উৎপাদন অব্যাহত রাখার দাবিতে আশুগঞ্জ সার কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীদের বিক্ষোভ

botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সার কারখানার উৎপাদন অব্যাহত রাখার দাবিতে গতকাল সোমবার কারখানার প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীরা।

সোমবার সকালে কারখানার প্রধান ফটক অবরোধ করে এই বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ চলাকালে প্রধান ফটক দিয়ে কারখানা থেকে কমান্ড এরিয়াভুক্ত ৭ জেলায় এক ঘন্টা সার সরবরাহ বন্ধ ছিল।

সমাবেশে আগামী ১১ এপ্রিল অবস্থান কর্মসুচি ঘোষনা দিয়েছে শ্রমিক-কর্মচারীরা। কতৃপর্ক্ষ সিদ্ধান্ত বদল না করলে আরো কঠোর আন্দোলনের কর্মসুচি দেয়া হুশিয়ারী দিয়েছেন।

সমাবেশে আশুগঞ্জ সার কারখানা শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি বাবুল মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন আশুগঞ্জ সার কারখানা শ্রমিক-কর্মচারি ইউনিয়নের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাঈফ উদ্দিন ফারুকী, সহ-সভাপতি হাজী মোঃ তৈমুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহিদুর রহমান প্রমুখ। সমাবেশ শেষে কারখানার প্রধান ফটক থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে কারখানার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীরা জানান, দীর্ঘদিন কারখানায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকার কারনে কারখানার উৎপাদন বন্ধ ছিলো। বর্তমানে কারখানায় এলএনজি গ্যাস চালুর পর বর্তমানে কারখানায় গ্যাসের কোন সংকট নেই। চলতি অর্থ বছরে (জুন মাস পর্যন্ত) বিসিআইসি কর্তৃপক্ষ কারখানাকে দেড় লাখ মেট্টিক টন সার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করে দেয়। এ পর্যন্ত কারখানায় উৎপাদন হয় ১লাখ ১৬ হাজার মেট্টিকটন ইউরিয়া সার। লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়ার বাকি রয়েছে আরো ৩৪ মেট্টিক টন। এমনি অবস্থায় আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে কারখানার কুলিং টাওয়ারসহ বিভিন্ন প্লান্টের যন্ত্রাংশ মেরামতের জন্য আড়াই মাসের জন্য উৎপাদন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় কারখানা কর্তৃপক্ষ। তারা বলেন, এতে করে কারখানাকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করার সুযোগ থাকলেও আড়াই মাস বন্ধের সিদ্ধান্তে চলতি অর্থ বছরে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে না। এ জন্য এই অর্থবছরেও লোকসানের মুখে পড়বে কারখানাটি। এতে করে লভ্যাংশ, বোনাসসহ আর্থিক ভাবে শ্রমিক-কর্মচারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
কারখানার শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন বলেন, অবিলম্বে কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করলে আগামী ১১ এপ্রিল অবস্থান কর্মসুচি থেকে আরো কঠোর আন্দোলনের কর্মসুচি দেয়া হবে।

এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ সার কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবিবুর রহমান বলেন, কারখানার বিভিন্ন প্লান্টের ক্রটি থাকায় জরুরি মেরামত না করলে কারখানার বিরাট ক্ষতি হবে। বিসিআইসির পরিচালনা পর্ষদের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে কারখানার উৎপাদন বন্ধ করে মেরামত কাজ করা হবে। ইতিমধ্যে বিদেশী বিশেষজ্ঞদের আমন্ত্রন জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের বিষয়ে বিসিআইসি সিদ্ধান্ত নিবে। বিষয়টি বিসিআইসি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
###

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরো খবর

ফেসবুকে আমরা..