স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিনশত বছরের প্রাচীন শ্রী শ্রী কালভৈরব মন্দিরে ৫দিনব্যাপী বার্ষিক মহাযজ্ঞ মহোৎসব শুরু হয়েছে। গতকাল রোববার শহরের পূর্ব মেড্ডা এলাকায় বৈদিক পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে ৫দিন ব্যাপী মহাযজ্ঞ উৎসব উদ্বোধন করেন মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি পলাশ ভট্টাচার্য।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারত, নেপাল ও বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পুরোহিত ও ভক্তরা উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনের পর দুপুরে জীব জগতের কল্যান কামনায় সপ্তশতী চন্ডী মহাযজ্ঞ শুরু হয়। এতে দেশ- বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ভক্তরা যজ্ঞের আহুতি হিসেবে ফল, ফুল, দুর্বা, বেলপাতা সহ বিভিন্ন পূজার সামগ্রী যজ্ঞ স্থলে প্রদান করেন।
এদিকে ৫দিনব্যাপী মহাযজ্ঞ উৎসবকে কেন্দ্র করে কালভৈরব মন্দিরের আশপাশ এলাকা ও তিতাস নদীর তীরে বসেছে লোকজ মেলা। মেলায় নাগর দোলা সহ খেলনা সামগ্রী ছাড়াও মাটির তৈরী হরেক রকমের সামগ্রীর পন্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। আগামী ৩ মার্চ পর্যন্ত চলে এই উৎসব।
যজ্ঞের প্রধান পুরোহিত শ্রী মধুসূধন চক্রবর্তী বলেন, কালভৈরব মন্দির প্রাঙ্গনে এবার ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হচ্ছে। পাঁচদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের আজ প্রথম দিন। এবারে বিশেষ আকর্ষনে চন্ডী মায়ের অপর রূপ বগলামুখী মায়েরও পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
যজ্ঞের অতিথি পুরোহিত ভারতের ত্রিপুরা থেকে আগত অনুপম ভট্টাচার্য্য বলেন, আপনারা দেখবেন ২০২৩ সালে সারা বিশ্বে অনেক ঘটনা ঘটছে। যা আমরা চিন্তা করতে পারিনা। ২০২৩ জাতি ও জীবের জন্য ভয়ঙ্কর সন্ধিক্ষণ । শনি মহারাজ এবার কুম্ভের ঘরে। আমরা যজ্ঞ করি কারণ এই যজ্ঞের ধ্বনি মহাকাশে গিয়ে প্রতিধ্বনির সৃষ্টি করে। মহাকালকে তুষ্ট করার জন্যই এই যজ্ঞ করা হয়।

এ ব্যাপারে কালভৈরব মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি পলাশ ভট্টাচার্য্য জানান, জীব ও জগতের শান্তি কামনায় প্রতি বছর যজ্ঞ অনুষ্ঠান হচ্ছে। যজ্ঞকে কেন্দ্র করে এবারো দেশ বিদেশের ভক্তরা মন্দিরে সমবেত হয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কালভৈরব মন্দিরে ৫দিনব্যাপী মহাযজ্ঞ মহোৎসব শুরু

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্দি দত্তের ৭০তম জন্মদিন পালন করেছে আবরনি আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
আজ সন্ধ্যায় আবরনির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত  আবরনির নির্বাহী পরিচালক সাংবাদিক হাবিবুর রহমান পারভেজ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ফাইভস্টার ক্লাবের সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবক আতাউর রহমান শাহীন। ঝিলমিল একাডেমির পরিচালক মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ এর উপস্থাপনায় এতে বক্তব্য রাখেন কীর্তি বিলাস এর সিইও কাজী নাজমুল ইসলাম উজ্জ্বল, সাবেক ছাত্রনেতা প্রকৌশলী হারুণ অর রশিদ মোল্লাহ, বাতিঘরের উদ্যোক্তা প্রকৌশলী আজহার উদ্দিন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ৩ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মোঃ খবির উদ্দিন, জেলা যুবলীগ নেতা এমরান হোসেন মাসুদ, সদর উপজেলা নাগরিক কমিটির সভাপতি খবির রানা, আবরনির সদস্য বিজয় সাহা, মাসুদ, হেলাল আহমেদ, সাইফুল আজিজ সোহেল, মেহদি হাসান প্রসুখ।
এসময় বক্তারা সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত একজন পরোপকারী ও সমাজ হিতৌশী মানুষ। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া কে ভালবেসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মানুষের জন্য নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা তাঁর দীর্ঘায়ু ও উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।

বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্তেরর ৭০ তম জন্মদিন পালন। 

হেফাজতের তান্ডবে ধ্বংস হওয়ার ৭ মাসেও সভাবিক হয়নি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন। এক জোড়া আন্তনগর ট্রেন ছাড়া বাকি সকল আন্তনগর ট্রেনের স্টপেজ বন্ধ রয়েছে দীর্ঘদিন। এতে ঢাকা-সিলেট-চট্টগ্রাম সহ সারা বাংলাদেশের সঙ্গে রেল যাতায়াত ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন থাকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লক্ষ লক্ষ লোক মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। রেলওয়ে স্টেশন সংস্কার ও সকল ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ, মিছিল, মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদানসহ ধারাবাহিক ভাবে নানান কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে জেলা নাগরিক ফোরাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া। একই দাবিতে আজ দ্বিতীয় বারেরমত ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশন চত্তরে “মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ” কর্মসূচি পালন করেছে সংগঠনটি। সমাবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য প্রাদন করেন।

বক্তারা বলেন, হেফাজতের তান্ডবের দায়ভার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জনগণের উপর চাপিয়ে দেয়া কোনভাবেই যুক্তিযুক্ত নয়। এটা নাগরিক অধিকারের সুস্পষ্ট লক্ষণ। তারা রেলওয়ে স্টেশনে হামলা, ভাঙ্গচুর ও অংগ্নি সংযোগের সাথে জড়িত হেফাজত নেতাকর্মীদের বিচারের আওয়াতায় আনার দাবী জানান। তারা আরো বলেন, দীর্ঘ ৭মাস যাবত আমরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে আন্দোলন করছি। কিন্তু আমাদের ন্যায্য দাবী আদায় হচ্ছে না। আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। জনগণের দৈর্য্যচ্যুতি ঘটছে। আমরা আর কোন আশ্বাস চাই না, সমাধান চাই। দেশের অনেক সম্যস্যার সামাধান হলেও ৩০ লক্ষ ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর এই গণদাবি কেন পূরণ হচ্ছে না এই ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তগণ সমস্যা সমাধানে মানননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। বাস মালিকদের সাথে রেল কর্মকর্তদের কোন যোগসাজশ আছে কিনা সন্দেহ্ প্রকাশ করে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তাগণ ঘোষণা করেন, আগামী ৩০ আক্টোবরের মধ্যে দ্রুত সকল আন্তনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় হাজার হাজার জেলাবাসীকে সাথে নিয়ে শান্তিপূর্ণ উপায়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপর দিয়ে সকল প্রকার রেল চলাচল বিচ্ছিন্ন কর দেয়ার হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন তারা। এসময় রেলওয়ে স্টেশন চলমান সংস্কার কাজের মান নিয়েও সমালোচনা করেন কোন কোন বক্তা।

আজ শনিবার সকাল ১১ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশন চত্তরে অনুষ্ঠিত জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক পীযূষ কান্তি আচার্য এর সভাপতিত্বে সমাবশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সংবাদিক ও যুবনেতা হাবিবুর রহমান পারভেজের পরিচালনায় উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহিদ খান লাভলু, জেলা জাসদ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আক্তার হোসেন সাঈদ, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামী, সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন,সহ-সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাত, রামরাইল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহাদত খান, আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সোপানুল ইসলাম সোপান, সম্মিলত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক আব্দুন নূর, জেলা নাগরিক ফোরামের সিয়িরর সহ-সভাপতি আতাউর রহমান শাহীন, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াসেল সিদ্দিকী, রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সাবেক ভিপি এড. এমদাদুল হক, কবি ও গীতিকার দেওয়ান মারুফ, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি হোসাইন আহমেদ তফছির, জেলা ওয়ার্কার্স পাটির নেতা কমরেড নজরুল ইসলাম।

উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনী সজিব, দৈনিক সংগ্রামের জেলা প্রতিনিধি সৈয়দ মোঃ আকরাম, সাপ্তাহিক তিতাস বার্তা সম্পাদক এম.এ মতিন শানু, সোনালী ব্যাংক এর প্রিন্সিপাল অফিসার এ কে এম মাকছুদুর রহমান চৌধুরী, ৩ ওয়ার্ড এর সাবেক কাউন্সিলর মোঃ খবির উদ্দিন, স্টেশন রোড দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ নুরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম দুলাল, জেলা খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন সরকার, অংকুর শিশু-কিশোর সংগঠনের সভাপতি আনিসুল হক রিপন, পিসভিশন এর সভাপতি অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম, বৈশাখী শিল্পগোষ্ঠীর সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন, নদী নিরাপত্তা বিষয়ক সামাজিক সংগঠন নোঙ্গর এর সভাপতি শামীম আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক খালেদা মুন্নি, আইকর সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট উত্তম কুমার দাস, বিশিষ্ট সমাজসেবক ইঞ্জিনিয়ার মাইনুল ইসলাম টুটুল, জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ইখতিয়ার উদ্দিন স্বপন, যুবলীগ নেতা হাবিব আবদুল্লাহ সোহেল, পৌর নাগরিক ফোরামের সভাপতি রুমেল আল ফয়সাল, জেলা নাগরিক ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মতিন শিপন, জেলা ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি ফাহিম মুনতাসির, এড. অসিম কুমার বর্ধন, মোঃ খলিলুর রহমান প্রমুখ।

উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও কয়েশত সাধারণ জনগণ এতে অংশগ্রহণ করেন।

৩০ অক্টোবরের মধ্যে দাবি আদায় না হলে শান্তিপূর্ণভাবে রেলপথ অবরোধের ঘোষণা-নাগরিক ফোরাম


স্টাফ রিপার্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে ত্রিপুরায় ইলিশ মাছ রপ্তানী করা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল একটি পিকআপ করে ১০০টি বক্স করে দুই টন (দুই হাজার কেজি) ইলিশ মাছ ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় প্রবেশ কর।

আগামী ১০ অক্টোবর পর্যন্ত এই বন্দর দিয়ে ৪০টন ইলিশ ভারতে রপ্তানী করা হবে। বাংলাদেশের রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠান বিডিএস কর্পোরেশন ইলিশ মাছগুলো রপ্তানী শুরু করে। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলার বিদ্যা এন্টার প্রাইজ ইলিশ মাছ আমদানি করেন।

মাছের সিএন্ডএফ এজেন্ট মাল্লা এন্টার প্রাইজের স্বত্বাধিকারী মোস্তফা মোল্লা বলেন, ২০১৩ সাল থেকে আখাউড়া স্থল বন্দর দিয়ে ভারতে ইলিশ রপ্তানী বন্ধ ছিল। দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৪০ টন ইলিশ রপ্তানির বিশেষ অনুমতি দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রথম চালান ২ টন মাছ রপ্তানি করা হয়েছে। ১০ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ রপ্তানী করা হবে।

আখাউড়া স্থলবন্দর সূত্র জানায়, এ বন্দর দিয়ে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। তবে দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৪০ টন ইলিশ রপ্তানির বিশেষ অনুমতি দয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান বিডিএস কর্পোরেশনের মাধ্যমে সিএন্ডএফ এজেন্ট মোল্লা এন্টার প্রাইজ এসব মাছ ভারতে পাঠায়। প্রতি কেজি মাছের মূল্য ধরা হয়েছে ১০ ডলার। আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে ৪০ টন মাছ রপ্তানি করা হবে। ভারতের বিদ্যা এন্টার প্রাইজ মাছের আমদানিকারক।

এ ব্যাপার আখাউড়া স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসাসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, বন্দর দিয়ে ইলিশ রপ্তানি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। তবে দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে একটি প্রতিষ্ঠান ১০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি চায়। ৪০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি পেয়ে সেটি বৃহস্পতিবার থেকে যাওয়া শুরু হয়। তিনি বলেন, ত্রিপুরায় ইলিশের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। দুর্গাপূজা উপলক্ষে দীর্ঘদিন পর ত্রিপুরায় ইলিশ যাওয়ায় দু’দেশের ব্যবসায়ী ও মানুষের মধ্যে সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি পাবে।

এ ব্যাপার আখাউড়া স্থল শুল্ক কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, বিডিএস কর্পোরেশন ৪০টন ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমতি পেয়েছ। প্রতি কেজি ইলিশের দাম ধরা হয়েছে ১০ ডলার।

আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে ইলিশ রপ্তানী শুরু

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে দ্বিতীয় দফায় গণটিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু হয়। মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে জেলার ৯টি উপজেলার ৯৮টি ইউনিয়ন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ড এক যোগে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডাঃ মাঃ একরাম উল্লাহ বলেন, জেলার ৯টি উপজেলায় ৯৮টি ইউনিয়ন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডের মোট ১১০টি কেন্দ্রে ৩০৬টি বুথ মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে একযোগে টিকার কার্যক্রম শুরু হয়। প্রতিটি বুথে ৫০০ জনকে টিকা দেওয়া হবে।এবারের ক্যাম্পেইনও বয়স্ক ব্যক্তিদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, জেলায় ১ লাখ ৫৩ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়ার টার্গেট নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল সাড় ১০টায় শহরের নিয়াজ মুহাম্মদ উচ বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে দেখা যায় নারীদের জটলা। তারা টিকা কার্ড কেন্দ্রের ভেতরে থাকা স্বেচ্ছাসেবীর হাতে দিয়ে বাইরে অপেক্ষা করছেন। ভেতর থেকে স্বেচ্ছাসেবীরা কার্ড দেখে নাম ধরে ডাকছেন। যাদের নাম বলা হয়, তারা কেন্দ্রের ভিতর গিয়ে টিকা দিয়েছন।

বেলা ১১টায় ওই কেন্দ্রে উপস্থিত থাকা পরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাউসার আহমেদ জানান, সকাল নয়টায় টিকা দেওয়া শুরু হয়। এখন পর্যন্ত ২০০জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। কতক্ষণ টিকাদান চলবে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বরাদ্দকৃত টিকা থাকার যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষের উপস্থিতি থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত দেওয়া হবে।

সিভিল সার্জন ডাঃ মাহাম্মদ একরাম উল্লাহ আরও জানান, কোনো ধরণের বিশৃংখলা ছাড়াই গণটিকাদান কর্মসূচী শেষ হয়েছে। ক্যাম্পেইন শুধুমাত্র প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে৷  তিনি বলন, কতজন টিকা দিয়েছেন তা গননা করা হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১ লাখ ৫৩ হাজার মানুষদের গণটিকা প্রদান


স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্রকে ভয় করে না। ষড়যন্ত্রে জাতির পিতাকে হারিয়েছি। আর ষড়যন্ত্র করতে দেয়া হবে না। সকল ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করা হবে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় আখাউড়া উপজেলার ৩৮টি প্রকল্পের উদ্বোধন উপলক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক জনসভায় তিনি একথা বলেন।

আখাউড়া উপজেলা পরিষদ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক অধ্যক্ষ মোঃ জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় প্রধান অতিথিস আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এমপি আরও বলেন, খালেদা জিয়াকে মানবিক কারণে বাসায় দেয়া হয়েছে।

তিনি কোভিড আক্রান্ত হলে চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে যান। ডাক্তার সাহেবরা কিন্তু ওনাকে (খালেদা জিয়া) ভালো করেছেন। এখনো ওনারা বলতেছে আমরা নাকি ভয় পাই। খালেদা জিয়াকে বিদেশ যেতে দেই না। যেই লোক, যেই দল (বিএনপি) দেশে থেকে অশ্ব ডিম্ব পাড়ে, সে বিদেশে গিয়ে কি করতে পারবে বলেন।

মন্ত্রী বিএনপি সভানেত্রী খালেদা জিয়ার বারবার বিদেশ যেতে চাওয়া নিয়ে প্র্রশ্ন তুলে বলেন, ‘যখন দেশে সব পরিবহন বন্ধ তখন তিনি বিদেশ যেতে চান। দেশের চিকিৎসায় যদি তিনি ভালো হন, তাহলে কেন বিদেশ যাবেন।’

তিনি বলেন, আমরা যদি বাংলাদেশে থেকে মানুষকে সুস্থ করতে পারি, তাহলে কি বিদেশ যাওয়ার দরকার আছে। বিদেশে যাওয়ার কি দরকার আছে, আপনারাই বলেন।

জনসভায় আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক আরও বলেন, লকডাউনের জন্য যারা ঘর থেকে বের হতে পারেননি, কর্মজীবী মানুষ, যারা কর্ম করতে পারে না, পেশাজীবী মানুষ, যারা পেশা করতে পারে নাই, যারা শিক্ষক ক্লাশ করতে পারে নাই, সকলের জন্য প্রণোদনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

সকলের জন্য এক লাখ ৩২ হাজার কোটি টাকার বেশি প্রণোদনা দিয়েছেন তিনি।
মন্ত্রী জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন বলেন, ‘আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। ভোট দিয়ে আপনাদেরকে প্রমাণ করতে হবে যে আপনারা গণতন্ত্র চান। আপনাদেরকে প্রমাণ করতে হবে আপনার ভোট দিতে পারেন। ভোটের জন্য জনগণ যেভাবে চায় সেভাবে পরিবেশ করে দেয়া হবে। নির্বাচন ইনশাল্লাহ্ সুষ্ঠু হবে।

জনসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আখাউড়া পৌরসভার মেয়র মোঃ তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুমানা আক্তার, মুক্তিযোদ্ধা জমসেদ শাহ্, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান পিয়ারা আক্তার পিওনা, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু, সাধারন সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন নয়ন প্রমুখ৷

জনসভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, মন্ত্রীর একান্ত সচিব মোঃ নূর কুতুবুল আলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান, কসবা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কায়সার ভূঁইয়া জীবন প্রমুখ।

এর আগে মন্ত্রী রেলপথে আখাউড়ায় আসেন। পরে বিকেলে কসবায় প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধনের কথা রয়েছে।

আখাউড়ায় ৩৮টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় এ বছর ২২টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। বুুুুুুধবার আখাউড়া থানা হলরুমে পুলিশের সাথে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের মতবিনিময় সভায় এই তথ্য জানানো হয়।

আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আখাউড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী আবদুল খালেক, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারন সম্পাদক চন্দন কুমার ঘোষ, পূজা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক দীপক কুমার ঘোষ, ধরখার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বিমল কর্মকার, শ্রী শ্রী রাধামাধব আখড়া কমিটির সাধারন সম্পাদক অলক কুমার চক্রবর্তী, পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব বিশ্বজিৎ পাল বাবু, দশভুজা মন্দির সভাপতি রতন পাল, দেবগ্রাম শিব মন্দির সভাপতি কালিপদ দাস, দাসপাড়া পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি রতি রঞ্জন দাস, পূজা উদযাপন কমিটির সদস্য সুমন সেন গুপ্ত, সুভাষ দাস, কানু লাল পাল প্রমুখ।

পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্য সাংবাদিক জুটন বনিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বলা হয়, গত বছর উপজেলায় ১৯টি পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এ বছরও স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজা উদযাপন করা হবে।

মত বিনিময়কালে প্রতিটি পূজা মন্ডপের সভাপতি, সম্পাদকসহ হিন্দু ধর্মালম্বীদের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন৷

আখাউড়ার ২২টি মন্ডপে অনুষ্ঠিত হবে দুর্গাপূজা


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ৪০টি পরিবারের মধ্যে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেছে “ স্বপ্নতরী” নামে একটি সামাজিক সংগঠন।  শুক্রবার সকালে উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের রামধননগর গ্রামের ওই অন্ধপল্লীতে এই খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের হাতে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুমানা আক্তার। প্রতিটি পরিবারের মধ্যে ৫ কেজি চাল, ২ কেজি পেঁয়াজ, ২ কেজি আলু, ১ কেজি আটা, ১ কেজি লবণ ও ৫০০ গ্রাম মসুর ডাল দেয়া হয়।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম বলেন, সংগঠনের সদস্যরা স্বেচ্ছায় চাঁদা দিয়ে বিভিন্ন সময় গরীব অসহায় মানুষকে খাদ্য, বস্ত্র ও শিক্ষা সামগ্রী দিয়ে সহযোগিতা করে থাকে। এরই অংশ হিসেবে শুক্রবার অন্ধপল্লীতে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ সাইফুল ইসলাম, সংগঠনের সহ-সভাপতি সফিকুল ইসলাম জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।

আখাউড়ায় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ইটবাহি নৌকার ধাক্কায় ভেঙ্গে গেছে একটি সেতু। প্রায় ২২ বছর আগে অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে
শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে ইঞ্জিনচালিত একটি নৌকার ধাক্কায় সেতুটির প্রায় অর্ধেক ভেঙ্গে যায়। এতে নৌকায় থাকা খালেক নামে এক ব্যক্তি আহত হন। তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের বনগজ ও কৃষ্ণনগর গ্রামের বিলের মাঝামাঝি সেতুটি নির্মাণ করা হয়। তবে সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতুটি মানুষের কোন কাজে আসেনি। স্থানীয় একাধিক সূত্র নৌকার ধাক্কায় সেতুটি ভেঙ্গে যাওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে। তবে সেতু বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষের কেউ শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটা নাগাদ ঘটনাস্থলে যাননি। যে কারণে তাদের কাছ থেকে সঠিক কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের বনগজ ও কৃষ্ণনগর গ্রামের বিলের মাঝামাঝি সেতুটির অবস্থান। বনগজ ও কৃষ্ণনগর গ্রামসহ উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের ভবানীপুর এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ঘাটিয়ারা ও বরিশল গ্রামের মানুষের চলাচলের কথা চিন্তা করে ১৯৯৯ সালে এলজিইডি সেতুটি নির্মাণ করে। কিন্তু সেতুটি সমতল থেকে ১৫ ফুট উঁচুতে নির্মাণ করা ও এর সাথে সড়ক সংযোগ না থাকায় মানুষের কোনো কাজে আসছিলো না।
স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) বাস্তবায়ন করা সেতুটির দৈর্ঘ্য ১২০ ফুট ও প্রস্থ আট ফুট।

আখাউড়া উপজেলার বনগজ গ্রামের বাসিন্দা মোঃ কামরুজ্জামাল লালু জানান, শুক্রবার সকাল নয়টার দিকে ইটবাহী একটি নৌকা সেতুর মাঝখানের পিলারের সাথে ধাক্কা খায়। এতে সেতুটির একাংশ পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়ে। ভেঙ্গে পড়া অংশ পড়ে নৌকাটিও ডুবে যায়।


একই এলাকার মোঃ আরমান ও আবদুল্লাহ নামে দুই যুবক জানান, সেতুটি এলাকার মানুষের কোনো কাজে আসছিলো না। সেতু যেখানে করা হয় সেখানে অন্য কোনো যানবাহন তো দূরের কথা বাই সাইকেলও চলে না। শুক্রবার সকালে নৌকার ধাক্কায় সেতুটি ভেঙ্গে যায়। বিষয়টি দেখতে পেয়ে তারা সেখানে ছুটে আসেন।

ইটবাহি নৌকার মাঝি মোঃ রফিক মিয়া বলেন, জেলার সরাইল থেকে ৭ হাজার ইট নিয়ে তিনি আখাউড়া উপজেলার গোলখার এলাকায় যাচ্ছিলেন। ওই সেতুর নিচে যাওয়া মাত্র পানির তোড়ে নৌকার একটি অংশ সেতুর সাথে সামান্য ধাক্কা খায়। এতে সেতুর অংশ ভেঙ্গে নৌকা পড়ে। এতে নৌকাটি ডুবে যায়।

এ ব্যাপারে আখাউড়া উপজেলা এলজিইডি’র উপ-সহকারি প্রকৌশলী মোঃ জহিরুল ইসলাম বলেন, সেতু ভেঙ্গে পড়ার খবর তারা পেয়েছেন। তবে কতটুকু কি হয়েছে সে সম্পর্কে তিনি নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছেন না। ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে তিনি রওয়ানা হয়েছেন।

আখাউড়ায় নৌকার ধাক্কায় ভেঙ্গে গেছে সেতু

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
আইন মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এমপি বলেছেন, খুনি জিয়াউর রহমান শুধু বঙ্গবন্ধুর হত্যার সাথেই জড়িত ছিল তা নয়, তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও আইনের শাসনেও বিশ্বাস করতেন না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদের বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসাবে বিভিন্ন দেশের কুটনৈতিক মিশনে চাকরি দিয়ে জিয়াউর রহমান সেটা বুঝিয়ে দিয়েছেন।
রোববার সকালে আখাউড়া উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬ তম শাহাদৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির ভার্চুয়ালি বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুমানা আক্তারের সভাপতিত্বে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এমপি আরও বলেন, আমরা বড় হয়েছি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে। কিন্তু যারা বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারকে হত্যা করেছিল তারা চেয়েছিল বঙ্গবন্ধুর রক্ত মুছে দিলেই বাংলাদেশের মানুষকে পাকিস্তানের পথে ফিরিয়ে নিতে পারবে।  শেখ হাসিনা সরকারের অঙ্গীকার বঙ্গবন্ধুসহ সকল হত্যাকান্ডের বিচার করা হবে।  আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি, যতক্ষণ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত বাকি খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করা না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদেরকে ধরে আনার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভূঁইয়া, পৌর সভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ সাইফুল ইসলাম, আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাছরীন সফিক আলেয়া, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার সৈয়দ জমশিদ শাহ প্রমুখ।

আখাউড়ায় জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় আইনমন্ত্রী 

ফেসবুকে আমরা..