উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেয়েছে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী

botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেয়েছে সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রী। গত সোমবার বিকেলে উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের উপজেলার বগইর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র ও স্থানীয়রা জানান, গত সোমবার বিকেলে বগইর গ্রামের মাদ্রাসায় সপ্তম শ্রেণীতে পড়–য়া ছাত্রীর সাথে সরাইল উপজেলার কুট্টাপাড়া গ্রামের ইব্রাহিম ঠাকুরের ছেলে জিএম ঠাকুরের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল।

বিয়ে উপলক্ষে কনে বাড়িতে গেইটসহ প্যান্ডেলও নির্মান করা হয়। দুপুরে বরযাত্রীসহ বর উপস্থিত হন কনে বাড়িতে। এরপর শুরু হয় খাবারের পর্ব।
বিষয়টি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী বাইন হীরা। তিনি তাৎক্ষনিক গিয়ে হাজির হন কনে বাড়িতে। তিনি বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দেন। পরে কনের বাবা ও পরিবারের সদস্যরা কনেকে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবে না মর্মে মুচলেকা দেন।

পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরে মৌসুমী বাইন হীরা দূর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউল করিম খানের জিম্মায় কনেকে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেন। এ সময় উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা তাসলিমা আক্তার উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী বাইন হীরার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বাল্য বিয়ে বন্ধ করার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, বলেন, বাল্য বিবাহ রোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন।
###

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরো খবর

ফেসবুকে আমরা..