সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে শিরিনা খাতুন-(১৪) নামে এক মাদরাসা ছাত্রী।বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট পঙ্কজ বড়–য়ার নেতৃত্বে গঠিত ভ্রাম্যমান আদালত সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের বেপারীপাড়া গ্রামে বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হয়ে বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দেন।
ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের বেপারীপাড়ার দিলদার হোসেনের কন্যা ও স্থানীয় একটি আলিয়া মাদরাসার নবম শ্রেণীর ছাত্রী শিরিনা খাতুনের সাথে একই এলাকার আবদুল আওয়ালের ছেলে দ্বীন ইসলামের বিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার স¤পন্ন হওয়ার কথা ছিলো।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিষয়টি জানতে পেরে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট পঙ্কজ বড়–য়ার নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হয়ে বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দেন। এ সময় বর দ্বীন ইসলামকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং মেয়ের পিতা দিলদার হোসেন এবং বরের পিতা আবদুল আওয়ালকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং মেয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেনা মর্মে মুচলেকা আদায় করা হয়।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়–য়া বলেন, বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন-২০১৭ এর ১ ধারায় বর দ্বীন ইসলামকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং বর ও কনের পিতাকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। তিনি বলেন, বাল্য বিয়ের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
###
Leave a Reply