botvনিউজ:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি নাজমুল হক ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষের বাড়িতে দফায় দফায় হামলা-ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।
এলাকায় প্রভাব বিস্তার ও একটি স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির পদ নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা করা হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজন জানান। তবে অভিযোগকারীরা বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হকের নেতৃত্বে তার অনুসারীরা ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হক তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
অভিযোগকারীরা জানান, ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হকের নেতৃত্বে তার অনুসারীরা নাটাই (দক্ষিণ) ইউনিয়নের নরসিংসার গ্রামের বাসিন্দা শামীম উন বাছিরের বাড়িতে গত রবিবার সন্ধ্যায় ও সোমবার সকালে দুই দফায় এই ভাংচুর ও লুটপাট চালায়।
হামলাকারীরা বাছিরের বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভেঙে ফলে, ঘরের টিনের বেড়া ভাংচুর করে জিনিসপত্র লুটপাট করে বলে অভিযোগ করা হয়।
শামীম উন বাছিরের ছোটবোন তাহমিনা আম্বিয়া জ্যোতি বলেন, এলাকার একটি স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুলের সাথে তার ভাইয়ের বিরোধ চলে আসছে। গত রবিবার সন্ধ্যায় তাদের শহরের মৌলভীপাড়াস্থ বাসার সামনে বাছিরের সাথে চেয়ারম্যানের বাগবিতণ্ডা হয়। এর জের ধরে চেয়ারম্যান ও তাঁর লোকজন তাদের বাড়িতে দু’দফা হামলা-ভাংচুর চালায়।
বাছিরের খালাতো ভাই কামাল উদ্দিন বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হকের সাথে বাছিরের নানা বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছে। এসবের জের ধরে চেয়ারম্যান ও তাঁর সমর্থকরা বাছিরের বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। ঘটনার পর চেয়ারম্যানের সমর্থকরা নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হক সাংবাদিকদের বলেন, গত রবিবার সন্ধ্যায় বাছির আমাকে তাঁর বাড়ির সামনে লাঞ্ছিত করেছে। আমি এ ঘটনায় রাতেই থানায় মামলা দায়ের করেছি। বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার জন্য সে নিজেই তাঁর বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, ভাঙচুরের বিষয়টি এলাকার লোকজনের মাধ্যমে শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো। তবে এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
###
Leave a Reply