স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
শিশু শাহাব উদ্দিন। বয়স মাত্র ১২ বছর। যে বয়সে তার স্কুলে যাওয়ার কথা সেই বয়সেই অভাব অনটনের কারনে জীবন-জীবিকার সংগ্রামে নেমে পড়ে সে। একটি ভ্যান গাড়ি নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে পুরাতন জিনিসপত্র কুড়িয়ে সেগুলো বিক্রি করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের ভিটিদাউদপুর গ্রামের উত্তর পাড়ার মরহুম চামবিচা মিয়ার ছেলে শাহাব উদ্দিন। তিন বোন, চার ভাইয়ের মধ্যে শাহাব উদ্দিন চতুর্থ। তার বড় তিন বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। বড় ভাই মাঈনুদ্দিন-(১৮) রাজমিস্ত্রীর কাজ করেন। তিনিও বিয়ে করে নিজের সংসার নিয়ে ব্যস্ত। শাহাবউদ্দিনের ছোট এক ভাই প্রথম শ্রেনীতে পড়ে আরেক ছোট ভাইয়ের বয়স মাত্র ৬ বছর।
শাহাব উদ্দিনের বাবা মারা গেছেন বহু বছর আগে। বাবা মারা যাওয়ার পর বাধ্য হয়ে সংসারের হাল ধরেন শাহাব উদ্দিন। অভাব অনটনের কারনে দ্বিতীয় শ্রেনী পর্যন্ত লেখাপড়ার পর আর সে লেখাপড়া করেনি।
শাহাব উদ্দিন বলেন, প্রতিদিন সকাল ৮টায় ৩০ টাকা ভাড়ায় একটি ভ্যান গাড়ি নিয়ে সে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে। রাস্তা ও বাড়ি-ঘরের আশপাশে পড়ে থাকা পুরানো জিনিসপত্র কুড়িয়ে এগুলো ভাঙ্গারির দোকানে বিক্রি করে। প্রতিদিন সংসারের খরচ মেটানোর জন্য বড় ভাই মাঈনুদ্দিনের কাছে ১০০ টাকা দেয়। বাকী টাকা পরিচিত একজনের কাছে জমা রাখে।
শাহাব উদ্দিন জানায়, রাস্তায় রাস্তায় পুরাতন জিনিসপত্র কুড়াতে ভালো লাগেনা। তাই একটি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক কেনার জন্য সে টাকা জমাচ্ছে। শাহাব উদ্দিন জানান একটি ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক কিনতে ৩৫ হাজার টাকা প্রয়োজন। দুই বছরে সে ৭ হাজার টাকা জমিয়েছে। এভাবে টাকা জমিয়ে এ সময় সে একটি ইজিবাইক কিনবে এটাই তার স্বপ্ন।
Leave a Reply