স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনা ভাইরাসজনিত পরিস্থিতিতে লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়া বিভিন্ন শ্রেনী পেশার এক হাজার মানুষের মধ্যে প্রধান মন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কসবা টি আলী ডিগ্রী কলেজ মাঠে সামজিক দূরত্ব বজায় রেখে চেয়ারে বসিয়ে তাদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

একই অনুষ্ঠানে উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্যোগে ভর্তুকি মূল্যে কৃষকদের মধ্যে ধান কাটার ৬টি কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন ও উপজেলা মৎস্য অফিসের উদ্যোগে নিবন্ধিত জেলেদের মধ্যে ৫৪০টি সিঙ্গার সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়।
স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক প্রধান অতিথি হিসেবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসব বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

 


উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খাঁনের সভাপতিত্বে এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ উল আলমের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভুইয়া জীবন, কসবা পৌরসভার মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাছিবা খান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা সিদ্দিকী, কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর ভূইয়া প্রমুখ। বিতরনী অনুষ্ঠানে উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, উপজেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেন, ‘সারাবিশ্ব করোনা মহামারীতে আক্রান্ত। আপনাদেরকে অনুরোধ করবো আপনারা যখনই সময় পাবেন আল্লাহ’র কাছে দোয়া করে পানাহ (ক্ষমা) চাইবেন। আল্লাহ যেন আমাদেরকে এই মহামারী থেকে মুক্তি দেন সেই দোয়া করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ আমাদের সকলের দোয়া শুনবেন। আমি নিশ্চিত আল্লাহ আমাদেরকে ক্ষমা করে এই মহামারী থেকে মুক্তি দিবেন।’ তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ কর্মসূচীর আওতায় মানবিক খাদ্য সহয়াতার কার্যক্রমের অধীনে আপনাদেরকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার দেয়া হচ্ছে। তিনি সমাজের বিত্তবানদেরকে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান।

কসবায় ১ হাজার অসহায় মানুষের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের কর্মসূচী চলাকালে শহরজুড়ে ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিকান্ডের ঘটনার পর তান্ডব ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসকারীদের বিচার চেয়ে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় ও জেলা কমিটি থেকে পদত্যাগ করেও নিজেকে রক্ষা করতে পারেননি হেফাজতে ইসলামের আলোচিত নেতা মুফতি আবদুর রহিম কাসেমি। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশ পৌর এলাকার ভাদুঘর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন।

গ্রেপ্তারকৃত মুফতি আবদুর রহিম কাসেমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসার শিক্ষক ও হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বিভিন্ন অভিযোগের কারনে গত বছরের ১ ডিসেম্বর তাকে জামিয়ার শিক্ষকতা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এমনকি তাকে মাদরাসায় প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়।
হেফাজতে ইসলামের কর্মসূচী চলাকালে গত ২৬ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিকান্ডের ঘটনার পর গত ২৩ এপ্রিল তিনি সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো এক বিবৃতির মাধ্যমে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। বিবৃতিতে তিনি রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসকারীদের বিচার চান। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তান্ডবের ঘটনার পর পরই আত্মগোপনে চলে যান মুফতি আবদুর রহিম কাসেমি।
মঙ্গলবার বিকেলে সাড়ে চারটার দিকে পৌর এলাকার ভাদুঘর গ্রাম থেকে কাশেমিকে গ্রেপ্তার করে জেলা পুলিশের একটি বিশেষ টিম।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোঃ রইছ উদ্দিন মুফতি আবদুর রহিম কাসেমিকে গ্রেপ্তারের কথা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মাওলানা আব্দুর রহিম কাসেমী বিগত ২০১৬ সালে ও গত ২৬,২৭ ও ২৮ মার্চ হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ ও হরতাল চলাকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তান্ডবের ঘটনার মূলহোতা। তিনি তান্ডবের ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন।

তিনি আরো বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মুফতি আবদুর রহিম কাসেমি স্বীকার করেছেন, হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে সরকার উৎখাতের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে কাশেমী জামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসাসহ আশপাশের বিভিন্ন মাদরাসার ছাত্র- শিক্ষককে নিয়ে ব্যাপক তান্ডবলীলা চালায়। এ সময় জেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।

তিনি বলেন, মুফতি আবদুর রহিম কাসেমিকে ২০১৬ সালের মামলাসহ একাধিক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
উল্লেখ্য মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তির অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ চালায়।

এসময় হামলাকারীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন, পৌরসভা কার্যালয়, সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন, এসিল্যান্ডের কার্যালয়, সুর সম্রাট আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তনসহ সরকারি, বেসরকারি প্রায় অর্ধশতাধিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরিতে পরিনত করে।

তান্ডবের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন থানায় এ পর্যন্ত ৫৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ সকল মামলায় ৪১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ হাজার লোককে আসামী করা হয়। পুলিশ মঙ্গলবার পর্যন্ত এসব মামলায় ৪১৫ জনকে গ্রেপ্তার করে।

অবশেষে গ্রেপ্তার হলেন হেফাজত নেতা মুফতি আবদুর রহিম কাসেমি


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা পৌর এলাকার আকবপুর গ্রামে আরসিসি রাস্তার নির্মান কাজ উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ সোমবার সকালে পৌর মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের আকবপুর গ্রামের এই রাস্তার নির্মান কাজ উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কসবা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেন, সহকারী প্রকৌশলী এবিএম বাবুল হোসেন, উপ-সহকারী প্রকৌশলী সাইফুদ্দিন হেলাল, কসবা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি খ.ম. হারুনুর রশীদ ঢালী,কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক আফজাল হোসেন রিমন, যুগ্ম আহবায়ক আশরাফুল ইসলাম, পৌর কাউন্সিলর রঙ্গু মিয়া, ঠিকাদার মানিক পাঠান প্রমুখ।


আকবপুর গ্রামের ৫১৮মিটার লম্বা আরসিসি রাস্তাটির নির্মান ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৭লাখ ২৯ হাজার ৭শত টাকা।

কসবায় রাস্তার নির্মান কাজের উদ্বোধন

গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও তান্ডবলীলা চালায়। সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরীতে পরিনত করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ আভিযানিক টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত
ইসলাম কর্তৃক বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের তান্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘন্টায় সর্বমোট ০৫ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়। উল্লেখ্য হেফাজতের তান্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯ টি, আশুগঞ্জ থানায় ০৪ টি ও সরাইল থানায় ০২ টিসহ সর্বমোট ৫৫টি মামলা রুজু হয়েছে। এসকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে। এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ৪০৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রেস রিলিজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবে অগ্নিসংযোগ ও তান্ডবে জড়িত আরও ০৫ জন গ্রেফতার

গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও তান্ডবলীলা চালায়। সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরীতে পরিনত করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ আভিযানিক টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত
ইসলাম কর্তৃক বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের তান্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘন্টায় সর্বমোট ০৫ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়। উল্লেখ্য হেফাজতের তান্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯ টি, আশুগঞ্জ থানায় ০৪ টি ও সরাইল থানায় ০২ টিসহ সর্বমোট ৫৫টি মামলা রুজু হয়েছে। এসকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে। এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ৪০৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রেস রিলিজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবে অগ্নিসংযোগ ও তান্ডবে জড়িত আরও ০৫ জন গ্রেফতার


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মোঃ হাবিবুর রহমান বলেছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তান্ডবের ঘটনা স্বাধীনতা বিরোধী ও ইতিহাস-ঐতিহ্য বিরোধী কাজ। তিনি আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হেফাজতের তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।

এ সময় ডিআইজি মোঃ হাবিবুর রহমান আরো বলেন, বাংলাদেশকে যেন পিছিয় দেওয়া যায়- এটি সে ধরনের স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের কাজ বলে আমি মনে করি। তিনি বলেন, কোন সভ্য মানুষের পক্ষে এ ধরনের কাজ করা সম্ভব নয়। এটি সম্পূর্ন স্বাধীনতা বিরোধী ও ইতিহাস ঐতিহ্য বিরোধী কাজ। যারা এই ঘটনার পেছনে ইন্ধনদাতা, যারা পরিকল্পনাকারী, তারা ঘটনাস্থলে থাক বা না থাক, অবশ্যই তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।

তিনি বলেন, জেলা পুলিশ, সিআইডি এবং পিবিআই সম্মিলিতভাবে মামলাগুলো তদন্দ করছে। আমরা সবাই সমন্বয়ের মাধ্যমে তদন্ত করছি। ইতিমধ্যে মামলাগুলো তদন্তকারী কর্মকর্তাদের কাছে দেওয়া হয়েছে। তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কারা ঘটনার সাথে জড়িত ছিল, আমরা সেগুলো পর্যালোচনা করছি।

ভিডিও ফুজে থেকে আসামীদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। ইতিমধ্যেই অনেককেই শনাক্ত এবং গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কোনো মামলাই ঝুলে থাকবেনা, যত দ্রুত সম্ভব আমরা সব মামলা নিস্পত্তির দিকে যাব।
তিনি বলেন, গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত তিনদিন ব্যাপী হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকদের চালানো তান্ডবের ঘটনায় দায়েরকৃত ৫৬টি মামলার মধ্যে ৯টি মামলা তদন্ত করছে সিআইডি। এছাড়াও ২০১৬ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরে মাদরাসার ছাত্রদের চালানো তান্ডবের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা গুলোর মধ্যে ৫টি মামলার তদন্তভারও সিআইডিকে দেয়া হয়েছে।
এর আগে ডিআইজি হাবিবুর রহমান হেফাজতের তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা কার্যালয়, সুর স¤্রাট আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তন ও সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এর কার্যালয় পরিদর্শন করেন।

এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোঃ আনিসুর রহমান, সিআইডির পুলিশ সুপার মোঃ শাহরিয়ার রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পঙ্কজ বড়–য়া, সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ শাহজাহান উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তির অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ চালায়। হামলাকারীরা সরকারি, বেসরকারি প্রায় অর্ধশতাধিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরিতে পরিনত করে। এ সব ঘটনায় মোট ৫৬টি মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ শনিবার সকাল পর্যন্ত ৩৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করে।

 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তান্ডবের ঘটনা স্বাধীনতা বিরোধী ও ইতিহাস-ঐতিহ্য বিরোধী কাজ

২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও তান্ডবলীলা চালায়। সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরীতে পরিনত করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ আভিযানিক টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের তান্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘন্টায় সর্বমোট ০৬ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়। তন্মধ্যে গত ২৭/০৩/২০২১খ্রিঃ তারিখে হরতাল সমর্থনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানাধীন রাধিকা বাজারে মিছিল এবং রাস্তায় গাছের গুড়ি ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে রাস্তা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির ঘটনায় জড়িত ইসলামী আন্দোলন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার মহিলা ও পরিবার কল্যাণ সম্পাদক, জাতীয় শিক্ষক ফোরাম এর মাদ্রাসা বিষয়ক সম্পাদক কেন্দ্রীয় কমিটির মাওলানা নিয়াজুল করিম’কে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য হেফাজতের তান্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯ টি, আশুগঞ্জ থানায় ০৪ টি সরাইল থানায় ০২ টিসহ সর্বমোট ৫৫টি মামলা রুজু হয়েছে। এসকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে। এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ৩৯৮ জনকে গ্রেফতার করা
হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবে অগ্নিসংযোগ ও তান্ডবে জড়িত আরও ০৬ জন গ্রেফতার

গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও তান্ডবলীলা চালায়। সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরীতে পরিনত করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ আভিযানিক টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত
ইসলাম কর্তৃক বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের তান্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ০৫ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়। উল্লেখ্য হেফাজতের তান্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯ টি, আশুগঞ্জ থানায় ০৪ টি ও সরাইল থানায় ০২ টিসহ সর্বমোট ৫৫টি মামলা রুজু হয়েছে। এসকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে। এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ৩৯২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রেস রিলিজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবে অগ্নিসংযোগ ও তান্ডবে জড়িত আরও ০৫ জন গ্রেফতার

গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও তান্ডবলীলা চালায়। সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরীতে পরিনত করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ আভিযানিক টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের তান্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ০৪ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে। উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়।

উল্লেখ্য হেফাজতের তান্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯ টি, আশুগঞ্জ থানায় ০৪ টি ও সরাইল থানায় ০২ টিসহ সর্বমোট ৫৫টি মামলা রুজু হয়েছে। এসকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা
৩০/৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে। এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ৩৮৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রেজ রিলিজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবে অগ্নিসংযোগ ও তান্ডবে জড়িত আরও ০৪ জন গ্রেফতার


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবকালে নাশকতা সৃষ্টিকারী তিন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১৪-এর ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা।
গত মঙ্গলবার রাতে সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, পৌর শহরের ফুলবাড়িয়া বাসষ্ট্যান্ড এলাকার মোঃ বাছির মিয়ার ছেলে মোঃ সুমন মিয়া-(২৫) একই এলাকার মোঃ কাউছার মিয়ার ছেলে মোঃ বাছির মিয়া এবং সদর উপজেলার তালশহর পূর্ব ইউনিয়নের মোহনপুর গ্রামের মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে জামিল হোসেন (১৬)।


বুধবার র‌্যাব ভৈরব ক্যাম্প থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৬ মার্চ মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তিতে দেশব্যাপী অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় দুস্কৃতিকারীরা অরাজকতা সৃষ্টি করে ধ্বংসযজ্ঞ এবং নাশকতা চালায়। মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তিতে এই ধরণের ন্যাক্কারজনক ঘটনা পুরো বাঙালি জাতির হৃদয়কে গভীরভাবে মর্মাহত করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভাংচুরের মাধ্যমে জাতির পিতাসহ সমগ্র বাঙালি জাতিকে অবমূল্যায়ন করে। হামলাকারীর ছবি ও ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয় ও তাদেরকে সদর মডেল থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের নাশকতায় র‌্যাবের হাতে তিন যুবক গ্রেপ্তার

ফেসবুকে আমরা..