সুমন আহম্মেদঃ
সরাইলে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত আবুল কালাম -(২৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের করম আলীর ছেলে কালামের মৃত্যুর সংবাদে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। গত ৭ আগষ্ট ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে গ্রামের নাসির উদ্দিন ও রায়েছ মিয়ার গোষ্ঠীর লোকজনের মধ্যে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। এ ঘটনায় থানায় মামলাও হয়েছিল। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ৭ আগষ্ট গ্রামের দুইদল কিশোরের খেলায় অংশ গ্রহন করতে চায় আবুল কালাম। এতে কিশোরদের সাথে বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। কালাম নাসির উদ্দিনের গোষ্ঠীর লোক। পরে লায়েছ গোষ্ঠীর কয়েকজন লোক হামলা চালিয়ে কালাম গুরুতর আহত করে। কালামকে দ্রুত জেলা সদর হাসাপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।

ওদিকে হামলার ঘটনার জের ধরে উভয় গোষ্ঠীর লোকজন দুই ঘন্টারও অধিক সময় ধরে সংঘর্ষ চালায়। পরিস্থিতি সামাল দেয় থানা পুলিশ। এতে প্রায় অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। হাসপাতালের ভর্তির পর সপ্তাহ দিন চিকিৎসা শেষে কালাম বাড়িতে আসে।

এরপর যখন সমস্যা হত তখনই তিনি ছুটে যেতেন চিকিৎসকের কাছে। এভাবে নিয়মিতই চিকিৎসকের কাছে যাচ্ছিলেন। আহত হওয়ার এক মাসেরও অধিক সময় পর গত শুক্রবার হঠাৎ কালাম অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। তাকে নিয়ে স্বজনরা রওনা দেন জেলা সদর হাসপাতালে। পথিমধ্যে মারা যান আবুল কালাম। হামলায় আহত হওয়ায় হত্যার অভিযোগ ওঠে কালামের পরিবার থেকে। কালামের গোষ্ঠীর লোকজন কিছুটা উত্তেজিত হয়ে পড়ে। লাশটি থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। আর নাসির উদ্দিনের গোষ্ঠীর লোকজন ঘরে তালা ঝুলিয়ে দ্রুত সটকে পড়েছে। সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহাদাৎ হোসেন টিটো বলেন, ময়না তদন্তের জন্য কালামের লাশটি জেলা সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছি। প্রতিবেদন পাওয়ার পর আগের দায়ের করা মামলাই হত্যা মামলায় রুপ নিতে পারে।
###

সরাইলে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ব্যক্তির মৃত্যু

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে সিভিল সার্জনের নোটিশ পেয়ে উধাও হয়ে গেছেন ভুয়া চিকিৎসক কামাল উদ্দিন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে এম.বি.বি.এস চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে সরাইলের মনোয়ারা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগীদেরকে চিকিৎসা সেবা দিতেন।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিষয়টি জানতে পেরে সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ শাহআলম গত ১ অক্টোবর (স্মারক নং-সিএসবি/শা-৩/২০১৯/১২০৫৪) চিকিৎসক কামাল উদ্দিনকে একটি নোটিশ প্রদান করেন।

নোটিশে বলা হয় “ উপযুক্ত বিষয়ের আলোকে আপনাকে জানানো যাইতেছে যে, আপনি মনোয়ারা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সরাইল ব্রাহ্মণবাড়িয়া রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে আসছেন। আপনার চিকৎসা সেবার স্ব-পক্ষে সকল সনদপত্রের মূলকপি প্রেফসনাল পরীক্ষা সমূহের মূল মার্কশীটসহ ফটোকপি অত্র কার্যালয়ে প্রয়োজন। এমতাবস্থায় আগামী ০৬/১০/২০১৯ইং তারিখে নিম্নস্বাক্ষরকারীর কার্যালয়ে দুপুর ১১টার সময় আপনার বিএমডিসি রেজিষ্ট্রেশনসহ অন্যান্য সকল সনদপত্রের মূলকপি ও ফটোকপিসহ স্ব-শরীরে হাজির হওয়ার জন্য বলা হইল।

কিন্তু সিভিল সার্জনের নোটিশ পেয়ে গত ৬ অক্টোবর কাগজপত্র নিয়ে সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে হাজির হননি ভূয়া চিকিৎসক কামাল উদ্দিন।
এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ শাহআলম বলেন, চিকিৎসক কামাল উদ্দিনের সকল কাগজপত্রের সাথে মনোয়ারা হাসপাতালের পরিচালককে কামাল উদ্দিনকে নিয়োগ দেয়ার কাগজপত্র, হাসপাতালের লাইসেন্স নিয়ে আসার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু ভুয়া চিকিৎসক কামাল উদ্দিন উপস্থিত হননি এবং মনোয়ারা হাসপাতালের পরিচালক কামাল উদ্দিনের নিয়োগপত্র দেখাতে পারেনি এবং হাসপাতালের লাইসেন্স ও কাগজপত্র নবায়ন ছিলনা।

তিনি বলেন, হাসপাতালের পরিচালককে ভুয়া চিকিৎসক কামাল উদ্দিন যাতে মনোয়ারা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ সরাইলের কোন ক্লিনিক, হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, কোন ফার্মেসীতে বসলে তাকে (সিভিল সার্জন) অথবা আইনশৃংখলা বাহিনীকে অবহিত করার জন্য বলা হয়। যদি কোন প্রতিষ্ঠান কামাল উদ্দিনকে বসায় তাহলে সেই প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করা হবে বলে তিনি জানান।                                                              ###

সিভিল সার্জনের নোটিশ পেয়ে সরাইলে ভুয়া চিকিৎসক উধাও!

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে আনুমানিক ২০ বছর বয়সী অজ্ঞাতনামা এক যুবতীর মস্তকবিহীন লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত শনিবার রাত ৮টায় উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের বিটঘর গ্রামের একটি জমি থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, শনিবার সন্ধ্যায় বিটঘর গ্রামের একটি জমির কাদামাটিতে মস্তকবিহীন একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে রাত ৮টার দিকে পুলিশ তার লাশটি উদ্ধার করে।

এ ব্যাপারে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ওই যুবতীর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওই যুবতীর পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।
###

সরাইলে যুবতীর মস্তকবিহীন লাশ উদ্ধার

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে কিশোরদের ফুলবল খেলায় সৃষ্ট বিবাদের জের ধরে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে ১৫জন আহত হয়েছে। এ সময় প্রতিপক্ষের কয়েকটি ঘর ভাংচুর করা হয়। উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের বড়াইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ উভয় পক্ষের জনপ্রতিনিধি সহ উভয় পক্ষের ৩০ জন সালিসকারককে থানায় বসে বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন। আজ (গতকাল) সন্ধ্যায় থানায় বসার কথা রয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বড়াইল গ্রামের বাগবাড়ির কিশোর ছেলেরা দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে গত শনিবার গ্রামের পূর্ব পাশের মাঠে ফুটবল খেলছিল। খেলার এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের ছেলেরা প্রথমে বাকবিতন্ডা ও হাতহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। উপস্থিত স্থানীয়রা বিষয়টি তাৎক্ষনিক নিস্পত্তির চেষ্টা করেন। এ ঘটনার জের ধরেই গত সকালে ইউপি সদস্য জনাব আলী ও তার প্রতিবেশী আব্দুল জব্বারের লোকজন লাঠি সোঠা নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সকাল ১০টা থেকে তারা বাড়ি ঘরের সরু রাস্তার উপর ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চালায়। এ সময় বেশ কয়েকটি বসতঘর ভাংচুরের ঘটনাও ঘটে।

সাড়ে ১১টার দিকে উভয় পক্ষই কিছুটা পিছু হটে। ততক্ষণে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন লোক আহত হয়। আহতদের সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয় কয়েকটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়। দুপুর ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে হাজির হয় সরাইল থানা পুলিশ। পুলিশ দু’পক্ষের ৩০ জনের নাম তালিকাভুক্ত করেছেন। তাদের প্রত্যেককে সন্ধ্যায় থানায় বসে সৃষ্ট সংঘর্ষের বিষয়টি তাড়াতাড়ি নিস্পত্তি করার নির্দেশ দেয়।
সরাইল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ নূরুল হক বলেন, বর্তমানে সেখানকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
###

ফুটবল খেলায় বিবাদের জের সরাইলে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত-১৫

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে আনুমানিক ২০ বছর বয়সী অজ্ঞাতনামা এক যুবতীর মস্তকবিহীন লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত শনিবার রাত ৮টায় উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের বিটঘর গ্রামের একটি জমি থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, শনিবার সন্ধ্যায় বিটঘর গ্রামের একটি জমির কাদামাটিতে মস্তকবিহীন একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে রাত ৮টার দিকে পুলিশ তার লাশটি উদ্ধার করে।

এ ব্যাপারে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ওই যুবতীর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওই যুবতীর পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।
###

সরাইলে যুবতীর মস্তকবিহীন লাশ উদ্ধার

সুমন আহম্মেদঃ
সরাইলে যথাযথ ভাবে পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস-২০১৯।“তথ্য সবার অধিকার, থাকবে না কেউ পিছনে আর” এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে বাংলাদেশ সরকার মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের অংশিদারিত্বে, পিফোরডি প্লাটফরমস্ ফর ডায়ালগ প্রকল্পের আওতায় মিতালী, উপলদ্ধি, মেঘনা সমাজ কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে সরাইল উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় দিবসটি পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে ম্যাপ সদস্য, জনপ্রতিনিধি,

সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারি, প্রভাষক, শিক্ষক, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংঘঠনের নেতৃবৃন্দের অংশ গ্রহনে সকাল ১০টায় তথ্য অধিকার বিষয়ক বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত প্লে-কার্ড, ব্যানার, ফেষ্টুন সহ একটি র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি সরাইলের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা চত্বরে এসে শেষ হয়। পরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে স্যাপ লিডার নারায়ণ চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় মিতালীর সভাপতি মোহাম্মদ মাহবুব খান বাবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নির্বাহী কর্মকর্তা এএসএম মোসা। বক্তব্য রাখেন- উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যানদ্বয় (মহিলা) রোকেয়া বেগম, মো. আবু হানিফ মিয়া, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. নোমান মিয়া, কৃষি কর্মকর্তা মো. জাহিরুল ইসলাম সরকার, প্রকল্পের জেলা সহায়ক (ডিএফ) শুশান্ত চন্ত্র দে রায়, উপলদ্ধির সভাপতি সঞ্জিব কুমার দেবনাথ,

মেঘনার সভাপতি মো. সামছুজ্জামান, শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম মানিক, যুবলীগের সাবেক আহবায়ক মো. মাহফুজ আলী ও সাংবাদিক মো. শফিকুর রহমান প্রমূখ। বক্তারা আয়োজক তিন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সামাজিক কর্মকান্ডের প্রশংসা করে বলেন শুধু তিন ইউনিয়ন নয়, ভবিষ্যতে উপজেলার সকল ইউনিয়নে এ কর্মকান্ড চালানো প্রয়োজন। প্রধান অতিথি বলেন, সরকারি সকল দফতরই তথ্য সেবা দিতে প্রস্তুত।

তৃণমূলের সেবা গ্রহীতারা তথ্য নেয়ার বিষয়ে আরো উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন। তথ্যে উন্নতির কারণেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আর সরাইলের তিন সংঘঠন যে কাজ গুলো করছেন। এটা পাইলটিং প্রকল্প। তাদের সফলতায় ভবিষ্যতে আরো ভাল কিছু অপেক্ষা করছে। সবশেষে শিল্পী লালনের পরিবেশনায় মাদকসহ বিভিন্ন ধরনের গান দিয়ে চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
###

স্বেচ্ছাসেবী সংঘঠনের উদ্যোগে- সরাইলে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস পালিত

সুমন আহম্মেদঃ
বণাজি গাছের ঝোঁপঝাঁড়। সামান্য দূরত্বে কাঠ ও ফলের গাছ। বাড়ির ওঠানে কাপড় শুকানোর জন্য ঝুলছে ক্যাবল (লোহা ও তামার)। এসবের মাঝখান দিয়েই সরাইল পিডিবি টেনে দিয়েছেন মোটা সার্ভিস সিঙ্গেল (এক তারের) ক্যাবল। ঝুঁকিপূর্ণ হলেও ওই ক্যাবল থেকেই শতাধিক গ্রাহককে দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। সরাইল উপজেলার পল্লী একা চুন্টা ইউনিয়নের ঘাগড়াজোর এলাকায় দেয়া হয়েছে এ সংযোগ।

প্রায় আধা কিলোমিটার দূরত্বে তিন তারে লাইন দিতে ৪ খুঁটির জন্য ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা চেয়েছেন বিল বিতরণকারী মো. কিবরিয়া। তার সাথে রয়েছেন হানিফ নামের আরেক কর্মকর্তা। দরদামে মিলেনি। তাই ভুগান্তিতে পড়েছে ঘাগড়াজোর গ্রামের শতাধিক গ্রাহক। অস্থায়ী কর্মচারি কিবরিয়া গত ২-৩ বছর আগে চুক্তির ভিত্তিতে চুন্টা বাজারে দুই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মিটার বাইপাস সংযোগ দিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছিলেন।

পরে আবার যাদু মন্ত্র দিয়ে কিভাবে বেঁচেও গেলেন। সরজমিনে ঘাগড়াজোর গ্রামে গিয়ে দেখা যায় প্রায় আধা কিলোমিটারেরও অধিক জায়গার শতাধিক গ্রাহক ছটফট করছেন। মাটিতে পড়ে রয়েছে ডিশ লাইনের ক্যাবলের বান্ডিল। ওই এলাকার বিদ্যুতের পুরাতন ৪-৫টি খুঁটি তুলে অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন পিডিবি’র লোকজন। গ্রামের আরেক অংশে বসানো হয়েছে নতুন পুরাতন খুঁটি। গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল কাদির (৫০),

আজিজুর রহমান (৫৩) ও হাবিবুর রহমান (৭২) জানান, ১০-১২ বছর আগে তারা প্রায় ৩০-৪০ হাজার টাকা খরচ করে ৪/৫টি খুঁটির মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়েছিলেন। হঠাৎ করে গত ২-৩ মাস আগ থেকে সেখানকার পুরাতন খুঁটি গুলো তুলে নিতে থাকে পিডিবি। লোকজন বাঁধা দেয়। পিডিবি থামেনি। আস্তে আস্তে সেখানকার ৪টি খুঁটিই পিডিবি উঠিয়ে নিয়ে আসে। একাধারে ৩ দিন বিদ্যুৎহীন অবস্থায় থাকে ওই গ্রামের লোকজন। মসজিদের মুসল্লি, রোগী ও শিশুরা প্রচন্ড কষ্ট করে। ফ্রিজের কাঁচা মালামাল নষ্ট হয়ে যায়। গরুর খামারিরা পড়ে বিপাকে। গ্রামবাসী বিষয়টি মিডিয়ার লোকজনকে গত ১৩ সেপ্টেম্বর সকালে অবহিত করেন। ওইদিন সন্ধ্যার সময় তড়িঘড়ি করে পিডিডি’র লোকজন ঝুঁকিপূর্ণ পদ্ধতিতেই ওই এলাকায় বিদ্যুতের সংযোগ দিয়েছেন।

যেকোন সময় ওই সংযোগে স্পৃষ্ট হয়ে প্রাণহানির ঘটনার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন গ্রামবাসী। সিঙ্গেল ক্যাবল ছিদ্র হয়ে গাছ টিনের চাল ও ওঠানের কাপড় শুকানোর তারেও বিদ্যুৎ এসে যেতে পারে। আব্দুল হান্নান (৩৮) নামের আরেক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, গ্রামের এই অংশে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে ৪ খুঁটির জন্য কিবরিয়া ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা চেয়েছেন। আমরা ১ লাখ ২০ হাজার টাকা বলেছি। এতে রাজি হয়নি। টাকা একটু বেশী পেয়ে আমাদেরকে বঞ্চিত করে গ্রামের আরেক অংশে খুঁটি বসানোর কাজ করছেন।

আমাদের পুরাতন খুঁটি গুলোও সেখানে নিয়ে যাচ্ছেন। আমাদেরকে ৪-৫ দিন অন্ধকারে রেখেছেন। গ্রামের একাধিক ব্যক্তি বলেন, এ কাজের সাথে লাইনম্যান-বি মো. আব্দুস সবুর ও লাইনের কাজের সাহায্যকারী মো. হানিফ মিয়াও এ কাজের সাথে জড়িত। সরাইল পিডিবি’র নির্বাহী প্রকৌশলী (বিক্রয় ও বিতরণ) নওয়াজ আহমেদ খান বলেন, এ লাইনের কাজের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। খুঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নিব।

###

সরাইল ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুৎ সংযোগ ৪ খুঁটির মূল্য দেড় লক্ষাধিক টাকা

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা পর্যায়ের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট (অনূর্ধ্ব-১৭) এর ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গত শনিবার বিকেলে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চবিদ্যালয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত এ খেলার প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য (সংরক্ষিত) উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি এ এস এম মোসার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত খেলায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আ’লীগের আহবায়ক অ্যাডভোকেট নাজমুল হোসেন, যুগ্ম আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আবদুর রাশেদ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সহিদ খালিদ জামিল খান, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল আজীজ, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এস এম ফরিদ, সরাইল সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার,

শাহবাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান রাজিব আহমেদ, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সহসভাপতি মাহফুজ আলী প্রমুখ। খেলায় সরাইল সদর ইউনিয়ন শাহবাজপুর ইউনিয়কে ট্রাইবেকারে ৫-৪ গোলে পরাজিত করে জয় লাভ করে। খেলা পরিচালনা (রেফারি) করেন আবদুল্লাহ আল মতিন। পরে প্রধান অতিথি বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার প্রদান করেন।
###

সরাইলে বঙ্গবন্ধু ফুটবল টুর্নামেন্টে সরাইল সদর ইউনিয়ন চ্যাম্পিয়ন

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ধর্ষণ মামলা তুলে নিতে বাদী ও তাঁর পরিবারকে ধর্ষকের লোকজন ক্রমাগত চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মামলা প্রত্যাহার না করলে একাধিক মামলা দিয়ে এলাকা ছাড়া করার হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। ইতিমধ্যে একটি গ্রুপ মিথ্যা মামলাটি নথিভুক্ত করতে থানায় দৌড়ঝাঁপ করছে।

পুলিশ ও গ্রামবাসী সূত্র জানায়, উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের পাকশিমুল গ্রামের (বড়পাড়া) হিরা মিয়ার ছেলে মোস্তাকিম মিয়া-(২৫) গত ২০ জুন রাতে একই গ্রামের পূর্বপাড়ার তালাকপ্রাপ্তা দরিদ্র এক নারীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এসময় মোস্তাকিম ওই নারীর আপত্তিকর ছবি মুঠোফোনে ধারণ করে। এর পর ওই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে এবং বিয়ের প্রলোভন দিয়ে তাঁকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। ওই নারী বর্তমানে ১১ সপ্তাহের অন্তঃসত্বা। বিষয়টি উভয় পরিবারের মধ্যে জানাজানি হলে মোস্তাকিমের সাথে ওই নারীর বিয়ের প্রস্তাব করেন গ্রামবাসী। এতে বেকে বসেন প্রভাবশালী মোস্তাকিমের পরিবার। তারা টাকা দিয়ে ওই বাচ্চাটি নষ্ট করার চেষ্টাও করেছে।

বাধ্য হয়ে ওই নারী বাদী হয়ে গত ২ সেপ্টেম্বর সরাইল থারায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। এতে আসামি করা হয় মোস্তাকিম মিয়া, তাঁর পিতা হিরা মিয়া (৫০) ও মাতা জুরিনা বেগমকে (৪৬)। পুলিশ ওই দিন রাতেই মোস্তাকিম মিয়াকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

মোস্তাকিম মিয়া বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে। গত শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মোস্তাকিমের পরিবারের লোকজন বেশ প্রভাবশালী। হিরা মিয়া গত বুধবার রাতে প্রভাবশালীদের মাধ্যমে তাঁর বসতবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে ওই নারীর পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে সরাইল থানায় এজহার একটি দাখিল করেন। সেই সাথে গ্রামে প্রচার করতে থাকেন ধর্ষণ মামলা প্রত্যাহার করা না হলে আরও মামলা দিয়ে সবাইকে এলাকা ছাড়া করে। গত শুক্রবার দুপুরে হিরা মিয়ার বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। বসত ঘরে ঝুলছে তালা। হিরা মিয়ার ব্যবহৃত মুঠোফোনটিও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। হিরা মিয়ার নিকটাত্মীয় ও তাঁর প্রতিবেশীরা জানান, ধর্ষিতার মামলা দায়েরের পর থেকে হিরা মিয়া ও তাঁর লোকজন খুবএকটা বাড়িতে থাকেন না। তবে হিরা মিয়ার বাড়িতে ভাঙচুর বা লুটপাটের কোন ঘটনা ঘটেনি।

সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহাদত হোসেন বলেন,‘ ধর্ষণের ঘটনার সত্যতা রয়েছে। তবে হিরা মিয়ার দায়ের করা অভিযোগের ব্যাপারে শনিবার সরেজমিনে একজন কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছিলাম। এ ঘটনার কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। সরাইল থানায় কোন মিথ্যা মামলা নথিভুক্ত হয় না। তাই হিরা মিয়ার অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হবে না।
###

সরাইলে ধর্ষণ মামলার বাদীকে হুমকির অভিযোগ

সুমন আহম্মেদঃ
অবশেষে সরাইলের ধর্মতীর্থ এলাকার ঐতিহাসিক বধ্যভূমিতে “ ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকহানাদার বাহিনী কর্তৃক পরিচালিত গণহত্যার স্থান, এই স্থানের পবিত্রতা রক্ষা করার জন্য অনুরোধ করা হইল”। এধরনের লেখা সম্বলিত একটি সাইনবোর্ড টানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। গত সোমবার বিকেলে সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক সড়কের পাশে দখলকৃত ওই জায়গায় জেলা প্রশাসকের নির্দেশে গণহত্যার স্থানের স্বীকৃতির সাইনবোর্ডটি স্থাপন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএসএম মোসা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা,

মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ সহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ। এ সময় আবেদনের প্রেক্ষিতে দেওয়া অনাপত্তিপত্রের প্রতিবেদনটিও তিনি বাতিল ঘোষণা করেন। ফলে দখলমুক্ত হয়েছে বধ্যভূমি ও সওজের জায়গা। উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় লোকজন জানান, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকবাহিনী ও রাজাকাররা শতাধিক মুক্তিযোদ্ধাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। এ ছাড়াও স্থানটি নৌঘাট হওয়ায় নিয়মিতই অভিযান চালিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করত।

এদের মধ্যে চুন্টার সংখ্যালঘু সমাপ্রদায়ের এক পরিবারের ২২ জন হত্যার ঘটনাটি ছিল চাঞ্চল্যকর। এসব কারনে এ জায়গাটি বধ্যভূমি হিসাবে স্বীকৃত। বিভিন্ন ঐতিহাসিক গ্রন্থে’ও এর দালিলিক প্রমাণসহ উল্লেখ করেছেন অনেক লেখক। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা দীর্ঘদিন ধরে ওই বধ্যভূমিতে শহীদদের স্মৃতি রক্ষায় একটা কিছু করার চেষ্টা করে আসছিলেন। সওজের খাল সংলগ্ন পশ্চিম পাশে কালিকচ্ছ ইউনিয়নের ধর্মতীর্থ মৌজার ৪৭৩৬ দাগের ২২ শতাংশ ভূমির মালিক ছিলেন চাকসার গ্রামের আবদুস সাত্তার ও তার ভাতিজা আবদুল আহাদ ছিলেন ৮৮৩১ দাগের ১২ শতক জায়গার মালিক। জায়গাটির ৪০-৫০ গজের মধ্যে রয়েছে একাধিক বসতবাড়ি।

১০ বছর আগে ওই দুইদাগের ৩৪ শতাংশ জায়গা ক্রয় করেন ফরহাদ রহমান। পরে তিনি পানি নিষ্কাশনের খাল ধর্মতীর্থ নৌঘাট, ধর্মতীর্থ বধ্যভূমি ও সওজের জায়গা পর্যন্ত মাটি ফেলে ভরাট করে ফেলেন। ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ মাসে স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধার সহায়তায় ওই বধ্যভূমিতে ১২ ফুট উচ্চতা ও ৪ ফুট প্রস্থের লোহার তৈরী একটি ফলক স্থাপন করেন। ফলকে ৪৬ জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার তালিকাযুক্ত সাইনবোর্ড লাগানো হয়। এক বছর পরই সাইনবোর্ডটি চুরি হয়ে যায়।

২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ৪ নভেম্বর জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান বধ্যভূমিটি সরজমিনে পরিদর্শনও করেছেন। গত ১৮ জুন ওই জায়গায় ‘এম আবদুল্লাহ ফরহাদ ফিলিং ষ্টেশন’ নামে একটি পেট্রোল পাম্প করার অনুমতি চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে অনাপত্তির আবেদন করেছেন ফরহাদ রহমানের ছেলে আবদুল্লাহ ফরহাদ। ৪ জুলাই জেলা প্রশাসক ২০৪ নং স্বারকে তদন্ত করে অনাপত্তি প্রতিবেদন চেয়ে সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে প্রেরণ করেন। ইউএনও দেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফারজানা প্রিয়াংকাকে। সহকারি কমিশনারের মৌখিক নির্দেশে তদন্ত প্রতিবেদন তৈরী করেন সার্ভেয়ার ও কাননগো মো. ইব্রাহিম খান। সহকারি কমিশনার প্রতিবেদনটি ৯ জুলাই প্রেরণ করেন ইউএনও’র কাছে। ইউএনও ওই প্রতিবেদনটি গত ১০ জুলাই প্রেরণ করেছেন জেলা প্রশাসকের দফতরে। আর ১০ জুলাই রাতেই বধ্যভূমি থেকে উধাও হয়ে যায় ৪৬ জন শহীদের নাম সম্বলিত ফলকটি। তবে প্রতিবেদনের সাথে বাস্তবতার কোন মিল না থাকার বিষয়টি চাওর হতে থাকে গোটা সরাইলে। এ ঘটনায় ২০ জুলাই জাতীয় একটি দৈনিকে “নেপথ্যে সওজের জায়গা দখল, সরাইলে বধ্যভূমি থেকে ৪৬ শহীদের নাম ফলক উধাও” শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। বিষয়টি নজরে আসে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের। ঘটনার ১ মাস ২৩ দিন পর জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ‘ধর্মতীর্থ গণহত্যা’ নামক স্থানটিতে ছুটে যান সরাইলের ইউএনও এএসএম মোসা। এর আগে তিনি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধাসহ সকলকে উপস্থিত থাকার আহবান জানান। সোমবার বিকাল ৫টার দিকে যান ওই বধ্যভূমিতে।

উপস্থিত ছিলেন সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার মো. ইসমত আলী, ডেপুটি কমান্ডার মো. আনোয়ার হোসেন, কালিকচ্ছ ইউপি কমান্ডার রমেশ চন্দ্র দেব সহ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা। সাবেক এমপি মৃধা বধ্যভূমির স্বীকৃতি দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি বিজড়িত একটি ফেনা লাগানোর জন্য উপজেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এএসএম মোসা বলেন, জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও গণ্যমান্য লোকদের সহায়তায় মূল বধ্যভূমিটি চিহ্নিত করেছি। পরে সেখানে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিয়েছি।
###

অবশেষে সরাইলের বধ্যভূমিতে প্রশাসনের সাইনবোর্ড ॥ অনাপত্তিপত্র বাতিল ঘোষণা

ফেসবুকে আমরা..