স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে শিশু ও নারীর উন্নয়নে সচেতনতামূলক যোগাযোগ কার্যক্রম-(৫ম পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় নিরাপদ মাতৃত্ব, কোভিড-১৯ প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টি, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতারোধ, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ, মাদকদ্রব্যের অপব্যবহাররোধ, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ প্রতিরোধ বিষয়ে নেতৃত্ব স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের অংশগ্রহনে এক ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে রুমে জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডাঃ রাফিউদ্দিন আহমেদ।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার হালিমা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ ফজলে ইয়াজ আল হোসাইন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুবিনা আক্তার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা তথ্য অফিসার আসাদুজ্জামান কাউছার।

কর্মশালায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মেডিকেল অফিসার তানভীর হাসান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আজহারুল ইসলাম ভুইয়া, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ ইকবাল মিয়া, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বিশ্বজিত দাস, ইউপি চেয়ারম্যান দেওয়ান আতিকুর রহমান আখিঁ, তথ্য আপা ঝরনা আক্তার, ইউপি সদস্য নারগিছ আক্তার, মাওলানা কাজী আলাউদ্দিন আহমেদ, সাংবাদিক সুজিত কুমার চক্রবর্তী, সাংবাদিক আকতার হোসেন ভুইয়া প্রমূখ।

কর্মশালায় উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগন, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, ইমাম, পুরহিতসহ নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহন করেন।

নাসিরনগরে শিশু ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে দূর্যোগ বিষয়ক স্থায়ী আদেশাবলী (এসওডি)-২০১৯” দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জেন্ডার সংবেদনশীল দূর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও জলবায়ু পরিবর্তনে যথাযথ বাস্তবায়ন ও অবহিতকরণ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা আজ  সকালে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বি.এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার হালিমা খাতুনের সভাপতিত্বে ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডাঃ রাফিউদ্দিন আহমেদ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ ফজলে ইয়াজ আল হোসাইন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুবিনা আক্তার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাবিবুল্লাহ সরকার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা ত্রাণ ও পূর্নবাসন কর্মকর্তা মোঃ মাহবুুবুল আলম।

কর্মশালায় উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগন, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ ইউপি সচিব ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

নাসিরনগরে দূর্যোগ বিষয়ক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ সকালে উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে স্থানীয় ডাকবাংলো মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বি.এম. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম।

উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডাঃ রাফিউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ ওয়াহেদুল্লাহ, খাজাউর রহমান মোল্লা, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা অঞ্জন কুমার দেব প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে এক দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

নাসিরনগরে আওয়ামীলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে কিশোর-কিশোরী ক্লাব স্থাপন প্রকল্পের আওতায় উপজেলার ১৩টি কিশোর-কিশোরী ক্লাবে সাংস্কৃতিক উপকরণ ও ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। আজ সকালে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে স্থানীয় সংসদ সদস্য বি.এম. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম এসব উপকরণ বিতরণ করেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার হালিমা খাতুনের সভাপতিত্বে ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বিশ্বজিত দাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ডাঃ রাফিউদ্দিন আহমেদ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ ফজলে ইয়াজ আল হ্সোাইন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুবিনা আক্তার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল্লাহ সরকার।

বক্তব্য রাখেন স্বর্ণ কিশোরী দিপ্তী চৌধুরী ও রাখী দাস। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি প্রতিটি ক্লাবে ১টি করে ক্যারমবোর্ড, দাবা, লুডু, হারমোনিয়াম, তবলা সেট প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের সংশ্লিষ্ট ক্লাবের সংগীত ও আবৃত্তি শিক্ষকবৃন্দ ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

নাসিরনগরে কিশোর-কিশোরী ক্লাবে সাংস্কৃতিক উপকরণ ও ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে “শান্তি শৃংখলা উন্নয়ন নিরাপত্তায় আমরা সর্বত্রই” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর বার্ষিক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকালে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বি.এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার হালিমা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মত বিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আনসার ভিডিপির কুমিল্লার রেঞ্জ পরিচালক ডঃ মোঃ শফিকুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমান্ড্যান্ট আবদুল্লাহ আল হাদী, উপজেলা চেয়ারম্যান ডাঃ রাফিউদ্দিন আহমেদ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ ফজলে ইয়াজ আল হোসাইন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুবিনা আক্তার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল্লাহ সরকার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা মিজানুর রহমান।

বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা চন্দন কুমার পোদ্দার,আনসার ভিডিপি ব্যাংক ম্যানেজার মাহবুবুল হাসান, ইউনিয়ন দলনেতা ফকরুল ইসলাম, দলনেত্রী ইসলিমা বেগম ও নাজনিন চৌধুরী। সভায় ভাল কাজের জন্য ১১ জন আনসার ভিডিপি সদস্যকে পুরষ্কৃত করা হয়। মতবিনিময় সভায় উপজেলার ২০০ নারী ও পুরুষ আনসার-ভিডিপি সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

নাসিরনগরে আনসার-ভিডিপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দ্বিতীয়ধাপে প্রধানমন্ত্রীর উপহার সরকারি ঘর পেয়েছেন ৬৮১ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। গতকাল (সোমবার) বেলা সোয়া ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গনভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশে একযোগে আশ্রয়ন প্রকল্প-২-এর আওতায় এসব ঘর উদ্বোধন করেন।

প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর পরই জেলার ৯টি উপজেলায় ৬৮১জন উপকারভোগীদের মধ্যে সংশ্লিষ্টরা এসব বাড়ির দলিল হস্তান্তর করেন।

৯টি উপজেলার মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় ১২৫টি পরিবার, বিজয়নগর উপজেলায় ১৪৯টি পরিবার, সরাইল উপজেলায় ৩১টি পরিবার, নবীনগর উপজেলায় ১৫টি পরিবার, নাসিরনগর উপজেলায় ৩১টি পরিবার, বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ৬০টি পরিবার, আশুগঞ্জ উপজেলায় ২০ টি পরিবার, কসবা উপজেলায় ২০০টি পরিবার ও আখাউড়া উপজেলায় ৫০ টি পরিবার পেয়েছেন সরকারি এই ঘর।

এদিকে দ্বিতীয়ধাপে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার সরকারি ঘরের দলিল হস্তান্তর উপলক্ষে নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ চত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বি.এম. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার হালিমা খাতুনের সভাপতিত্বে ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা চন্দন কুমার পোদ্দারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ডাঃ রাফিউদ্দিন আহমেদ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ ফজলে ইয়াজ আল হোসাইন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুবিনা আক্তার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল্লাহ সরকার প্রমুখ।

আলোচনা সভা শেষে উপকারভোগীদের মধ্যে ঘরের দলিল ও চাবি হস্তান্তর করেন বি.এম. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম এমপি।
সরাইলে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মধ্যে সরকারি ঘরের দলিল ও চাবি হস্তান্তর উপলক্ষে উপজেলার সিরাজুল ইসলাম অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সংরক্ষিত নারী আসনের-(৩১২) সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আরিফুল হক মৃদুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন-সহকারি পুলিশ সুপার (সরাইল সার্কেল) মোঃ আনিসুর রহমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া বেগম, ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আবু হানিফ, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক অ্যাডভোকেট মোঃ নাজমুল হোসেন প্রমুখ।

আখাউড়ায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মধ্যে সরকারি ঘরের দলিল ও চাবি হস্তান্তর উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভূঁইয়া, পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূর-এ-আলম, উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক জয়নাল আবেদীন প্রমুখ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দ্বিতীয়ধাপে ৬৮১টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে সরকারি ঘরের দলিল হস্তান্তর


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিণবেড় গ্রামবাসী ও যুব সমাজের উদ্যোগে হরিণবেড় মিনিবার ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২১ -এর ফাইনাল খেলা গতকাল (১৭ মে) বিকেলে হরিণবেড় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।

ফাইনাল খেলা প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন ও পুরস্কার বিতরণ করেন হরিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজী মোঃ ফারুক মিয়া।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অরুন জ্যোতি ভট্রার্চায, উপজেলা যুবলীগ নেতা মহিদুজ্জামান টিটু, দুলন খান, সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা প্রভাষক নির্মল চৌধুরী, ইউপি সদস্য প্রফুল্ল দাস, মোহন লাল দাস, অ্যাডভোকেট অনতুষ দাস, আয়োজক কমিটির সদস্য আশুতোষ দাস, রসরাজ দাস, পল্টন দাস প্রমুখ।

ফাইনাল খেলায় হরিণবেড় সিনিয়র একাদশ দল ও জুনিয়র একাদশ দল মুখোমুখী হয়। খেলায় হরিণবেড় জুনিয়র একাদশ টাইব্রেকারে ২-১ গোলে সিনিয়র একাদশকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়। খেলা শেষে প্রধান অতিথি চ্যাম্পিয়ন দলকে এলইডি টিভি প্রদান করেন। উল্লেখ্য এই ফুটবল টুর্নামেন্টে মোট ১০ টি দল অংশ গ্রহন করে।

নাসিরনগরে মিনিবার ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার হুরল বিলে মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে। আজ সকালে উপজেলা মৎস্য বিভাগের উদ্যোগে উপজেলার জেঠাগ্রামের দক্ষিণপাশে হুরল বিলের মাঠে দেশীয় প্রজাতির মাছের ৪৭০ কেজি পোনা অবমুক্ত করা হয়।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডাঃ রাফি উদ্দিন আহমেদ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার হালিমা খাতুন এসব পোনা অবমুক্ত করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলার গোকর্ণ ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক ছোয়াব আহমেদ হৃতুল, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শুভ্র সরকার, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা ফারহানা খন্দকার, সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সজিব কুমার চৌধুরী, ক্ষেত্র সহকারী শরীফা বেগম, ইউপি সদস্য তসু দাসসহ প্রমুখ।

উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থ বছরের ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি গ্রোগ্রাম ফেজ-২ এর আওতায় উপজেলার উন্মুক্ত জলাশয়ে দেশীয় প্রজাতির মাছের বংশ বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে পোনা মাছ অবমুক্ত করা হয়।

নাসিরনগরে জলাশয়ে মাছের পোনা অবমুক্ত


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ভিজিডি কর্মসূচীর চাল কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে বস্তা পরিবর্তন করে পাচারের সময় হ্যান্ড ট্রলিসহ ১৩শ কেজি চাল জব্দ করেছে পুলিশ। আজ সকালে উপজেলার গোয়ালনগর ইউনিয়নের নৌকা ঘাট থেকে এই চাল জব্দ করা হয়।
স্থানীয়রা ১৩ কেজি চাল জব্দ করার কথা বললেও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দাবি ৯শ কেজি চাল জব্দ করা হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গত মঙ্গলবার (১৫ জুন) গোয়ালনগর ইউনিয়নের ১২৭ জন হতদরিদ্র নারীর মধ্যে ভিজিডি কর্মসূচির তিন হাজার আটশ কেজি চাল বিতরণ করার কথা ছিলো। কিন্তু এসব চালের মধ্যে ১৩শ কেজি চাল কালোবাজারির কাছে বিক্রি করে দেয়া হয়।

বুধবার সকালে গোয়ালনগর নৌকা ঘাটে স্থানীয় বাসিন্দা মমিন মিয়া ও শফিকুল মিয়া এইসব চাল সরকারী বস্তা পরিবর্তন করে অন্য বস্তায় ভরার সময় স্থানীয়রা দেখতে পায়। পরে স্থানীয়রা নৌকা ঘাটে গেলে পাচারকারি মমিন মিয়া ও শফিকুল মিয়া পালিয়ে যায়। এ সময় একটি হ্যান্ড ট্রলিসহ ৪৪ বস্তা (১৩শ কেজি) চাল জব্দ করে স্থানীয়রা।
পরে স্থানীয়রা বিষয়টি পুলিশ, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে এসব চাল জব্দ করে।

গোয়ালনগর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুল হক মিয়া জানান, নৌকা ঘাটে প্রকাশ্যে সরকারী বস্তা পরিবর্তন করে চাল অন্য বস্তায় ভরে পাচার করার সময় আমি এগিয়ে গেলে তারা পালিয়ে যায়। পরে আমি বিষয়টি গ্রামবাসীকে জানালে সবাই মিলে চাল আটক করি। উপজেলা প্রশাসনকে বিষয়টি অবগত হলে পুলিশ এসে চাল জব্দ করে।
এ ব্যাপারে গোয়ালনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আজহারুল হক বলেন, আমি বিষয়টি শুনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি। তিনি বলেন, ১৩শ কেজি নয়, ৯শ কেজি চাল জব্দ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিচুল হক সাংবাদিকদের কাছে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জব্দকৃত চাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের জিম্মায় রাখা হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হালিমা খাতুন বলেন, গোয়ালনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান চাল আটকের বিষয়টি ফোন করে আমাকে অবহিত করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নাসিরনগরে পাচারের সময় ১৩শ কেজি ভিজিডির চাল জব্দ


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
হেফাজতে ইসলামের নারকীয় তান্ডবের দীর্ঘ ৮০ দিন পর অবশেষে গতকাল মঙ্গলবার থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রা বিরতি দিতে শুরু করেছে ট্রেন। মঙ্গলবার সকালে তিতাস কমিউটার ট্রেনের যাত্রা বিরতির মধ্য দিয়ে ধ্বংস স্তূপে পরিণত হওয়া এই স্টেশনটিতে আবারো প্রানচাঞ্চল্য ফিরে আসে। মঙ্গলবার ভোর থেকে স্টেশনে চার জোড়া মেইল ও কমিউটার ট্রেনের যাত্রা বিরতির মধ্য দিয়ে স্টেশনে পুনরায় ট্রেনের যাত্রা বিরতি শুরু হয়েছে। আজ থেকে একটি আন্তঃনগর পারাবত ট্রেনও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় থামবে।

মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তির অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা গত ২৬ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনটিতে হামলা করে ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করে। হামলাকারীরা স্টেশনের কন্ট্রোল প্যানেল বোর্ডসহ মূল্যবান জিনিসপত্র আগুনে পুড়িয়ে দিলে পরদিন ২৭ মার্চ থেকে স্টেশনটিতে সব ধরনের ট্রেনের যাত্রা বিরতি বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ ।

এদিকে স্টেশনটিতে ট্রেনের যাত্রাবিরতি বন্ধ করে দিলে দুর্ভোগে পড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী। তারা বাধ্য হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে জংশন অথবা কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব রেলওয়ে জংশন থেকে ট্রেনে চড়তে হতো। আবার অনেকেই বাসে করে যাতায়ত করতো।

এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনের যাত্রা বিরতি বন্ধ করে দেয়ার পর স্টেশনটির সংস্কার করে পুনরায় ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল, প্রতিবাদ সভাসহ আন্দোলনে নামে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন। গত ৫ জুন সন্ত্রাস প্রতিরোধ মঞ্চ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ব্যানারে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন স্টেশন চত্বরে মানববন্ধন করে। মানববন্ধন থেকে ২০ জুনের মধ্যে ট্রেনের যাত্রাবিরতির ব্যবস্থা না করলে রেলপথ অবরোধের আল্টিমেটাম দেয়া হয় ।

এদিকে গত ১৩ জুন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ডিজিটাল সিগন্যালিং ব্যবস্থা পুনঃস্থাপিত না হওয়া পর্যন্ত স্টেশনটিকে ‘বি’গ্রেড থেকে ‘ডি’গ্রেডে রুপান্তর করে সনাতনি পদ্ধতিতে সীমিত সংখ্যক ট্রেনের যাত্রা বিরতির সিদ্ধান্ত নেয়। এই সিদ্ধান্তের আলোকে মঙ্গলবার ভোর থেকে স্টেশন থেকে চার জোড়া ট্রেনের যাত্রাবিরতি শুরু হয়েছে। সীমিত সংখ্যক ট্রেনের যাত্রাবিরতিতে যাত্রী সাধারণের মধ্যে কিছুটা সন্তোষ ফিরে আসলেও তারা স্থগিতকৃত অবশিষ্ট আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর দ্রুত যাত্রাবিরতির ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাগরিক ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক পিযুষ কান্তি আচার্য্য বলেন, ম্যানুয়েল পদ্ধতিতে যদি পাঁচ জোড়া ট্রেন চালানো যায় তাহলে অবশিষ্ট আন্তঃনগর ট্রেনগুলোও চালানো যাবে। তাই একই পদ্ধতিতে বাকি আন্তঃনগর ট্রেনগুলো থামার ব্যবস্থা করারও দাবি জানান তিনি।

একই দাবি জানান সন্ত্রাস প্রতিরোধ মঞ্চ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংগঠক অ্যাডভোকেট মোঃ নাসির। তিনি বলেন, ঢাকা ও চট্টগ্রামের মধ্যে চলাচলকারী বিভিন্ন আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি না হলে যাত্রীরা ট্রেন থামার সুফল পুরোপুরি ভোগ করতে পারবেন না। তিনি দ্রুত সংস্কার শেষে স্টেশনটিকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে পূর্বে যাত্রা বিরতি দেয়া সকল ট্রেনের পুনরায় যাত্রা বিরতি দেয়ার দাবি জানান।
সরজমিনে দেখা গেছে, ৪ জোড়া ট্রেনের যাত্রা বিরতির মধ্যদিয়ে দীর্ঘ দিন পর আবারো প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেনে। যাত্রা বিরতর খবরে স্বস্তি ফিরে আসে পূর্বাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ এই স্টেশন দিয়ে চলাচলকারী যাত্রীদের মাঝে। সকালে তিতাস কমিউটার ট্রেনের যাত্রা বিরতির মধ্য দিয়ে ধ্বংস স্তূপে পরিণত হওয়া এই স্টেশনটিতে আবারো প্রানচাঞ্চল্য ফিরে আসে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ২ মাস ২০ দিনে অন্তত আড়াই কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে সুরমা মেইল, ময়মনসিংহ এক্সপ্রেস, তিতাস কমিউটার ও কর্ণফুলী এক্সপ্রেসট্রেন যাত্রাবিরতি করেছে। বুধবার ১৬ জুন থেকে নিয়মিত যাত্রাবিরতি করবে ঢাকা-সিলেট রেলপথে চলাচলকারী আন্তঃনগর পারাবত এক্সপ্রেস।

সিগন্যালিং ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পাশ্ববর্তী তালশহর ও পাঘাচং স্টেশনের মাধ্যমে লাইন ক্লিয়ারিং এর কাজ চলবে। ট্রেন থামবে গার্ড এবং চালকের সমন্বয়ে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে।

এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ শোয়েব জানান, সিগন্যালিং ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় গার্ড এবং ট্রেন চালকের সমন্বয়ে ট্রেনে যাত্রী উঠানামা করছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সিগন্যালিং ব্যবস্থা মেরামত করা হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনের যাত্রা বিরতি শুরু

ফেসবুকে আমরা..