botv নিউজ:
বর্তমানে আমাদের দেশের যুব সমাজের অধঃপতনের অন্যতম প্রধান কারণ মাদকাসক্তি। দেশের যুবসমাজের একটি বড় অংশ আশংকাজনক ভাবে মাদক হিসেবে ব্যবহৃত ইয়াবার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে। মাদকের টাকা জোগাড় করার জন্য মাদকাসক্ত যুব সমাজ বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক কার্যকলাপ, অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অবৈধ কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে।
“বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র্যাব যুব সমাজ তথা বাংলাদেশকে মাদকের ভয়াল থাবা থেকে রক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দেশব্যাপী বিভিন্ন মাদক ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আপোষহীন অবস্থানে থেকে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে যা দেশের সর্বস্তরের জনসাধারন কর্তৃক ইতোমধ্যেই বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্প গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, একটি মাদক ব্যবসায়ী চক্র নিয়মিত সীমান্ত এলাকা হতে মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে বিভিন্ন সময় সদর থানাসহ বি-বাড়িয়া জেলার বিভিন্ন স্থানে পাইকারি/খুচরা বিক্রয় করে থাকে। এই তথ্যের ভিত্তিতে উক্ত মাদক ব্যবসায়ী চক্রের উপর র্যাবের নিরবিচ্ছিন্ন গোয়েন্দা নজরদারী চালানো হয় এবং তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায়। র্যাব ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক এডি চন্দন দেবনাথ এর নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল
২৩/০৭/২০১৮ ইং ২০.০০ ঘটিকায় বি-বাড়িয়া জেলার সদর থানাধীন ১। মোঃ রাজন (২৮) পিতা- মোঃ আব্দুল মালেক ২। বাপ্পী রায় (২৫) পিতা- বাবুল রায় ৩। জীবন চক্রবর্তী (২৬) পিতা- রনজিত চক্রবর্তী- ৪। রাজু দাস (৩০) পিতা- সবুত দাস সর্বসাং- পূর্ব পাইকপাড়া, থানা- সদর, জেলা- বি-বাড়িয়াদ্বয়কে আটক করেন। পূর্ব পাইকপাড়া জনৈক বাবুল রায়ের বাড়ীতে আসামীদের দেহ তল্লাশী করে তাহাদের দেহের পরিহিত পোষাক থেকে ৫৬ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও অপর আসামী মোঃ কুদ্দুস মিয়া (৫৫) পিতা- মৃতঃ আব্দুল মোতালেব মোল্লা সাং- নাটাই, থানা- বি- বাড়িয়া সদর, জেলা- বি- বাড়িয়া তার দেখানো মতে শয়ন ঘরের খাটের নিচ থেকে ১.৫০০ কেজি মাদক দ্রব্য গাঁজা উদ্ধার করা হয়। সর্বমোট উদ্ধারকৃত আলামতের আনুমানিক মূল্য ৩৭,৪০০/- টাকা। ধৃত আসামীদের বিরুদ্ধে ১৯৯০ সনের (সংশোধনী ২০০৪) এর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯(১) টেবিল ৭(ক)/ ৯(খ)/২৫ ধারা মোতাবেক বি-বাড়িয়া জেলার সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
###
Leave a Reply