম কর্তৃক নিক্ষিপ্ত বোমাটি ছিল উল্লাস করের তৈরী।

বিচারে ক্ষুদিরাম ও বারীন্দ্রকুমার ঘোষের সঙ্গে মানিকতলা (আলীপুর) বোমা মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে উল্লাসকরকেও মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়। তবে ১১ আগস্ট ক্ষুদিরামের মৃত্যুদন্ডাদেশ কার্যকর হলে উল্লাসকর তাঁর আইনজীবী চিত্তরঞ্জন দাশ-এর বিজ্ঞতায় অব্যাহতি পান ও ১৯০৯ সালে বারীন ঘোষের সঙ্গে তিনি আন্দামানে দ্বীপান্তরিত হন। ১৯২০ সালে তিনি মুক্তিলাভ করেন।
১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটলে জন্মভূমি কালীকচ্ছের বাঘবাড়িতে উল্লাসকর ফিরে আসেন। দীর্ঘ দশবছর নিঃসঙ্গ জীবন অতিবাহিত করার পর জীবনের শেষ দিনগুলি নিজেদের আখড়ায় কাটানোর বাসনায় তিনি কলকাতার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। ১৯৬৫ সালের ১৭ মে কলকাতায় তাঁর জীবনাবসান ঘটে।

এ দিকে উল্লাসকর দত্তের জন্মদিনে সরাইল প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে সরকারের ৩টি প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবগুলো হচ্ছে উল্লাসকর দত্তের স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য সরাইলের কালিকচ্ছে তাঁর পৈত্রিক ভিটিতে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মান, তাঁর কর্মকান্ডকে লিপিবদ্ধ করে একটি কক্ষে সুন্দর ভাবে সাজিয়ে রাখা এবং প্রতিবছর তাঁর জন্ম দিনে আলোচনা সভার আয়োজন করা।
এ ব্যাপারে সরাইল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব খান বাবুল বলেন, আজকের প্রজন্ম বিপ্লবী উল্লাস কর দত্তকে খুব একটা জানে না। নতুন প্রজন্ম যাতে উল্লাস কর দত্তকে জানতে পারে সেজন্য সরাইল প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে তিনটি প্রস্তাব করা হয়েছে।

বিপ্লবী উল্লাসকর দত্তের ১৩৭তম জন্মদিন পালিত, সরাইল প্রেসক্লাবের তিন প্রস্তাব

ফেসবুকে আমরা..