স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিনশত বছরের প্রাচীন শ্রী শ্রী কালভৈরব মন্দিরে ৫দিনব্যাপী বার্ষিক মহাযজ্ঞ মহোৎসব শুরু হয়েছে। গতকাল রোববার শহরের পূর্ব মেড্ডা এলাকায় বৈদিক পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে ৫দিন ব্যাপী মহাযজ্ঞ উৎসব উদ্বোধন করেন মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি পলাশ ভট্টাচার্য।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারত, নেপাল ও বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পুরোহিত ও ভক্তরা উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনের পর দুপুরে জীব জগতের কল্যান কামনায় সপ্তশতী চন্ডী মহাযজ্ঞ শুরু হয়। এতে দেশ- বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ভক্তরা যজ্ঞের আহুতি হিসেবে ফল, ফুল, দুর্বা, বেলপাতা সহ বিভিন্ন পূজার সামগ্রী যজ্ঞ স্থলে প্রদান করেন।
এদিকে ৫দিনব্যাপী মহাযজ্ঞ উৎসবকে কেন্দ্র করে কালভৈরব মন্দিরের আশপাশ এলাকা ও তিতাস নদীর তীরে বসেছে লোকজ মেলা। মেলায় নাগর দোলা সহ খেলনা সামগ্রী ছাড়াও মাটির তৈরী হরেক রকমের সামগ্রীর পন্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। আগামী ৩ মার্চ পর্যন্ত চলে এই উৎসব।
যজ্ঞের প্রধান পুরোহিত শ্রী মধুসূধন চক্রবর্তী বলেন, কালভৈরব মন্দির প্রাঙ্গনে এবার ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হচ্ছে। পাঁচদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের আজ প্রথম দিন। এবারে বিশেষ আকর্ষনে চন্ডী মায়ের অপর রূপ বগলামুখী মায়েরও পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
যজ্ঞের অতিথি পুরোহিত ভারতের ত্রিপুরা থেকে আগত অনুপম ভট্টাচার্য্য বলেন, আপনারা দেখবেন ২০২৩ সালে সারা বিশ্বে অনেক ঘটনা ঘটছে। যা আমরা চিন্তা করতে পারিনা। ২০২৩ জাতি ও জীবের জন্য ভয়ঙ্কর সন্ধিক্ষণ । শনি মহারাজ এবার কুম্ভের ঘরে। আমরা যজ্ঞ করি কারণ এই যজ্ঞের ধ্বনি মহাকাশে গিয়ে প্রতিধ্বনির সৃষ্টি করে। মহাকালকে তুষ্ট করার জন্যই এই যজ্ঞ করা হয়।

এ ব্যাপারে কালভৈরব মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি পলাশ ভট্টাচার্য্য জানান, জীব ও জগতের শান্তি কামনায় প্রতি বছর যজ্ঞ অনুষ্ঠান হচ্ছে। যজ্ঞকে কেন্দ্র করে এবারো দেশ বিদেশের ভক্তরা মন্দিরে সমবেত হয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কালভৈরব মন্দিরে ৫দিনব্যাপী মহাযজ্ঞ মহোৎসব শুরু

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্দি দত্তের ৭০তম জন্মদিন পালন করেছে আবরনি আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
আজ সন্ধ্যায় আবরনির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত  আবরনির নির্বাহী পরিচালক সাংবাদিক হাবিবুর রহমান পারভেজ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ফাইভস্টার ক্লাবের সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবক আতাউর রহমান শাহীন। ঝিলমিল একাডেমির পরিচালক মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ এর উপস্থাপনায় এতে বক্তব্য রাখেন কীর্তি বিলাস এর সিইও কাজী নাজমুল ইসলাম উজ্জ্বল, সাবেক ছাত্রনেতা প্রকৌশলী হারুণ অর রশিদ মোল্লাহ, বাতিঘরের উদ্যোক্তা প্রকৌশলী আজহার উদ্দিন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ৩ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মোঃ খবির উদ্দিন, জেলা যুবলীগ নেতা এমরান হোসেন মাসুদ, সদর উপজেলা নাগরিক কমিটির সভাপতি খবির রানা, আবরনির সদস্য বিজয় সাহা, মাসুদ, হেলাল আহমেদ, সাইফুল আজিজ সোহেল, মেহদি হাসান প্রসুখ।
এসময় বক্তারা সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত একজন পরোপকারী ও সমাজ হিতৌশী মানুষ। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া কে ভালবেসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মানুষের জন্য নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা তাঁর দীর্ঘায়ু ও উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।

বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্তেরর ৭০ তম জন্মদিন পালন। 

হেফাজতের তান্ডবে ধ্বংস হওয়ার ৭ মাসেও সভাবিক হয়নি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন। এক জোড়া আন্তনগর ট্রেন ছাড়া বাকি সকল আন্তনগর ট্রেনের স্টপেজ বন্ধ রয়েছে দীর্ঘদিন। এতে ঢাকা-সিলেট-চট্টগ্রাম সহ সারা বাংলাদেশের সঙ্গে রেল যাতায়াত ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন থাকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লক্ষ লক্ষ লোক মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। রেলওয়ে স্টেশন সংস্কার ও সকল ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ, মিছিল, মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদানসহ ধারাবাহিক ভাবে নানান কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে জেলা নাগরিক ফোরাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া। একই দাবিতে আজ দ্বিতীয় বারেরমত ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশন চত্তরে “মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ” কর্মসূচি পালন করেছে সংগঠনটি। সমাবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য প্রাদন করেন।

বক্তারা বলেন, হেফাজতের তান্ডবের দায়ভার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জনগণের উপর চাপিয়ে দেয়া কোনভাবেই যুক্তিযুক্ত নয়। এটা নাগরিক অধিকারের সুস্পষ্ট লক্ষণ। তারা রেলওয়ে স্টেশনে হামলা, ভাঙ্গচুর ও অংগ্নি সংযোগের সাথে জড়িত হেফাজত নেতাকর্মীদের বিচারের আওয়াতায় আনার দাবী জানান। তারা আরো বলেন, দীর্ঘ ৭মাস যাবত আমরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে আন্দোলন করছি। কিন্তু আমাদের ন্যায্য দাবী আদায় হচ্ছে না। আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। জনগণের দৈর্য্যচ্যুতি ঘটছে। আমরা আর কোন আশ্বাস চাই না, সমাধান চাই। দেশের অনেক সম্যস্যার সামাধান হলেও ৩০ লক্ষ ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর এই গণদাবি কেন পূরণ হচ্ছে না এই ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তগণ সমস্যা সমাধানে মানননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। বাস মালিকদের সাথে রেল কর্মকর্তদের কোন যোগসাজশ আছে কিনা সন্দেহ্ প্রকাশ করে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তাগণ ঘোষণা করেন, আগামী ৩০ আক্টোবরের মধ্যে দ্রুত সকল আন্তনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় হাজার হাজার জেলাবাসীকে সাথে নিয়ে শান্তিপূর্ণ উপায়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপর দিয়ে সকল প্রকার রেল চলাচল বিচ্ছিন্ন কর দেয়ার হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন তারা। এসময় রেলওয়ে স্টেশন চলমান সংস্কার কাজের মান নিয়েও সমালোচনা করেন কোন কোন বক্তা।

আজ শনিবার সকাল ১১ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশন চত্তরে অনুষ্ঠিত জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক পীযূষ কান্তি আচার্য এর সভাপতিত্বে সমাবশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সংবাদিক ও যুবনেতা হাবিবুর রহমান পারভেজের পরিচালনায় উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহিদ খান লাভলু, জেলা জাসদ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আক্তার হোসেন সাঈদ, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামী, সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন,সহ-সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাত, রামরাইল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহাদত খান, আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সোপানুল ইসলাম সোপান, সম্মিলত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক আব্দুন নূর, জেলা নাগরিক ফোরামের সিয়িরর সহ-সভাপতি আতাউর রহমান শাহীন, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াসেল সিদ্দিকী, রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সাবেক ভিপি এড. এমদাদুল হক, কবি ও গীতিকার দেওয়ান মারুফ, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি হোসাইন আহমেদ তফছির, জেলা ওয়ার্কার্স পাটির নেতা কমরেড নজরুল ইসলাম।

উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনী সজিব, দৈনিক সংগ্রামের জেলা প্রতিনিধি সৈয়দ মোঃ আকরাম, সাপ্তাহিক তিতাস বার্তা সম্পাদক এম.এ মতিন শানু, সোনালী ব্যাংক এর প্রিন্সিপাল অফিসার এ কে এম মাকছুদুর রহমান চৌধুরী, ৩ ওয়ার্ড এর সাবেক কাউন্সিলর মোঃ খবির উদ্দিন, স্টেশন রোড দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ নুরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম দুলাল, জেলা খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন সরকার, অংকুর শিশু-কিশোর সংগঠনের সভাপতি আনিসুল হক রিপন, পিসভিশন এর সভাপতি অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম, বৈশাখী শিল্পগোষ্ঠীর সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন, নদী নিরাপত্তা বিষয়ক সামাজিক সংগঠন নোঙ্গর এর সভাপতি শামীম আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক খালেদা মুন্নি, আইকর সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট উত্তম কুমার দাস, বিশিষ্ট সমাজসেবক ইঞ্জিনিয়ার মাইনুল ইসলাম টুটুল, জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ইখতিয়ার উদ্দিন স্বপন, যুবলীগ নেতা হাবিব আবদুল্লাহ সোহেল, পৌর নাগরিক ফোরামের সভাপতি রুমেল আল ফয়সাল, জেলা নাগরিক ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মতিন শিপন, জেলা ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি ফাহিম মুনতাসির, এড. অসিম কুমার বর্ধন, মোঃ খলিলুর রহমান প্রমুখ।

উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও কয়েশত সাধারণ জনগণ এতে অংশগ্রহণ করেন।

৩০ অক্টোবরের মধ্যে দাবি আদায় না হলে শান্তিপূর্ণভাবে রেলপথ অবরোধের ঘোষণা-নাগরিক ফোরাম

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে দ্বিতীয় দফায় গণটিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু হয়। মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে জেলার ৯টি উপজেলার ৯৮টি ইউনিয়ন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ড এক যোগে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডাঃ মাঃ একরাম উল্লাহ বলেন, জেলার ৯টি উপজেলায় ৯৮টি ইউনিয়ন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডের মোট ১১০টি কেন্দ্রে ৩০৬টি বুথ মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে একযোগে টিকার কার্যক্রম শুরু হয়। প্রতিটি বুথে ৫০০ জনকে টিকা দেওয়া হবে।এবারের ক্যাম্পেইনও বয়স্ক ব্যক্তিদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, জেলায় ১ লাখ ৫৩ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়ার টার্গেট নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল সাড় ১০টায় শহরের নিয়াজ মুহাম্মদ উচ বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে দেখা যায় নারীদের জটলা। তারা টিকা কার্ড কেন্দ্রের ভেতরে থাকা স্বেচ্ছাসেবীর হাতে দিয়ে বাইরে অপেক্ষা করছেন। ভেতর থেকে স্বেচ্ছাসেবীরা কার্ড দেখে নাম ধরে ডাকছেন। যাদের নাম বলা হয়, তারা কেন্দ্রের ভিতর গিয়ে টিকা দিয়েছন।

বেলা ১১টায় ওই কেন্দ্রে উপস্থিত থাকা পরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাউসার আহমেদ জানান, সকাল নয়টায় টিকা দেওয়া শুরু হয়। এখন পর্যন্ত ২০০জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। কতক্ষণ টিকাদান চলবে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বরাদ্দকৃত টিকা থাকার যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষের উপস্থিতি থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত দেওয়া হবে।

সিভিল সার্জন ডাঃ মাহাম্মদ একরাম উল্লাহ আরও জানান, কোনো ধরণের বিশৃংখলা ছাড়াই গণটিকাদান কর্মসূচী শেষ হয়েছে। ক্যাম্পেইন শুধুমাত্র প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে৷  তিনি বলন, কতজন টিকা দিয়েছেন তা গননা করা হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১ লাখ ৫৩ হাজার মানুষদের গণটিকা প্রদান


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে নদীপথে নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিতের দাবিতে নদী নিরাপত্তা সামাজিক সংগঠন “নোঙর” উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বেলা ১১টায় নবীনগর লঞ্চঘাট টার্মিনালের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

“নোঙর” নবীনগর উপজেলার আহবায়ক সাংবাদিক মিঠু সূত্রধর পলাশের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলার কনিকাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আমিরুল ইসলাম, ডাঃ মোঃ আবদুর রৌফ, নোঙর কর্মী মোজাম্মেল হক, প্রভাষক আইনুল হক, শিক্ষক মোঃ খলিলুর রহমান প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা নৌ-পথে নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিতের জন্য যাত্রীদের লাইফ জ্যাকেট, বয়া সহ নৌযানে অভিজ্ঞতাপূর্ণ চালক নিশ্চিতের দাবি জানান।

নদীপথে নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিতের দাবিতে নবীনগরে নোঙরের মানববন্ধন


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় পাঁচটি নৌযানকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসেন উপজেলার তিতাস নদীতে পৃথক অভিযান চালিয়ে পাঁচ নৌযানকে আট হাজার টাকা জরিমানা করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসেন বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে তিতাস নদীর বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী নৌযানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে নৌযানে জীবন রক্ষাকারী বিভিন্ন সরঞ্জাম না থাকা ও নৌযানে অতিরিক্ত যাত্রী উঠানোর অভিযোগে পাঁচটি নৌযানকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল অধ্যাদেশ ১৯৭৬ ধারায় পাঁচটি মামলায় পাঁচ নৌযানকে আট হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

তিনি বলেন, এসময় নৌযানের মালিকদের ও যাত্রীদের সচেতন করা হয়। পাশাপাশি নৌপথে চলাচল করার সময় লাইফ জ্যাকেট ব্যবহার করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়।

উল্লেখ্য সোমবার দুপুরে নবীনগর উপজেলার উরখুলিয়া ও ভৈরবনগর গ্রামের মাঝামাঝি স্থানে তিতাস নদীতে নৌকা ডুবে রিয়াজ-লিজা দম্পতির মৃত্যু হয় এবং তাদের ৮ বছরের শিশু কন্যা মারিয়া নিখোঁজ হয়।

নবীনগরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৫টি নৌযানকে জরিমানা


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় তিতাস নদীতে গত সোমবার দুপুরে স্পীডবোটের ঢেউয়ে নৌকা ডুবে নিখোঁজ হওয়া ৮ বছরের শিশু মারিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

নিখোঁজের প্রায় ২৯ ঘন্টা পর মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে ওই শিশুর লাশ ভেসে উঠলে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রশীদ শিশু মারিয়ার লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে সোমবার দুপুরে নৌকা ডুবিতে মারিয়ার বাবা রিয়াদ (৩০) ও মা লিজা আক্তারের মৃত্যু হয়। মৃত রিয়াদ নবীনগর উপজেলার কাইতলা গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে। তিনি স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে সিলেটে বসবাস করতেন।

এদিকে রিয়াদ ও লিজার লাশ দাফনের জন্য পরিবারের সদস্যদের কাছে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খানের পক্ষে ২০ হাজার টাকা করে মোট ৪০হাজার টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়।

এ ব্যাপারে ভৈরব-আশুগঞ্জ নৌবন্দরের পরিদর্শক জসিম উদ্দিন জানান, নবীনগর-ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গোকর্ণঘাট নৌপথে চলাচলকারী সকল স্পীডবোট চালকদের ডোপ টেস্ট করানো হবে। পাশাপাশি তাদেরকে বিআইডব্লিউটিএ এর নিবন্ধনের আওতায় আনা হবে। প্রত্যেক চালককে প্রশিক্ষিত লাইসেন্সধারী হতে হবে। এ বিষয়ে আমরা খুব দ্রুত কাজ শুরু করব।

নবীনগরে নৌকা ডুবিতে নিখোঁজ শিশু মারিয়ার লাশ উদ্ধার


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে নৌকা ডুবে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দুপুর ১টায় উপজেলার উরখুলিয়া ও ভৈরবনগর গ্রামের মাঝামাঝি এলাকায় তিতাস নদীতে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

মৃতরা হলেন, নবীনগর উপজেলার কাইতলা গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে রিয়াদ (৩০) ও তার স্ত্রী লিজা আক্তার (২৫)। নৌকা ডুবিতে রিয়াদ ও লিজা দম্পতির ৮ বছরের শিশু কন্যা মারিয়া নিখোঁজ রয়েছে। রিয়াদ তার স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে সিলেটে বসবাস করতেন।

নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) একরামুল ছিদ্দিক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রিয়াদ তার পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। সোমবার দুপুরে রিয়াদ স্ত্রী-সন্তান ও পরিবারের ৮/৯জনকে নিয়ে নৌকায় করে তিতাস নদীতে ঘুরতে যান। এ সময় নদীতে একটি স্পিডবোট যাওয়ার সময় বড় ঢেউ সৃষ্টি হলে নৌকাটি নদীতে ডুবে যায়। এ সময় নৌকায় থাকা অন্যান্যরা সাঁতরে তীরে আসতে পারলেও রিয়াদ তার স্ত্রী লিজা ও শিশু কন্যা মারিয়া পানিতে তলিয়ে যায়।
পরে রিয়াদ ও তার স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়। শিশু মারিয়া নিখোঁজ রয়েছে। তাকে উদ্ধারের জন্য চেষ্টা চলছে।

এ ব্যাপারে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রশীদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, রিয়াদ ও তার স্ত্রী লিজার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শিশু মারিয়ার খোঁজে ডুবুরিরা কাজ করছে।

নবীনগরে নৌকা ডুবিতে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু, নিখোঁজ শিশু


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে জমি থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে মাটি তোলার অপরাধে ৪টি ড্রেজার মেশিন ও ১২০ ফুট পাইপ জব্দ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসাইনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতে উপজেলার নাটঘর ইউনিয়নের ঋষিপাড়ায় অভিযান চালিয়ে এই অবৈধ ড্রেজার ও পাইপ জব্দ করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, নবীনগর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে মাটি উত্তোলন করে আসছে একটি মাটি ব্যবসায়ী চক্র। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিষয়টি জানতে পেরে বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসাইনের নেতৃত্বে গঠিত ভ্রাম্যমাণ উপজেলার নাটঘর ইউনিয়নের ঋষিপাড়ায় অভিযান পরিচালনা করে ৪টি অবৈধ ড্রেজার ও ১২০ ফুট পাইপ জব্দ করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের বিষয়টি আঁচ করতে পেরে মাটি ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যান৷

এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মোশারফ হোসাইন বলেন, অবৈধ ড্রেজারের মালিকরা পালিয়ে গেছেন। ৪টি ড্রেজার ও ১২০ ফুট পাইপ জব্দ করা হয়েছে। জনস্বার্থে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে নবীনগরে ৪টি ড্রেজার ও ১২০ ফুট পাইপ জব্দ


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘন্টায় ২ নারীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ৫৯ বছর বয়সী এক নারী ও নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৬০ বছর বয়সী অপর এক নারী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন অফিসের ফেসবুক পেইজে এই তথ্য দেয়া হয়।

এছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় ৩৪০টি নমুনা পরীক্ষা করে ১১১জনের করোনা সনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে সদর উপজেলায় ৬২ জন, কসবা উপজেলায় ১০জন, আখাউড়া উপজেলায় ৯জন, আশুগঞ্জ উপজেলায় ২১জন, বিজয়নগর উপজেলায় ২জন ও বাঞ্চারামপুর উপজেলায় ৭ জন। গত ২৪ ঘন্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪০জন।

ফেসবুক পেইজে বলা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় এ পর্যন্ত ৯৯৩৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫৪৫৭ জন, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেইন্টানে আছেন ১৯৩ জন, হাসপাতালের আইসোলেশনে আছেন ৭৯জন, সেলফ আইসোলেশনে আছেন ৪২৫৬ জন৷ এ পর্যন্ত জেলায় মারা গেছেন ১৪১ জন।

এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ একরামউল্লাহর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন৷

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২ নারীর মৃত্যু

ফেসবুকে আমরা..