সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রাতের আঁধারে বুলডোজার দিয়ে বাড়ির সীমানা প্রাচীর গুড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় আল্লাহর উপর বিচার ছেড়ে দিয়েছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব হারুণ-আল-রশিদ।
সোমবার বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কাউকে দোষারোপ করছি না। আমি আল্লাহ ও আইনের উপর বিচার ছেড়ে দিলাম।’
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্ত ক্লিনিকের জায়গাটি ১৯৫৬ সালের ৩১ মার্চ তাঁর মা ক্রয়সূত্রে মালিক হন। ওই বাড়ির ভেতর দিয়ে হাসপাতালের ময়লা যাওয়ার ড্রেনটি পাকা করে দেয়ার শর্তে ১৯৬৯ সালের ৮ অক্টোবর চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত দেয় পৌরসভা। ১৯৮৮ সালে মায়ের কাছ থেকে দান সূত্রে তিনি মালিক হন। এখানে জেলা পরিষদের কোনো জায়গা নেই।
সংবাদ সম্মেলনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলামসহ বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্য শেষে হারুণ অর রশিদ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন।
তিনি বলেন, ‘যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তারা শহরের চিহ্নিত ও প্রভাবশালী ভুমিদস্যু। ভাঙচুর ও লুটপাটে যে ক্ষতি হয়েছে আমি এর ক্ষতিপূরণ দাবি করছি।’ ঘটনার পর বস্তুনিষ্ঠ খবর প্রকাশ করায় তিনি সাংবাদিকদের প্রশংসা করেন।
উল্লেখ্য গত ১৩ আগস্ট গভীর রাতে বুলডোজার দিয়ে সদর হাসপাতালের সামনে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান হারুণ আল রশিদের মালিকানাধীন ভবনের ভাড়াটিয়া প্রতিষ্ঠান মডার্ণ এক্সরে ও প্যাথলজি ক্লিনিকের সীমানা প্রাচীর গুড়িয়ে দেয়া হয়। লুটপাট চালানো হয় ওই ক্লিনিকে। এ ঘটনায় মামলা হলে পুলিশ দুইজনকে গ্রেপ্তার করে।
এর আগে সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে জনসাধারণের চলাচলের জন্য খুলে দিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিশু চিকিৎসক মো. জাকারিয়া গত ৩ জুলাই পৌরসভার কাছে আবেদন করার পরই এ ঘটনা ঘটে। হারুণ-আল-রশিদের জায়গার পিছনেই ডাঃ জাকারিয়ার তত্ববধানে ডাঃ জাকারিয়া মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতাল নির্মান হওয়ার কথা রয়েছে।
###
Leave a Reply