গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও তান্ডবলীলা চালায়। সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরীতে পরিনত করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ আভিযানিক টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত
ইসলাম কর্তৃক বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের তান্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ০৭ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়। উল্লেখ্য হেফাজতের তান্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯ টি, আশুগঞ্জ থানায় ০৪ টি ও সরাইল থানায় ০২ টিসহ সর্বমোট ৫৫টি মামলা রুজু হয়েছে। এসকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে। এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ৩৫৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রেস রিলিজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবে অগ্নিসংযোগ ও তান্ডবে জড়িত আরও ০৭ জন গ্রেফতার


বাংলাদেশ পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ ইকবাল হোসেন, পিপিএম আজ ২৩/০৪/২০২১খ্রিঃ সকাল ১০.৩০ ঘটিকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ লাইন্স ড্রিল শেডে জেলা পুলিশে কর্মরত অফিসার ও ফোর্সদের বিশেষ কল্যান সভা ও মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন।

উক্ত কল্যান সভা ও মত বিনিময় সভায় ডিআইজি মোঃ ইকবাল হোসেন জেলা পুলিশে কর্মরত সকল অফিসার ও
ফোর্সদের মনোবল বৃদ্ধিসহ যার যার স্ব স্ব দায়িত্ব স্বতস্ফুর্তভাবে পালনের জন্য দিক নিদের্শনা প্রদান করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান সহ জেলার উদ্ধর্তন
কর্মকর্তাবৃন্দ।

প্রেস রিলিজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সফর করেছেন বাংলাদেশ পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ ইকবাল হোসেন

গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও তান্ডবলীলা চালায়। সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরীতে পরিনত করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ আভিযানিক টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত
ইসলাম কর্তৃক বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের তান্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ১০ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে। উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র
ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়।

উল্লেখ্য হেফাজতের তান্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯ টি, আশুগঞ্জ থানায় ০৪ টি ও সরাইল থানায় ০২ টিসহ সর্বমোট ৫৫টি মামলা রুজু হয়েছে। এসকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা
৩০/৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে। এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ৩৪৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রেজ রিলিজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবে অগ্নিসংযোগ ও তান্ডবে জড়িত আরও ১০ জন গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম দুরাই স্বামী বলেছেন, ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক সব সময়ই একটি বিশেষ সম্পর্ক। করোনা মহামারির কারণে দুই দেশ একটি খারাপ সময় পার করছে। এর মধ্যেও ভারত- বাংলাদেশ দু’দেশের সম্পর্ক উন্নত আছে। ভ্যাকসিনের জন্য দুই দেশের সম্পর্কে ভাটা পড়বে না।

তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ভারত থেকে চারদিনের ছুটি কাটিয়ে সড়ক পথে ঢাকায় ফেরার পথে আখাউড়া স্থলবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
এ সময় ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম দুরাইস্বামী আরো বলেন, সারা বিশ্বেই ভ্যাকসিনের সংকট রয়েছে। সরবরাহের চেয়ে চাহিদা অনেক বেশি রয়েছে। সবাই কাজ করছে কীভাবে ভ্যাকসিনের প্রাপ্ত্যতা নিশ্চিত করা যায়। বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন দেয়ার ব্যাপারে আমরা সাধ্যমত কাজ করছি।

তিনি বলেন, এই মূহুর্তে ভারতে নিজেদের ভ্যাকসিন সংকটে আছে। উৎপাদন বাড়ানো হচ্ছে। শীঘ্রই বাংলাদেশে ভ্যাকসিন রপ্তানি করা হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সাথে ভারতের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। ভারতে থেকে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি টিকা পেয়েছে। অন্য কোন দেশ তা পায়নি। চুক্তি অনুযায়ী ৭০ লাখ টিকা সরবরাহ করা হয়েছে। বাকী টিকাগুলো ক্রমান্বয়ে সরবরাহ করা হবে। এ সময় তাঁর স্ত্রী সঙ্গীতা দুরাইস্বামী সাথে ছিলেন।

এর আগে বিক্রম দুরাই স্বামী দিল্লি থেকে বিমান যোগে আগরতলা এসে পৌছান। আখাউড়া স্থল বন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূর-এ-আলম, আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মিজানুর রহমানসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা। পরে তিনি সড়ক পথে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। গত ১৮ মার্চ আখাউড়া স্থলবন্দর হয়ে দিয়ে ঢাকা থেকে তিনি দিল্লী গিয়েছিলেন।

আখাউড়া স্থলবন্দরে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম দুরাই স্বামী

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে চলমান লকডাউনের কারনে কর্মহীন হয়ে পড়া একশত পরিবারের মধ্যে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। আজ দুপুরে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্থানীয় ফারুকী পার্কে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খাঁন এসব খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।

খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে প্রতি পরিবারের জন্য ১০ কেজি চাল, ১ কেজি তেল, ডালসহ বিভিন্ন ধরনের খাদ্য সামগ্রী।
খাদ্য বিতরণকালে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়–য়া, সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এবিএম মশিউজ্জামান, সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজউদ্দিন জামিসহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।

খাদ্য সামগ্রী বিতরণকালে জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খাঁন বলেন, ক্ষতিগ্রস্থদের আর্থিকভাবে সহায়তা করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮শ ২২ টি পরিবারকে পরিবার প্রতি ৪৫০ টাকা হারে দেয়ার জন্য ৬ কোটি ১১ লাখ ১৯ হাজার ৫শ টাকা বরাদ্দ এসেছে। পাশাপাশি জি আর সহায়তা এসেছে মোট ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্থদের সনাক্ত করে সরকারি সহায়তা পৌছে দেয়ার কাজ শুরু হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনা সংকটে কর্মহীন পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক চুরি করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ৩জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে আখাউড়া উপজেলার খড়মপুর এলাকা থেকে স্থানীয় জনতা তাদেরকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, নোয়াখালী জেলার রামগঞ্জ উপজেলার হাজীপুর গ্রামের ইসমাইল মিয়ার ছেলে কামরুল ইসলাম-(২০), ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার মৌড়াইল গ্রামের মৃত শিশু মিয়ার ছেলে দেলোয়ার হোসেন-(৩২) ও জেলার বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল গ্রামের মৃত লিটন মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়া -(২৭)। বুধবার দুপুরে তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তারকৃতরা বিজয়নগর উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের ইয়াছিন মিয়ার একটি ইজিবাইক চোরেরা চুরি করে নিয়ে যায়। বুধবার তারা ইজিবাইকটি নিয়ে আখাউড়া উপজেলার খড়মপুর বাইপাস এলাকায় আসে। তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে স্থানীয় জনতা তাদেরকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
এ ব্যাপারে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মিজানুর রহমান ইজিবাইকসহ তিনজনের আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এ ঘটনায় আটককৃতদেরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে পাঠানো হয়েছে।

 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ৩ ইজিবাইক চোর গ্রেপ্তার

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
মহামারি করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তির জন্য মসজিদে মসজিদে দোয়া করার জন্য ইমামদেরকে অনুরোধ করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪-(কসবা-আখাউড়া) এর সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।
তিনি শনিবার বিকালে আখাউড়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে উপজেলার বিভিন্ন মসজিদের ইমাম ও খতিবদের সাথে ভার্চুয়ালি মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি আরো বলেন, এখন সময় এসেছে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবার। একমাত্র আল্লাহই আমাদেরকে এই বিপদ থেকে পরিত্রাণ দিতে পারেন। আল্লাহই আমাদের ভরসা। আল্লাহ আমাদেরকে ক্ষমা করতে পারেন, মাফ করতে পারেন।
আমরা নিশ্চয় কারণে অকারনে অন্যায় করেছি। সময় এসেছে আল্লাহর কাছে দু’হাত তুলে প্রার্থনা করে বলি আল্লাহ তুমি আমাদেরকে এই মহামারি থেকে পরিত্রাণ দাও। আল্লাহ আমরা সঠিক ভাবে তোমার পথে চলব। তুমি আমাদেরকে সুযোগ দাও।
এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, গত বছর ২৫ মার্চ থেকে জননেত্রী শেখ হাসিনা যে ছুটি ঘোষণা করেছিলেন। সে ছুটির কারণে আমরা করোনা মহামারির যে আঘাত সেটা বুঝতে পারি নাই। আমাদের করোনা সংক্রমণের হার ছিল কম। মৃত্যুর হার ছিল কম। জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত দুরদর্শিতার সাথে করোনা ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করেছেন। ভ্যাকসিন নেওয়া শুরু হলে আমাদের ধারনা হয়েছিলো এ মহমামারি হয়তো পিছনে ফেলে এসেছি। কিন্তু দুঃখের হলেও সত্য আজকে বাংলাদেশে রেকর্ড পরিমাণ সংক্রমণ রোগী পাওয়া যাচ্ছে এবং আরও দুঃখের বিষয় গত শুক্রবার এক বছর এক মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশী মৃত্যু হার আমরা দেখেছি।

এ সময় আইনমন্ত্রী আলেম-ওলামাদেরকে প্রতিটি ওয়াক্তের নামাজে মসজিদে মসজিদে করোনা মহামারি থেকে মুক্তির জন্য দোয়া করতে বলেন।


এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাসেম ভূইয়া, পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূর-এ-আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক মোঃ জয়নাল আবেদীন, যুগ্ম আহবায়ক মনির হোসেন বাবুল, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল মমিন বাবুল, ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দীন শাপলু, জালাল উদ্দীন চেয়ারম্যান, মাওলা আসয়াদ আল হাবিব, মুফতি আসয়াদুজ্জামান, মুফতি কাজী কেফায়েত উল্লাহ মাহমুদী প্রমুখ।

আখাউড়ায় ইমাম ও খতিবদের সাথে ভার্চুয়ালি মত বিনিময়কালে আইনমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবের সময় ভাংচুর ও আগুনে পুড়িয়ে দেয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভাসহ সরকারি, বে-সরকারি বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) দীপক চক্রবর্তীর নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।

গতকাল শনিবার দুপুরে প্রতিনিধি দলটি পুড়িয়ে দেয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব ভবন, দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন,  ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তন, সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এর কার্যালয়, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বর, জেলা পরিষদ কার্যালয়, জেলা শিল্পকলা একাডেমী, জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যালয় সহ  তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ  বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন।


পরিদর্শনকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোঃ তানভীর আজম সিদ্দিকী, জেলা পরিষদ শাখার উপ-সচিব মোঃ ফারুক হোসেন, পৌরশাখার উপ-সচিব শায়লা ফারজানা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আমিনুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর সভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পঙ্কজ বড়–য়া, জেলা ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা অঞ্জন দাস, সহকারি কমিশনার (ভূমি) এ.বি.এম মশিউজ্জামান প্রমুখ।

পরিদর্শনকালে অতিরিক্ত সচিব দীপক চক্রবর্তী উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনার পর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ স্থাপনাগুলো সরেজমিন পরিদর্শন করতে মাননীয় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম আমাকে পাঠিয়েছেন।  আজ (শনিবার) আমরা পরির্দশনে এসেছি। এর আগে জেলা প্রশাসক, পৌরসভা ও জেলা পরিষদ থেকে পাঠানো রিপোর্ট আমরা পর্যালোচনা করেছি। আজ সরেজমিনে দেখে যাচ্ছি। আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে সরকারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেব। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সহযোগিতার মাধ্যমে যত দ্রুত সম্ভব পৌরবাসীকে পূর্নমাত্রায় সেবা দেয়া যায় এই ব্যবস্থা করা হবে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব দীপক চক্রবর্তী হেফাজতের তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পরিদর্শন

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদ্যপ্রয়াত বিশিষ্ট লেখক, গবেষক ও সাংবাদিক সৈয়দ আবুল মকসুদ ও বিশিষ্ট ব্যাংকার খন্দকার ইব্রাহিম খালেদ স্মরণে শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ভাসানী চর্চা কেন্দ্র, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্যোগে গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় স্থানীয় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্মৃতি পাঠাগারে এই শোক সভা অনুষ্ঠিত হয় ।

ভাসানী চর্চা কেন্দ্রের সংগঠক সাংবাদিক আবদুন নূরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শোকসভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাসদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হোসাইন আহমেদ তফছির, জেলা জাসদ সভাপতি অ্যাডভোকেট আখতার হোসেন সাঈদ, জেলা জেএসডির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তৈমুর রেজা মোঃ শাহজাদ, জেলা বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রদ্যোৎ নাগ, তেল-গ্যাস- খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির জেলা শাখার সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মোঃ নাসির,বাংলাদেশ কৃষক ও খেতমজুর সমিতির জেলা আহবায়ক হাজী আবদুস সোবহান মাখন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী, জেলা যুব জোটের আহবায়ক সিদ্দিক আহমেদ নাসির, জেলা ছাত্র মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক সানিউর রহমান সানি প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভাসানী চর্চা কেন্দ্রের সংগঠক আবুল খায়ের ।
শোক সভায় বক্তারা সৈয়দ আবুল মকসুদের কর্মময় জীবনের আলোচনা করতে দিয়ে বলেন, সৈয়দ আবুল মকসুদ সারা জীবন তার লেখনির মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক সমতাভিত্তিক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে গেছেন। তিনি তার গবেষণা কর্মের মাঝেই বেঁচে থাকবেন।

ব্যাংকার ইব্রাহিম খালেদ সম্পর্কে বক্তারা বলেন, খন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের বিভিন্ন অনিয়ম অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে আজীবন সোচ্চার ছিলেন। ব্যাংকিং খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য উচ্চকন্ঠ এ মানুষটিকে বাংলাদেশের মানুষ কোনদিনই ভুলবেনা। সভার শুরুতেই তাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয় ।
###

সৈয়দ আবুল মকসুদ ও খন্দকার ইব্রাহিম খালেদ স্মরণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শোকসভা অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
দীর্ঘদিন ভারতে নিখোঁজ থাকার পর সমীর কুমার মজুমদার-(৫০) ও শায়েস্তারা বেগম ওরফে শালিনতারা-(৪৫) নামে দুই বাংলাদেশী গতকাল শুক্রবার নিজ দেশে ফিরে এসেছেন। শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থল বন্দর দিয়ে তারা দেশে ফেরেন।
সমীর কুমার মজুমদার ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার কুমারপাড়া গ্রামের শশধর মজুমদারের ছেলে এবং শায়েস্তারা বেগম ওরফে শালিনতারা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার গুড়িগ্রামের আসমত আলীর কন্যা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার দেলী গ্রামের সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী। এদের মধ্যে সমীর কুমার মজুমদার প্রায় ৯ বছর এবং শায়েস্তারা বেগম ওরফে শালিনতারা ৫ বছর ধরে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় ছিলেন।

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলাস্থ বাংলাদেশ সহকারি হাই কমিশন সূত্রে জানা গেছে ওই দুইজন আগরতলার মডার্ণ সাইক্রিয়াটিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বাংলাদেশের সমাজকর্মী সৈয়দ খায়রুল আলম ওই দুইজনের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অবহিত করেন। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়।
সমীর কুমার মজুমদারের ছোটভাই অসীম কুমার মজুমদার বলেন, ২০১৩ সালের ২৪ অক্টোবর নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন সমীর কুমার। তিনি মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন ছিলেন। দেড় বছর আগে জানতে পারেন তাঁর ভাই আগরতলার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ভাইকে ফিরে পেয়ে অনেক আনন্দিত বলে জানান তিনি।

মানবাধিকার কর্মী সৈয়দ খায়রুল আলম বলেন, আমি আমার নিজ এলাকার (নড়াইল) একটি মেয়েকে খুঁজতে আগরতলার মডার্ণ সাইকিয়াট্রিক হাসপাতালে যাই। সেখানে গিয়ে সমীর ও শায়েস্তারা ওরফে শালিনতারার খোঁজ পাই।
পরে তাদের ঠিকানা যোগাড় করে স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করি। দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে দুই দেশের হাই কমিশন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগীতায় অবশেষে শুক্রবার দুপুরে তাঁদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। তাদেরকে স্বজনদের কাছে ফিরিয়ে দিতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত।
####

দীর্ঘদিন ভারতে নিখোজের পর আখাউড়া স্থল বন্দর দিয়ে দেশে ফিরলেন দুই বাংলাদেশী

ফেসবুকে আমরা..