ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা না দিয়েই পজেটিভ রিপোর্ট আসে মোঃ তৌহিদুল ইসলাম নামে এক যুবকের। এ ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।গত মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নতুন যে ২৯ জনের করোনাভাইরাস আক্রান্তের রিপোর্ট আসে তাদের মধ্যে তৌহিদুল ইসলাম একজন। বিষয়টি তার জন্য অস্বস্তিকর হয়ে দাড়িয়েছে।
তৌহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, করোনাভাইরাসের কোনো লক্ষণ বা উপসর্গ না থাকা সত্ত্বেও গত ৩ জুন তার এক চাচার মাধ্যমে তিনিসহ আরো চারজন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল থেকে পরীক্ষার জন্য নমুনা দিতে নির্ধারিত ফরম পূরণ করেন।

পরদিন দুপুরে তাদেরকে নমুনা দেয়ার জন্য হাসপাতালের নমুনা সংগ্রহ বুথে যেতে বলা হয়। কিন্তু ওইদিন দুপুরে জরুরী কাজে আটকে যাওয়ায় তিনিসহ ওই চারজনের কেউই নমুনা দিতে পারেননি।
গত মঙ্গলবার বিকেলে তার মুঠোফোনে কল করে একজন জানান, জেলায় আসা কোভিড-১৯ পজেটিভ রোগীর নামের সাথে তার নামও রয়েছে। এজন্য তাকে আইসোলেশনে থাকতে বলা হয়।
তিনি বলেন, আমার সাথে ফরম পূরণ করা বাকি চারজনের কেউ ফোন পায়নি। শুধু আমাকেই ফোন করে বলা হয়েছে আমি কোভিড-১৯ পজেটিভ। খবরটি শুনে মাথায় বাজ পড়ে। আমিতো নমুনাই দেইনি, তাহলে পজেটিভ হলাম কিভাবে? এজন্য আমাকে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখী হতে হচ্ছে। তবে খবরটি জানার পর থেকেই আমি ঘরে আলাদাভাবে থাকছি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ শওকত হোসেন বলেন, কী কারণে এমনটি হয়েছে সেটি আমরা খতিয়ে দেখছি। যারা নমুনা সংগ্রহের দায়িত্বে আছেন তাদেরকে ডেকে এনে এটি ভেরিফাই করার জন্য বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ বলেন, ‘বিষয়টি আমরা যাচাই-বাছাই করছি। যাচাই-বাছাইয়ের আগে এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না।

নমুনা না দিয়েই যুবকের করোনা পজেটিভ !

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি নির্ধারিত মাস্ক ব্যবহার না করে চলাচল এবং সরকার নির্ধারিত স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গ করার দায়ে ৩৪ মামলায় ৬৮ হাজার ৬ শত ৯০ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। বুধবার দুপুরে পর্যন্ত সদর উপজেলার পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে পৃথক এই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়।

সদর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা পঙ্কজ বড়ুয়ার নেতৃত্বে পৃথক ভ্রাম্যমান আদালত চলাকালে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট প্রশান্ত বৈদ্য ও কিশোর কুমার দাসসহ সদর থানার পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।

ভ্রাম্যমানে আদালতে নেতৃত্ব দেওয়া সদর ইউএনও পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, সরকার কর্তৃক নির্ধারিত স্বাস্হ্য বিধি মেনে চলার জন্য জনগনকে বাব বার বলা হচ্ছে। কিন্তু তারা মাস্ক না পরেই বাহিরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বুধবার দুপুরে সদর উপজেলার পৌরশহরের বিভিন্ন স্থানে মাস্ক ব্যবহার না করে চলাচল এবং সরকার নির্ধারিত স্বাস্থ্যবিধিমেনে না চলার কারণে সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন-২০১৮ এর ২৫ এর ১(খ) ধারা লংঘনের দায়ে পৃথক পৃথক ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ৩৪ টি মামলায় ৬৮ হাজার ৬ শত ৯০ টাকা জরিমানা করা হয়। তিনি বলেন, ভ্রাম্যমান আদালতের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

###

মাস্ক ব্যবহার না করায় ৬৯ হাজার টাকা জরিমানা আদায়

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কর্মহীন শতাধিক ব্রাহ্মণ পুরোহিতের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে শহরের কেন্দ্রীয় মন্দির শ্রীশ্রী আনন্দময়ী কালিমন্দির প্রাঙ্গণে চেয়ারে বসিয়ে পুরোহিতদের মাঝে এইসব ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করাহয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান।
প্রধান অতিথির বক্ত্যবে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান বলেন, সারা বিশ্ব এখন কঠিন সময় পার করছে। এতে করে জীবন জীবিকা সংকটাপন্ন হয়ে পড়েছে। মন্দিরেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হচ্ছে। যার কারণে পুরোহিতদেরও অসুবিধা হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সবদিকেই খোঁজ খবর রাখছেন। তিনি প্রত্যেকের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য সহ সহায়তা নিশ্চিত করেছেন। সমাজের সর্বশ্রেণী পেশার মানুষের মাঝে সে খাদ্য পৌছে দেয়া হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে আজকে পুরোহিতদের মাঝে এই ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।

এসময় অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, সদর উপজেলার নিবার্হী কর্মকতা পঙ্কজ বড়ুয়া, শ্রীশ্রী আনন্দময়ী কালি মন্দিরের ট্রাষ্টি কমিটির সভাপতি প্রানতোষ চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব দীপক চৌধুরী বাপ্পী, প্রেসক্লাবের সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা,
ইলেকট্রনিক মিডিয়া জার্নালিষ্ট এ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক উজ্জল চক্রবর্তী,
ব্রাহ্মণ পুরোহিত কল্যাণ সংঘের সভাপতি হরিশংকর চক্রবর্তী ও ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক প্রবীর আচার্য সহ ব্রাহ্মণ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

###

চেয়ারে বসিয়ে পুরোহিতদের ত্রান দিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা প্রশাসন

প্রেস‌ বিজ্ঞ‌প্তিঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের কুট্টাপাড়া এলাকা থেকে ৪৩ কেজি গাঁজা‘সহ মাদক ব্যবসায়ী সজল মিয়া(৩৮)’কে আটক করেছে র‌্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্প।

১। “বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র‌্যাব যুব সমাজ তথা বাংলাদেশ’কে মাদকের ভয়াল থাবা, সন্ত্রাস, জঙ্গী, ছিনতাই, ডাকাতি, জুয়া, অপহরণ, খুন, ধর্ষণ, অসাধু ডিলার’সহ বিভিন্ন ধরণের অবৈধ কর্মকান্ড থেকে রক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দেশব্যাপী আপোষহীন অবস্থানে থেকে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

২। এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্প গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, একটি মাদক ব্যবসায়ী চক্র নিয়মিত মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানা এলাকা হতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাইকারি/খুচরা বিক্রয় করে থাকে। উক্ত তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য উক্ত মাদক ব্যবসায়ী চক্রের উপর র‌্যাবের নিরবিচ্ছিন্ন গোয়েন্দা নজরদারী চালানো হয় এবং তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায়। জানা যায় অদ্য ১৮/০৫/২০২০ ইং তারিখ রাতে মাদকদ্রব্য গাঁজার একটি বড় চালান ঢাকার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাবে। এরই প্রেক্ষিতে ভৈরব র‌্যাব ক্যাম্পের স্কোয়াড কমান্ডার সিনিয়র সহকারী পরিচালক চন্দন দেবনাথ এর নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল ১৮/০৫/২০২০ ইং তারিখ অনুমান ২১.৪৫ ঘটিকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানাধীন ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কুট্টাপাড়া এলাকায় লাল পাম্পের সামনে রাস্তার উপর অভিযান পরিচালনা করে ১। মোঃ সজল মিয়া (৩৮), পিতা-মৃত আব্দুল গফুর, সাং-লাখাই, থানা-কালোক, জেলা-হবিগঞ্জ, এ/পি-সাং-আশুগঞ্জ পূর্ব বাজার শরীফ মিয়ার বাসা, থানা- আশুগঞ্জ, জেলা- ব্রাহ্মণবাড়িয়া‘কে আটক করা হয়। আটককৃত আসামীর দখল হইতে (ক) ৪৩ কেজি মাদকদ্রব্য গাঁজা, (খ) মাদক বিক্রির নগদ ৭,৬০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত আলামতের আনুমানিক মূল্য ১২,৯৭,৬০০/- টাকা। ধৃত আসামীর বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন।

রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার
সিনিয়র সহকারী পরিচালক
কোম্পানী অধিনায়ক
র‌্যাব-১৪, ভৈরব ক্যাম্প।
মোবাঃ ০১৭৭৭৭১১৪৩৩।

৪৩ কেজি গাঁজা‘সহ মাদক ব্যবসায়ী সজল মিয়া(৩৮)’কে আটক করেছে র‌্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্প।


ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ২৪ ঘন্টা কর্মরত সকল চিকিৎসকদের মাসব্যাপী ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী প্রদান কর্মসূচি হাতে নিয়েছে আল-মদিনা ফার্মাসিউটিক্যালস।

ইতোমধ্যে কোম্পানিটির পক্ষে আজ শনিবার থেকে এসব সামগ্রী বিতরণ শুরু করা হয়েছে।

কর্মসূচীর প্রথম দিনে কোম্পানির আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আজহার উদ্দিন ২৫০-শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. শওকত হোসেনের কাছে সামগ্রী তুলে দেন। এছাড়া জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক ফায়েজুর রহমান ও জয়নাল আবেদীনের কাছেও সুরক্ষা সামগ্রী তুলে দেয়া হয়।

 

কোম্পানির আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আজহার উদ্দিন জানান, প্রতিদিন আট ঘন্টা করে পালাক্রমে তিনজন চিকিৎসক জরুরি বিভাগে সেবা প্রদানে নিয়োজিত থাকেন। করোনাভাইরাসের এই সংকটকালে মাসব্যাপী এসব চিকিৎসকদের প্রতিদিন ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী দিবে কোম্পানি।

চিকিৎসকদেরকে দেয়া সুরক্ষা সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে- এন-৯৫ মাস্ক, সার্জিকেল মাস্ক, হাতের গ্লাভস, মপ ক্যাপ, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, সু কাভার।

সুরক্ষা সামগ্রী হাতে পেয়ে ডা. ফায়েজুর রহমান বলেন, ইমার্জেন্সির ডাক্তাররা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। এসব ডাক্তারদের প্রতিদিন ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী প্রদান সত্যিকার অর্থেই প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এমন মহৎ কাজটি ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে একমাত্র আল-মদিনা ফার্মাসিউটিক্যালসই করে যাচ্ছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. শওকত হোসেন বলেন, এর আগেও আল-মদিনা ফার্মাসিউটিক্যালস কর্তৃপক্ষ হাসপাতালে কর্মরত সকল চিকিৎসকদের পিপিইসহ যাবতীয় নিরাপত্তা সামগ্রী প্রদান করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এবার মাসব্যাপী কর্মসূচীর আওতায় প্রতিদিন সামগ্রী দিয়ে কোম্পানিটি বিশেষ মানবিকতার প্রমান দিয়েছে, যা অন্য কোন বেসরকারি ওষুধ উৎপাদনকারি কোম্পানি করেনি।

উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণ শুরুর দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত সকল সাংবাদিক ও চিকিৎসকদেরকে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী ও ওষুধ প্রদান করেছিল আল-মদিনা ফার্মাসিউটিক্যালস।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চিকিৎসকদের মাসব্যাপী সুরক্ষা সামগ্রী দিবে আল-মদিনা ফার্মাসিউটিক্যালস

সোহেল আহাদ/নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিশ্ব বিখ্যাত বরেণ্য ইসলামী চিন্তবিদ ও আলোচক আল্লামা হযরত মাওলানা যুবায়ের আহমদ আনসারীর জানাজায় লাখো মানুষের ঢল নেমেছে। করোনা পরিস্থিতিতে হোম কোয়ারেন্টাইন ও লকডাউন উপেক্ষা করে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখেই লাখো মানুষ তাঁর জানাজায় অংশ নেন।
শুক্রবার বিকাল ৫টা ৪৫ মিনিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের মার্কাসপাড়ায় নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন যুবায়ের আহমেদ আনসারী (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে, চার মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

শনিবার (১৮এপ্রিল) সকাল ১০টায় সরাইল উপজেলার জামিয়া রহমানিয়া বেড়তলা মাদরাসা প্রাঙ্গণে এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তবে জানাজায় অংশ নেয়া লোকদের লোকারণ্যে মাদরাসা মাঠ ছাড়িয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দুই পাশে ছড়িয়ে যায়। একদিকে বিশ্বরোড মোড় হয়ে সরাইলের মোড় পর্যন্ত অন্যদিকে আশুগঞ্জের কাছাকাছি গিয়ে ঠেকে লোকজন। এ ছাড়া ওই এলাকার বিভিন্ন ভবনের ছাদেও মানুষের উপস্থিতি দেখা যায়। সেখানে উপস্থিত কিছু পুলিশ ছিল এক প্রকার নীরব দর্শক।
সরাইল থানার ওসি মো. শাহাদাৎ হোসেন টিটু লাখো মানুষ সমাগমের বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন এসে জানায় শরীক হন। এতো লোকের সমাগম হবে আমরা চিন্তাও করতে পারিনি। লোকজন আসতে শুরু করার পর আমাদের আর কিছু করার ছিল না। তবে বলার পর উপস্থিত লোকজন সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়ান বলে তিনি জানান।

যুবায়ের আহমেদ বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের নায়েবে আমির এবং বেড়তলা মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ছিলেন। এ ছাড়া তিনি একাধিক মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। ইসলামী আলোচক হিসেবে তাঁর খ্যাতি বিশ্বজুড়ে।

যুবায়ের আহমদ আনসারীর জানাজায় লাখো মানুষের ঢল

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে জুয়া খেলার সময় ৮জন জুয়ারিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার রাতে উপজেলার শাহজাদাপুর ইউনিয়নের ধাউরিয়া গ্রাম থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, নাসিরনগর উপজেলার বিমল সরকার-(২৭), সরাইল উপজেলার নিয়ামতপুর গ্রামের সরণ সরকার-(২৮), একই উপজেলার মলাইল গ্রামের নির্মল চন্দ্র দাস-(৩০), একই এলাকার গৌর সরকার-(৫০), শ্যামল সরকার-(৩০), সবুজ সরকার-(২০) ও নিতু সরকার-(৫০), ধাউরিয়া এলাকার সুজন মালাকার-(২৮) প্রমুখ।

পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে সরাইল উপজেলার শাহজাদাপুর ইউনিয়নের ধাউরিয়া গ্রামের একটি জমিতে বসে জুয়া খেলার সময় তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ব্যাপারে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাহাদাত হোসেন টিটো বলেন, গতকাল শনিবার সকালে গ্রেপ্তারকৃতদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
###

সরাইলে জুয়া খেলার সময় ৮ জুয়ারি গ্রেপ্তার

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে সোমবার বিকেলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) উপস্থিতিতে দাঙ্গা বিরোধী শপথ নেয়ার কয়েক ঘন্টা পরেই প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে দাঙ্গাবাজরা। হামলাকারীরা প্রতিপক্ষের পাঁচ-ছয়টি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক লুটপাট করে। গত সোমবার রাতে উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত আছে। হত্যা মামলাকে ভিন্নখাতে নিতে আসামী পক্ষটি হামলা ভাঙচুরের ‘নাটক’ সাজাতে পারে বলেও পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১৩ অক্টোবর রাজাপুর গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত মোঃ আবদুল কাদিরের ছেলে মোঃ আবদুল্লাহ মিয়া (৬৫) নামের এক বৃদ্ধ গত ২৫ অক্টোবর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান। গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রাজাপুর গ্রামের চকবাজারে সাফিল মিয়ার সাথে তার প্রতিবেশি মনির মিয়ার বাগবিতন্ডা হয়। এ ঘটনার জের ধরে সাফিল মিয়ার বাড়িতে হামলা হয়।

এতে আহত হন আবদুল্লাহ মিয়া। আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর হাসপাতালে ও পরে ঢাকার মোহাম্মদপুর সিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। আব্দুল্লাহ মিয়ার মৃত্যুর খবরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিপক্ষের কয়েকটি বাড়িতে হামলার ঘটনাও ঘটে।

এ অবস্থায় গত সোমবার বিকেলে ওই গ্রামে দাঙ্গা বিরোধী সমাবেশের ডাক দেয় সরাইল থানা পুলিশ। এতে ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যানসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। ওই সভায় সবাইকে হাত উঁচিয়ে দাঙ্গায় না জড়ানোর শপথ করানো হয়।

‘হে সৃষ্টিকর্তা আমরা আপনাকে সাক্ষী রেখে শপথ করেতেছি যে, আমরা আজ থেকে কোনো মারামারি, দাঙ্গাহাঙ্গামায় লিপ্ত হবো না। নিজেদের মধ্যে কোনো বিরোধ হলে নিজেরা মীমাংসা করে নিবো। না হলে প্রশাসনের শরনাপন্ন হবো। আজ থেকে কোনো দিন অস্ত্র হাতে তুলে নিবো না। হে সৃষ্টিকর্তা আপনি আমার শপথ কবুল করুন। আমিন’। এই বলে শপথ নেন গ্রামবাসী। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে গ্রামের লোকজন কিছু দেশীয় অস্ত্রও জমা দেন। সমাবেশ শেষ হওয়ার কয়েক ঘন্টা পরই আসামী পক্ষের পাঁচ-ছয়টি বাড়িতে হামলা, লুটপাটের ঘটনা ঘটে।

এ ব্যাপারে অরুয়াইল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বলেন, ‘সোমবার সমাবেশ শেষ করার পরই কয়েকটি বাড়িতে হামলা হয়। পুলিশের সাথে কথা বলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা করছি।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শাহাদাৎ হোসেন টিটু বলেন, ‘ওই এলাকায় আমরা সমাবেশ করেছি। এলাকার পরিস্থিতি শান্ত আছে। পুলিশ ওই গ্রামে যাওয়া-আসা করছে। তবে হত্যা মামলাটি ভিন্নখাতে নিতে বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনা সাজানো হতে পারে।
###

সরাইলে বিকেলে পুলিশের সাথে দাঙ্গা বিরোধী শপথ রাতে প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর!

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে শনিবার দিনভর ফ্রি ব্লাড গ্রুপিং ও ডেন্টাল চেকআপ অনুষ্ঠিত হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উৎসর্গ ফাউন্ডেশন নামে একটি সংগঠনের উদ্যোগে উপজেলার শাহবাজপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে এই আয়োজন করা হয়।

সকালে শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রাজীব আহমেদ রাজ্জি ফ্রি ব্লাড গ্রুপিং ও ডেন্টাল চেকআপ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

ঢাকার ৫জন চিকিসকসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কয়েকজন চিকিৎসক দিনভর রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেন।

আয়োজকদের অন্যতম উদ্যোক্তা পলি আক্তার জানান, সকাল নয়টা থেকে বেলা তিনটা পর্যন্ত সাড়ে তিন মানুষ ব্লাড গ্রুপিং ও দুইশ’ মানুষ দাঁতের চিকিৎসা নেন।
###

সরাইলে ফ্রি ব্লাড গ্রুপিং ও ডেন্টাল চেকআপ

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে “ধর্মতীর্থ গণহত্যা দিবস” পালিত হয়েছে।শুক্রবার সকালে কালীকচ্ছ ইউনিয়নের ধর্মতীর্থ বধ্যভূমিতে সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা, সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফারজানা প্রিংয়াকা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আনোয়ার হোসেনসহ আরো অনেকে বধ্যভূমিতে পুস্পমাল্য অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

পরে কালীকচ্ছ ইউনিয়ন শাখা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার রমেশ চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা, সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফারজানা প্রিংয়াকা, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের এই দিনে ধর্মতীর্থ এলাকায় রাজকারদের সহায়তায় উপজেলার চুন্টা ও কালীকচ্ছ ইউনিয়নের শতাধিক নারী-পুরুষকে একত্র করে (যার অধিকাংশ সংখ্যালঘু) হত্যা করা হয়। এটি ধর্মতীর্থ গণহত্যা নামে পরিচিত।

স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা জানান, ১৯৭১ সালের ৬ অক্টোবর মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধারা মাইন বিস্ফোরণ ঘটিয়ে উপজেলার কালীকচ্ছ ধর্মতীর্থ এলাকায় স্থানীয় রাজাকার প্রধান ও সরাইল থানা শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান মুসলীম লীগ নেতা আবদুল মন্নাফ ঠাকুর ও তার দোসর পাকিস্তানী সেনা কর্মকর্তা (ক্যাপ্টেন) এ রহমান খানসহ কয়েকজন পাকসেনাকে হত্যা করেন। এর কয়েকদিন পর ধর্মতীর্থ নৌকাঘাটে নাসিরনগর সদর ইউপির তৎকালীন চেয়ারম্যান ও নাসিরনগর থানা শান্তি কমিটির আহবায়ক সৈয়দ সওয়াব মিয়া চৌধুরীসহ কয়েকজন পাকসেনাকে হত্যা করে অস্ত্রশস্ত্র কেড়ে নেয় মুক্তিযোদ্ধারা। এসব ঘটনার প্রতিশোধ ১৮ অক্টোবর পাকসেনারা স্থানীয় রাজাকার খন্দকার ফয়েজ আহমেদ ও এমদাদুল হক টাক্কাবালীর নেতৃত্বে ধর্মতীর্থ নৌকাঘাটে গণহত্যা চালায়।
###

সরাইলে ধর্মতীর্থ গণহত্যা দিবস পালিত

ফেসবুকে আমরা..