স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিনশত বছরের প্রাচীন শ্রী শ্রী কালভৈরব মন্দিরে ৫দিনব্যাপী বার্ষিক মহাযজ্ঞ মহোৎসব শুরু হয়েছে। গতকাল রোববার শহরের পূর্ব মেড্ডা এলাকায় বৈদিক পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে ৫দিন ব্যাপী মহাযজ্ঞ উৎসব উদ্বোধন করেন মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি পলাশ ভট্টাচার্য।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারত, নেপাল ও বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পুরোহিত ও ভক্তরা উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনের পর দুপুরে জীব জগতের কল্যান কামনায় সপ্তশতী চন্ডী মহাযজ্ঞ শুরু হয়। এতে দেশ- বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ভক্তরা যজ্ঞের আহুতি হিসেবে ফল, ফুল, দুর্বা, বেলপাতা সহ বিভিন্ন পূজার সামগ্রী যজ্ঞ স্থলে প্রদান করেন।
এদিকে ৫দিনব্যাপী মহাযজ্ঞ উৎসবকে কেন্দ্র করে কালভৈরব মন্দিরের আশপাশ এলাকা ও তিতাস নদীর তীরে বসেছে লোকজ মেলা। মেলায় নাগর দোলা সহ খেলনা সামগ্রী ছাড়াও মাটির তৈরী হরেক রকমের সামগ্রীর পন্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। আগামী ৩ মার্চ পর্যন্ত চলে এই উৎসব।
যজ্ঞের প্রধান পুরোহিত শ্রী মধুসূধন চক্রবর্তী বলেন, কালভৈরব মন্দির প্রাঙ্গনে এবার ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হচ্ছে। পাঁচদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের আজ প্রথম দিন। এবারে বিশেষ আকর্ষনে চন্ডী মায়ের অপর রূপ বগলামুখী মায়েরও পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
যজ্ঞের অতিথি পুরোহিত ভারতের ত্রিপুরা থেকে আগত অনুপম ভট্টাচার্য্য বলেন, আপনারা দেখবেন ২০২৩ সালে সারা বিশ্বে অনেক ঘটনা ঘটছে। যা আমরা চিন্তা করতে পারিনা। ২০২৩ জাতি ও জীবের জন্য ভয়ঙ্কর সন্ধিক্ষণ । শনি মহারাজ এবার কুম্ভের ঘরে। আমরা যজ্ঞ করি কারণ এই যজ্ঞের ধ্বনি মহাকাশে গিয়ে প্রতিধ্বনির সৃষ্টি করে। মহাকালকে তুষ্ট করার জন্যই এই যজ্ঞ করা হয়।

এ ব্যাপারে কালভৈরব মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি পলাশ ভট্টাচার্য্য জানান, জীব ও জগতের শান্তি কামনায় প্রতি বছর যজ্ঞ অনুষ্ঠান হচ্ছে। যজ্ঞকে কেন্দ্র করে এবারো দেশ বিদেশের ভক্তরা মন্দিরে সমবেত হয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কালভৈরব মন্দিরে ৫দিনব্যাপী মহাযজ্ঞ মহোৎসব শুরু

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্দি দত্তের ৭০তম জন্মদিন পালন করেছে আবরনি আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
আজ সন্ধ্যায় আবরনির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত  আবরনির নির্বাহী পরিচালক সাংবাদিক হাবিবুর রহমান পারভেজ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ফাইভস্টার ক্লাবের সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবক আতাউর রহমান শাহীন। ঝিলমিল একাডেমির পরিচালক মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ এর উপস্থাপনায় এতে বক্তব্য রাখেন কীর্তি বিলাস এর সিইও কাজী নাজমুল ইসলাম উজ্জ্বল, সাবেক ছাত্রনেতা প্রকৌশলী হারুণ অর রশিদ মোল্লাহ, বাতিঘরের উদ্যোক্তা প্রকৌশলী আজহার উদ্দিন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ৩ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মোঃ খবির উদ্দিন, জেলা যুবলীগ নেতা এমরান হোসেন মাসুদ, সদর উপজেলা নাগরিক কমিটির সভাপতি খবির রানা, আবরনির সদস্য বিজয় সাহা, মাসুদ, হেলাল আহমেদ, সাইফুল আজিজ সোহেল, মেহদি হাসান প্রসুখ।
এসময় বক্তারা সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত একজন পরোপকারী ও সমাজ হিতৌশী মানুষ। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া কে ভালবেসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মানুষের জন্য নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা তাঁর দীর্ঘায়ু ও উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।

বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্তেরর ৭০ তম জন্মদিন পালন। 

হেফাজতের তান্ডবে ধ্বংস হওয়ার ৭ মাসেও সভাবিক হয়নি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন। এক জোড়া আন্তনগর ট্রেন ছাড়া বাকি সকল আন্তনগর ট্রেনের স্টপেজ বন্ধ রয়েছে দীর্ঘদিন। এতে ঢাকা-সিলেট-চট্টগ্রাম সহ সারা বাংলাদেশের সঙ্গে রেল যাতায়াত ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন থাকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লক্ষ লক্ষ লোক মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। রেলওয়ে স্টেশন সংস্কার ও সকল ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ, মিছিল, মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদানসহ ধারাবাহিক ভাবে নানান কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে জেলা নাগরিক ফোরাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া। একই দাবিতে আজ দ্বিতীয় বারেরমত ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশন চত্তরে “মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ” কর্মসূচি পালন করেছে সংগঠনটি। সমাবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য প্রাদন করেন।

বক্তারা বলেন, হেফাজতের তান্ডবের দায়ভার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জনগণের উপর চাপিয়ে দেয়া কোনভাবেই যুক্তিযুক্ত নয়। এটা নাগরিক অধিকারের সুস্পষ্ট লক্ষণ। তারা রেলওয়ে স্টেশনে হামলা, ভাঙ্গচুর ও অংগ্নি সংযোগের সাথে জড়িত হেফাজত নেতাকর্মীদের বিচারের আওয়াতায় আনার দাবী জানান। তারা আরো বলেন, দীর্ঘ ৭মাস যাবত আমরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে আন্দোলন করছি। কিন্তু আমাদের ন্যায্য দাবী আদায় হচ্ছে না। আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। জনগণের দৈর্য্যচ্যুতি ঘটছে। আমরা আর কোন আশ্বাস চাই না, সমাধান চাই। দেশের অনেক সম্যস্যার সামাধান হলেও ৩০ লক্ষ ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর এই গণদাবি কেন পূরণ হচ্ছে না এই ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তগণ সমস্যা সমাধানে মানননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। বাস মালিকদের সাথে রেল কর্মকর্তদের কোন যোগসাজশ আছে কিনা সন্দেহ্ প্রকাশ করে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তাগণ ঘোষণা করেন, আগামী ৩০ আক্টোবরের মধ্যে দ্রুত সকল আন্তনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় হাজার হাজার জেলাবাসীকে সাথে নিয়ে শান্তিপূর্ণ উপায়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপর দিয়ে সকল প্রকার রেল চলাচল বিচ্ছিন্ন কর দেয়ার হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন তারা। এসময় রেলওয়ে স্টেশন চলমান সংস্কার কাজের মান নিয়েও সমালোচনা করেন কোন কোন বক্তা।

আজ শনিবার সকাল ১১ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশন চত্তরে অনুষ্ঠিত জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক পীযূষ কান্তি আচার্য এর সভাপতিত্বে সমাবশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সংবাদিক ও যুবনেতা হাবিবুর রহমান পারভেজের পরিচালনায় উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহিদ খান লাভলু, জেলা জাসদ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আক্তার হোসেন সাঈদ, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামী, সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন,সহ-সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাত, রামরাইল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহাদত খান, আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সোপানুল ইসলাম সোপান, সম্মিলত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক আব্দুন নূর, জেলা নাগরিক ফোরামের সিয়িরর সহ-সভাপতি আতাউর রহমান শাহীন, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াসেল সিদ্দিকী, রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সাবেক ভিপি এড. এমদাদুল হক, কবি ও গীতিকার দেওয়ান মারুফ, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি হোসাইন আহমেদ তফছির, জেলা ওয়ার্কার্স পাটির নেতা কমরেড নজরুল ইসলাম।

উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনী সজিব, দৈনিক সংগ্রামের জেলা প্রতিনিধি সৈয়দ মোঃ আকরাম, সাপ্তাহিক তিতাস বার্তা সম্পাদক এম.এ মতিন শানু, সোনালী ব্যাংক এর প্রিন্সিপাল অফিসার এ কে এম মাকছুদুর রহমান চৌধুরী, ৩ ওয়ার্ড এর সাবেক কাউন্সিলর মোঃ খবির উদ্দিন, স্টেশন রোড দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ নুরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম দুলাল, জেলা খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন সরকার, অংকুর শিশু-কিশোর সংগঠনের সভাপতি আনিসুল হক রিপন, পিসভিশন এর সভাপতি অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম, বৈশাখী শিল্পগোষ্ঠীর সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন, নদী নিরাপত্তা বিষয়ক সামাজিক সংগঠন নোঙ্গর এর সভাপতি শামীম আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক খালেদা মুন্নি, আইকর সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট উত্তম কুমার দাস, বিশিষ্ট সমাজসেবক ইঞ্জিনিয়ার মাইনুল ইসলাম টুটুল, জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ইখতিয়ার উদ্দিন স্বপন, যুবলীগ নেতা হাবিব আবদুল্লাহ সোহেল, পৌর নাগরিক ফোরামের সভাপতি রুমেল আল ফয়সাল, জেলা নাগরিক ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মতিন শিপন, জেলা ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি ফাহিম মুনতাসির, এড. অসিম কুমার বর্ধন, মোঃ খলিলুর রহমান প্রমুখ।

উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও কয়েশত সাধারণ জনগণ এতে অংশগ্রহণ করেন।

৩০ অক্টোবরের মধ্যে দাবি আদায় না হলে শান্তিপূর্ণভাবে রেলপথ অবরোধের ঘোষণা-নাগরিক ফোরাম

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। বৃহস্পতিবার উপজেলা আওয়ামীলীগের বিশেষ কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়।

স্থানীয় ডাকবাংলা মিলনায়তন অনুষ্ঠিত বিশেষ কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বি.এম ফরহাদ হাসান সংগ্রাম।

উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডাঃ রাফিউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ লিয়াকত আব্বাস টিপুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাবৃন্দ।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বি.এম ফরহাদ হাসান সংগ্রাম এম.পি বলেন, ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সবাইক ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলের জন্য কাজ করতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদ-নির্বাচন দল যাকে মনোনয়ন দেবে তার পক্ষেই সবাইকে কাজ করতে হবে।

উল্লেখ্য, তফসিল অনুযায়ী আগামী ১১ নভেম্বর নাসিরনগর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদের নিবার্চন অনুষ্ঠিত হবে।

নাসিরনগর আওয়ামীলীগের বিশেষ কর্মী সভা 

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে দ্বিতীয় দফায় গণটিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু হয়। মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে জেলার ৯টি উপজেলার ৯৮টি ইউনিয়ন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ড এক যোগে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডাঃ মাঃ একরাম উল্লাহ বলেন, জেলার ৯টি উপজেলায় ৯৮টি ইউনিয়ন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডের মোট ১১০টি কেন্দ্রে ৩০৬টি বুথ মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে একযোগে টিকার কার্যক্রম শুরু হয়। প্রতিটি বুথে ৫০০ জনকে টিকা দেওয়া হবে।এবারের ক্যাম্পেইনও বয়স্ক ব্যক্তিদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, জেলায় ১ লাখ ৫৩ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়ার টার্গেট নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল সাড় ১০টায় শহরের নিয়াজ মুহাম্মদ উচ বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে দেখা যায় নারীদের জটলা। তারা টিকা কার্ড কেন্দ্রের ভেতরে থাকা স্বেচ্ছাসেবীর হাতে দিয়ে বাইরে অপেক্ষা করছেন। ভেতর থেকে স্বেচ্ছাসেবীরা কার্ড দেখে নাম ধরে ডাকছেন। যাদের নাম বলা হয়, তারা কেন্দ্রের ভিতর গিয়ে টিকা দিয়েছন।

বেলা ১১টায় ওই কেন্দ্রে উপস্থিত থাকা পরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাউসার আহমেদ জানান, সকাল নয়টায় টিকা দেওয়া শুরু হয়। এখন পর্যন্ত ২০০জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। কতক্ষণ টিকাদান চলবে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বরাদ্দকৃত টিকা থাকার যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষের উপস্থিতি থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত দেওয়া হবে।

সিভিল সার্জন ডাঃ মাহাম্মদ একরাম উল্লাহ আরও জানান, কোনো ধরণের বিশৃংখলা ছাড়াই গণটিকাদান কর্মসূচী শেষ হয়েছে। ক্যাম্পেইন শুধুমাত্র প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে৷  তিনি বলন, কতজন টিকা দিয়েছেন তা গননা করা হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১ লাখ ৫৩ হাজার মানুষদের গণটিকা প্রদান


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে থানা পুলিশের আয়োজনে থানা চত্বরে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  হয়৷

মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ হাবিবুল্লাহ সরকার।
থানার সাব-ইন্সপেক্টর জুলুস খানের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন ইউপি চেয়ারম্যান দেওয়ান আতিকুর রহমান আঁখি, বীর মুক্তিযোদ্ধা কার্ত্তিক দাস, উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অনাথ বন্ধু দাস, সাধারণ সম্পাদক নির্মল চৌধুরী, সাবেক সভাপতি কাজল জ্যোতি দত্ত, ডাঃ শ্রীবাস দাস, প্রাক্তন শিক্ষক রাখাল চন্দ্র দাস, কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সাধারণ সম্পাদক অরুণ জ্যোতি ভট্টাচার্য, সাংবাদিক সুজিত চক্রবর্তী, আকতার হোসেন ভুইয়া, সাবেক ইউপি সচিব শচীন্দ্র চন্দ্র দাস, ইউপি সদস্য নগেন্দ্র দাস, মহিলা ইউপি সদস্য পুতুল রানী দাস প্রমুখ।

মতবিনিময় সভায় থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আ.স.ম আতিকুর রহমান, চাতলপাড় তদন্ত কেন্দ্রের আই.সি কাঞ্চন কুমার সিংহ, ইউপি চেয়ারম্যানসহ উপজেলার ১৫৩টি পূজা মন্ডপের সভাপতি-সম্পাদকগণ, গণমাধ্যমকর্মী ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময় সভায় ওসি মোঃ হাবিবুল্লাহ সরকার বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতিটি পূজা মন্ডপে সর্বোচ্চ আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।

সভায় পুলিশ ও আনসারের পাশাপাশি নিজস্ব সেচ্ছাসেবক দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ পূজার নিরাপত্তার সার্বিক বিষয়ে প্রয়োজনীয় দিক- নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে নাসিরনগরে পুলিশের মতবিনিময় সভা


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে অভিবাসী কর্মী উন্নয়ন বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ সোমবার সকালে পরিষদ অডিটোরিয়ামে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়৷

“আমার ভবিষ্যৎ আমার হাতে, আমিই পারি সিদ্ধান্ত নিতে”এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ওকাপ’র আয়োজনে ও আর্ন্তজাতিক শ্রম সংস্থার সহযোগিতায় (আইএলও) সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সেবা প্রদানকারী সংস্থা ও স্টেকহোল্ডারদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ডাঃ রাফিউদ্দিন আহমেদ।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার হালিমা খাতুনের সভাপতিত্বে ও অভিবাসী কর্মী উন্নয়ন প্রোগ্রাম ওকাপে’র প্রজেক্ট ম্যানেজার তানজিলা তাবাসসুমের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ ফজলে ইয়াজ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুবিনা আক্তার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান শাওন।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন ওকাপে’র চেয়ারম্যান শাকিরুল ইসলাম। আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু সাঈদ মোঃ তারেক,উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা সফিকুর ইসলাম প্রমুখ।

মতবিনিময় সভায় সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সেবা প্রদানকারী সংস্থা প্রতিনিধি, সাংবাদিক, এনজিও প্রতিনিধি, উদ্যোক্তাগণ অংশগ্রহণ করেন।

নাসিরনগরে অভিবাসী কর্মী উন্নয়ন বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে একটি আশ্রয়ণ প্রকল্পের গুচ্ছগ্রামে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে ঢেউ টিন ও নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে। রোববার দুপুরে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ক্ষতিগ্রস্থ ১০টি পরিবারের মধ্যে ২ বান্ডেল করে ঢেউটিন ও নগদ ৬ হাজার করে টাকা বিতরণ করা হয়।

উপজেলা চেয়ারম্যান ডাঃ রাফিউদ্দিন আহমেদ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার হালিমা খাতুন অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থদের হাতে নগদ টাকা ও টিন তুলে দেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জিতু মিয়া, উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা অরুণ জ্যোতি ভট্টাচার্য, উপজেলা যুবলীগ নেতা রায়হান আলী ভুইয়া প্রমুখ৷

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ ১০টি পরিবারের প্রত্যেককে ঘরগুলো দ্রুত পূর্ণঃ মেরামতের জন্য ২ বান্ডেল করে টিন ও নগদ ৬ হাজার করে টাকা বিতরণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার গুনিয়াউক ইউনিয়নের গুটমা গুচ্ছগ্রামে গ্রামে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডে ১০টি পরিবারের নগদ টাকা, মালামালসহ বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

নাসিরনগরে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে টিন ও নগদ অর্থ বিতরণ


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে নিম্নমানের কাজের কারণে এক মাসের মধ্যেই একটি স্কুলের চিলিকোঠার ছাদ ভাঙতে হয়েছে ঠিকাদারকে। শনিবার সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের নাসিরনগর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিলিকোঠার ছাদ ভেঙ্গে ফেলা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে নাসিরনগর উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে নাসিরনগর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণের জন্য দরপত্র আহবান করা হয়। স্কুলটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় প্রায় ৬৮ লাখ টাকা। জমির জুলিয়া টেডার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এই নির্মাণকাজের কার্যাদেশ পায়।

উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চাহিদাভিত্তিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের (প্রথম পর্যায়) আওতায় নাসরিনগর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উর্ধ্বমূখী সম্প্রসারণের জন্য চলতি বছরের গত ১৩ জানুয়ারি ঠিকাদারের সাথে চুক্তি সম্পাদিত হয়। কিন্তু উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ের কর্মকর্তাদেরকে অবহিত না করেই চিলিকোঠার ছাদ ঢালাই করেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।

অভিযোগ রয়েছে মিকচার মেশিন ছাড়াই হাতে ঢালাইয়ের কাজ সম্পন্ন করা হয়, নির্মাণস্থলে ভাইব্রেটর মেশিন ছিল না ও ঢালাইয়ে নিম্ন মানের খোয়া ব্যবহার করা হয়।

গত ২৩ আগস্ট উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী ওমর ফারুক বিদ্যালয়ের নির্মাণকাজ পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনে সময় তিনি নির্মাণ কাজে কয়েকটি ত্রুটি দেখতে পান। গত ২৪ আগস্ট উপজেলা প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম ছাদ ঢালাই দ্রুত অপসারণ করতে ঠিকাদারকে নির্দেশ দেন।

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স জমির জুলিয়া ট্রেডার্সের সত্ত্বাধিকারী জমির উদ্দিন আহমেদ বলেন, উপজেলা প্রকৌশলী নতুন এসেছেন। প্রায় এক মাস আগে ওই বিদ্যালয়ের তিন তলার ছাদের উপর প্রায় ৩০ ফুট দৈর্ঘ্য ও প্রায় ১২ ফুট প্রস্থের চিলিকোঠার ছাদ ঢালাই দেয়া হয়। ঢালাইয়ের সময় তাদের লোকজন উপস্থিত ছিল না।

গত মাসে ছাদ ঢালাই ভেঙ্গে ফেলতে উপজেলা প্রকৌশলী আমাকে চিঠি দেন। তাই শনিবার সকালে শ্রমিকরা ছাদ ভেঙ্গে ফেলে। তিনি দাবি করেন কাজে কোনো নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়নি। তিনি বলেন, ৬৮ লাখ টাকা ব্যয়ে বিদ্যালয়ের সম্প্রসারিত ভবনের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও তৃতীয় তলায় চিলিকোঠার ছাদ নির্মাণের কাজ পাই।

এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রবিউল আলম বলেন, কয়েকদিন আগে ঢালাইয়ের সেন্টারিং খোলা হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত শুক্রবার রাতে ওই বিদ্যালয়ের গিয়ে তিনতলার চিলিকোঠার ছাদের ঢালাই দেবে গেছে দেখেছি। পরে উপজেলা প্রকৌশলীকে বিষয়টি জানিয়েছি। ছাদটি উপজেলা প্রকৌশলীর নির্দেশে ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুর রহিম বলেন, বিদ্যালয়ের তিনতলার উপরে ঢালাইয়ের পর চিলিকোঠার ছাদ প্রায় চার ইঞ্চি পরিমাণ ডেবে যায়। বিষয়টি জানতে পরে উপজেলা প্রকৌশলীর নির্দেশে চিলিকোঠার ছাদ ভেঙ্গে ফেলা হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম বলেন, দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার আমাদেরকে না জানিয়ে এবং আমাদের অনুপস্থিতিতেই ওই বিদ্যালয়ের সম্প্রসারিত ভবনের তিনতলার চিলিকোঠা ছাদের ঢালাই দিয়েছে। তাই ছাদটি ভেঙ্গে ফেলার জন্য ঠিকাদারকে নির্দেশ দিয়েছি। ঠিকাদার শনিবার সকালে চিলিকোঠার ছাদ ভেঙ্গে ফেলে। ছাদ ধসে পড়ার অভিযোগ সত্য না।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হালিমা খাতুন বলেন, ঢালাইয়ের কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠায় উপজেলা প্রকৌশলীর চিঠির প্রেক্ষিতে ঠিকাদার শনিবার চিলিকোঠার ছাদ ভেঙ্গে অপসারণ করে। ছাদ ধসে পড়ার কোন ঘটনা ঘটেনি।

নাসিরনগরে নিম্নমানের ঢালাইয়ের দায়ে ভাঙ্গা পড়ল স্কুলের চিলিকোঠার ছাদ


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে অগ্নিকান্ডে ১০টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় উপজেলার গুনিয়াউক ইউনিয়নের গুটমা গ্রামের গুচ্ছগ্রামে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। তবে অগ্নিকান্ডে কেউ হতাহত হয়নি।

খবর পেয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রাফি উদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হালিমা খাতুন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদি হাসান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অভিজিৎ রায়, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ফয়েজ চিশতি, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুবিনা আক্তার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

স্থানীয়রা জানান মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার গুনিয়াউক ইউনিয়নের গুটমা গুচ্ছগ্রামের শহিদ মিয়ার ঘরে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে ব্যারাকে থাকা অন্যান্য ঘরে। এতে ১০টি ঘর ও ঘরের ভেতরের আসবাপত্র আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুন লাগার পরপরই স্থানীয়রা এগিয়ে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। আগুনে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্তরা জানান।

নাসিরনগর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এতে কোন হতাহত হয়নি। ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হালিমা খাতুন বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারকে ৩০ কেজি চাল, নগদ ১ হাজার টাকা ও তিনবান ঢেউটিন প্রদান করা হবে।

নাসিরনগরে আগুনে পুড়ে ১০ ঘর ছাই

ফেসবুকে আমরা..