Botvনিউজ:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের চন্ডারখিলের রহিমপুরে যুবকের হত্যা রহস্যের ঘোর কাটেনি।এলাকায় থমথমে পরিবেশ। হত্যা মামলা আসামীরা এলাকা ছাড়া । সাত বছর আগে স্বামী আর এখন উপযুক্ত ছেলে হারিয়ে ছোট ছোট ৬ ছেলে-মেয়ে নিয়ে দিশাহারা মা’র আকুল আবেদন।
১৫ জানুয়ারি রোজ সোমবার রানা-১৮ কে ডিস লাইনের কাজ করার সুযোগ করে দিবে বলে সন্ধ্যায় বাড়ী থেকে নিয়ে যায় সেলুনের কর্মচারী জাহাঙ্গীর।
দুইদিন পার হলেও রানার কোনো খোজ পাওয়া যায়নি। ১৭ জানুয়ারি বিকাল বেলায় জাহাঙ্গীর রানার চাচাত ভাই বিল্লাকে ফোন করে জানতে চাই রানা কোথায়। বিল্লাল বিষয়টা রানার মাকে জানায়। রানা মা জাহাঙ্গীরকে ফোন করে বলে রানা তো সোমবারে সন্ধ্যায় তুমি ডিসের কাজ দিবে বলে বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে গেলা । আমার ছেলেকে তো তুমি নিয়ে গেছ এখন দুই দিন পর আমাকে ফোন দিয়ে বল আমার ছেলে রানা কয়..? তুমি আমার ছেলেকে নিয়া গেছ তুমিই আমার ছেলে খোয়জা বাইর কইরা দেও। কথা কাটকাটির এক পর্যায়ে জাহাঙ্গীর বলে কথা বরখেলাপ করলে এমনই হয়।এই কথা বলে ফোন কেটে দেয় । তারপর আ ফোনে জাহাঙ্গীকে পাওয়া যায় না। এরপর রানার মা সহ এলাকাবসী রানাকে পাগলের মতো খোজতে থাকে।
এই ঘটনার একদিন পর ১৯জানুয়ারি রোজ শুক্রবার চন্ডারখিল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুকুরে এলাকাবাসী রানার লাশ দেখে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করে । এই ব্যাপরে রানার মা বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামী করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘনটার দুই সপ্তাহ হলেও কোনো আসামী ধরা পরেনি।
অন্য দিকে মামলা প্রধান আসামী মাদক ব্যবসায়ী মনির ও তার স্ত্রী চম্পার বসতবাড়ী ভেঙ্গে তাদেরকে এলাকা ছাড়া করে।
এই ব্যপারে সদর থানার অফিসার ইন্চার্জ মে: নবীর হোসেন জানান, মামলা তদন্ত চলছে।
Leave a Reply