স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় দায়িত্ব পালনকালে পিকআপের ধাক্কায় মোস্তফা কামাল-(৫৭) নামে পুলিশের এক উপ-পরিদর্শক (এসআই) নিহত হয়েছেন। গতকাল (১৭ জুন) ১১টায় কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়নের কালামুড়িয়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত মোস্তফা কামাল ফেনী জেলার ফুলগাজী উপজেলার পৈহারা গ্রামের মরহুম হাজী আলী আজমের ছেলে। তিনি কসবা থানার এসআই হিসেবে কর্মরত ছিলেন। নিহত মোস্তফা কামাল দুই সন্তানের জনক। তার ছেলে রিফাত উল্লাহ সৈকত-(২২) ঢাকায় ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজে এবং মেয়ে মাহফুজা ইয়াসমিন চম্পা-(২৫) বিবিএ অধ্যয়নরত।

জেলা পুলিশ থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এস.আই মোস্তফা কামাল বৃহস্পতিবার রাতে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়নের কালামুড়িয়া এলাকায় ফোর্স নিয়ে মহাসড়কে দায়িত্ব পালন করার সময় দ্রুতগামী একটি পিকআপ এস.আই মোস্তফা কামালকে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে তিনি মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক আঘাত পান।
আহতবস্থায় সাথে থাকা কনস্টেবলরা তাকে উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ২৫০শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। রাত ১২টার দিকে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মির্জা মোহাম্মদ সাঈদ তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মোল্লা মোহাম্মদ শাহিনসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা হাসপাতালে ছুটে আসেন।

এ ব্যাপারে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর ভূঞা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহত এসআইয়ের লাশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে আছে। তিনি বলেন ঘাতক পিকআপটি চাপা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ায় আটক করা সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মোল্লা মোহাম্মদ শাহিন বলেন, এসআই মোস্তফা কামাল দায়িত্ব পালন কালে পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় আহত হন। পরে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। ঘাতক পিকআপ ভ্যানটিকে আটক করা সম্ভব হয়নি। আমরা পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেব।

কসবায় পিকআপের ধাক্কায় পুলিশের এসআই নিহত


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিণবেড় গ্রামবাসী ও যুব সমাজের উদ্যোগে হরিণবেড় মিনিবার ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২১ -এর ফাইনাল খেলা গতকাল (১৭ মে) বিকেলে হরিণবেড় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।

ফাইনাল খেলা প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন ও পুরস্কার বিতরণ করেন হরিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজী মোঃ ফারুক মিয়া।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অরুন জ্যোতি ভট্রার্চায, উপজেলা যুবলীগ নেতা মহিদুজ্জামান টিটু, দুলন খান, সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা প্রভাষক নির্মল চৌধুরী, ইউপি সদস্য প্রফুল্ল দাস, মোহন লাল দাস, অ্যাডভোকেট অনতুষ দাস, আয়োজক কমিটির সদস্য আশুতোষ দাস, রসরাজ দাস, পল্টন দাস প্রমুখ।

ফাইনাল খেলায় হরিণবেড় সিনিয়র একাদশ দল ও জুনিয়র একাদশ দল মুখোমুখী হয়। খেলায় হরিণবেড় জুনিয়র একাদশ টাইব্রেকারে ২-১ গোলে সিনিয়র একাদশকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়। খেলা শেষে প্রধান অতিথি চ্যাম্পিয়ন দলকে এলইডি টিভি প্রদান করেন। উল্লেখ্য এই ফুটবল টুর্নামেন্টে মোট ১০ টি দল অংশ গ্রহন করে।

নাসিরনগরে মিনিবার ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) বাস্তবায়নাধীন “উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্প”-এর উদ্যোগে উদ্যোক্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ মেহেদী মাহমুদ আকন্দের সভাপতিত্বে ও উদ্যোক্তা বাছির দুলালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো.মেহেদী মাহমুদ আকন্দ এর সভাপতিত্বে ও সফল উদ্যোক্তা বাছির দুলালের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বিশেষ অতিথি পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবীর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি, সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন, বিডা ব্যবস্থাপনা পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক আলহাজ্ব মোহাম্মদ শাহ-আলম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) কর্তৃক উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্পটি সময় উপযোগী সিদ্ধান্ত। বর্তমানে বিডার প্রশিক্ষণ গ্রহনের পর সারাদেশে ১ হাজার কোটি টাকার উপর বিভিন্ন পর্যায়ে উদ্যোক্তারা বিনিয়োগ করেছেন। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রায় ৭শত উদ্যোক্তা ২৩ কোটি টাকার মতো বিনিয়োগ করেছেন। তিনি বলেন, চাকুরী প্রত্যার্শীর সংখ্যা কমে উদ্যোক্তার সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেই আমরা উন্নত বাংলাদেশ সৃষ্টি করতে পারবো। তিনি বলেন, প্রশিক্ষনার্থীরা যাতে সফল উদ্যোক্তা হতে পারেন সে ব্যাপারে আমরা সব সময় তাদেরকে সহযোগীতা করবো। আলোচনা সভা শেষে ৯০ জন উদ্যোক্তার মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উদ্যোক্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার হুরল বিলে মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে। আজ সকালে উপজেলা মৎস্য বিভাগের উদ্যোগে উপজেলার জেঠাগ্রামের দক্ষিণপাশে হুরল বিলের মাঠে দেশীয় প্রজাতির মাছের ৪৭০ কেজি পোনা অবমুক্ত করা হয়।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডাঃ রাফি উদ্দিন আহমেদ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার হালিমা খাতুন এসব পোনা অবমুক্ত করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলার গোকর্ণ ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক ছোয়াব আহমেদ হৃতুল, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শুভ্র সরকার, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা ফারহানা খন্দকার, সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সজিব কুমার চৌধুরী, ক্ষেত্র সহকারী শরীফা বেগম, ইউপি সদস্য তসু দাসসহ প্রমুখ।

উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থ বছরের ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি গ্রোগ্রাম ফেজ-২ এর আওতায় উপজেলার উন্মুক্ত জলাশয়ে দেশীয় প্রজাতির মাছের বংশ বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে পোনা মাছ অবমুক্ত করা হয়।

নাসিরনগরে জলাশয়ে মাছের পোনা অবমুক্ত


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
বাংলাদেশ রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ সেলিম রেজা বলেছেন, করোনার পরিস্থিতিতে ভারতে লকডাউনের কারণে রেললাইনের স্লিপার আনতে সময় লাগছে। তবে দ্রুতই আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। আর ২০২৩ সালের মধ্যে আখাউড়া-লাকসাম ডাবল লাইন রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।

আজ ঢাকা থেকে মহানগর ট্রেনে রওয়ানা দিয়ে সকাল সাড়ে ১০টায় রেলসচিব আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে পৌঁছেন।
আখাউড়া-আগরতলা ও আখাউড়া-লাকসাম রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজ নিতেই রেলসচিব আখাউড়ায় আসেন। পরে তিনি একই ট্রেনে লাকসামের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। এর আগে সাংবাদিকের সাথে তিনি কথা বলেন। বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

তিনি বলেন, ভারত থেকে রেললাইনের স্লিপার আনতে হয়। ভারতে এখন লকডাউন শুরু হয়েছে। ভারতের সাথে কাজের সম্পৃক্ততা রয়েছে। এজন্য স্লিপার আনতে সময় লাগছে। করোনার পরিস্থিতির কারণেও সময় লাগছে। সবগুলো প্রকল্পই দ্রুততার সাথে শেষ করতে সবাই চেষ্টা করছে ।

রেলসচিব বলেন, করোনার পরিস্থিতির কারণে সারা বিশ্বের মতো আমরাও অনেকটা পিছিয়ে পড়েছি। আশা করছি ২০২৩ সালের মধ্যেই আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ ও আখাউড়া লাকসাম ডাবল লাইন রেলপথ নির্মাণসহ রেলের সকল নির্মাণ প্রকল্পের কাজ আমরা শেষ করতে পারবো।

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে রেল সচিব বলেন, দ্রুত আমরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের কার্যক্রম চালু করব। ইতিমধ্যেই আমরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে কয়েকটি ট্রেনের যাত্রা বিরতি দেওয়া শুরু করেছি। পুরো উদ্দ্যোমে কাজ চলছে। দ্রুত কাজ শেষ করে স্টেশনের কার্যক্রম চালু করা হবে।

এসময় তিনি আরও বলেন, রেল সম্পূর্ণ একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। আমাদের সরকারি যে বিধি-বিধান আছে সেই অনুযায়ী চলতে হয়। আমাদের স্বাস্থ্যের দিকটি আগে ভাবতে হবে। আপনারা জানেন করোনার কারণে সারা বিশ্বে কি অবস্থা হয়েছে। ট্রেনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে একটি আসন ফাঁকা রেখে আরেকটা আসনে বসে যাত্রীদের যাতায়ত করতে হয়। কেউ যদি নিয়ম না মানে তাহলে রেলের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে মাঠ কর্মকর্তাদের স্পষ্ট নির্দেশনা দেয়া আছে। করোনার এই সময়ে অন্য যে কোনো মাধ্যমের চেয়ে রেলবিভাগ অনেক ভালোভাবে নিয়ম-কানুন মেনে চলছে।
তিনি বলেন, আমি চলন্ত ট্রেনের বিভিন্ন বগিতে গিয়ে যাত্রীদের সাথে কথা বলেছি। তাঁদের কোনো অভিযোগ নেই। তাঁরা আরামদায়কভাবে ট্রেনে ভ্রমণ করছে। প্রধানমন্ত্রী রেলকে একটি আরামদায়ক ও নিরাপদ মাধ্যম হিসাবে গড়ে তুলতে চায়। আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করছি।

এসময় রেলসচিবের সাথে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (পূর্ব) জাহাঙ্গীর আলম, রেলওয়ের ঢাকার বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক সাদেকুর রহমান, ডিটিও মোঃ খায়রুল কবির, ডিসিও মোঃ সৈকত জামিল, আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী সুভক্ত গিল, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম, রেলওয়ে স্টেশন সুপার মো. কামরুল হাসান প্রমুখ।

২০২৩ সালের মধ্যে আখাউড়া-লাকসাম ডাবল লাইন রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দ্বিতীয়ধাপে প্রধানমন্ত্রীর উপহার সরকারি ঘর পাচ্ছেন আরো ৬৮১ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার।

“ আশ্রয়নের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় যাদের জমি নেই, ঘর নেই তাদের পুর্নবাসনের জন্য সরকারি খাস জমিতে নির্মিত হচ্ছে এসব ঘর।

জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় ১২৫টি পরিবার, বিজয়নগর উপজেলায় ১৪৯টি পরিবার, সরাইল উপজেলায় ৩১টি পরিবার, নবীনগর উপজেলায় ১৫টি পরিবার, নাসিরনগর উপজেলায় ৩১টি পরিবার, বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ৬০টি পরিবার, আশুগঞ্জ উপজেলায় ২০ টি পরিবার, কসবা উপজেলায় ২০০টি পরিবার ও আখাউড়া উপজেলায় ৫০ টি পরিবার পাবেন সরকারি এই ঘর। জেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ঘরগুলোর নির্মান কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। আগামী ২০ জুন ৬৮১টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পাবেন প্রধানমন্ত্রীর উপহার এসব পাকা ঘর।

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আশ্রাফ আহমেদ রাসেল জানান, জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ঘর নির্মাণ কাজ ও নির্মাণের কাজের গুনগত মান তদারকি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, নির্মান কাজ এখন শেষ পর্যায়ে।

তিনি আরো বলেন, প্রতিটি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ জমির উপর আধাপাকা ঘর নির্মান করে দেয়া হচ্ছে। দুই কক্ষবিশিষ্ট প্রতিটি আধা পাকা ঘরের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। সবগুলো ঘরই একই নকশায় নির্মিত হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রথম ধাপে জেলায় ১ হাজার ৯১টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে ঘর দেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে জেলার সকল ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে এই কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসা হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দ্বিতীয়ধাপে প্রধানমন্ত্রীর উপহার সরকারি ঘর পাচ্ছেন ৬৮১টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবার


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় উপজেলা তথ্য আপা অফিসের উদ্যোগে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উপজেলা তথ্য কেন্দ্রের উদ্যোগে আজ দুপুর সাড়ে ১২টায় উপজেলার নিদারাবাদ গ্রামে ২৫ জন নারীর উপস্থিতিতে এই উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উঠান বৈঠকে প্রধান আলোচক ছিলেন উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মোঃ আমিনুল ইসলাম।
উঠান বৈঠকে বক্তব্য রাখেন উপজেলা তথ্যকেন্দ্রের তথ্যসেবা কর্মকর্তা মেহের নওরীন খান। উপস্থিত ছিলেন বিজয়নগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক এস.এম. জহিরুল আলম চৌধুরী (টিপু), তথ্যসেবা সহকারী সুস্মিতা সরকার প্রমুখ।

উঠান বৈঠকে শিশুর যথাযথ বিকাশ, অটিজম ও শিশুর মানসিক স্বাস্থ্য, জন্মনিবন্ধন, শিক্ষা, নারীর সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিসমূহ, পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু প্রতিরোধ, পরিবেশ সুরক্ষা ও দুর্যোগকালীন নারী ও শিশুর সচেতনতা, জেন্ডার সমতা, নিরাপদ মাতৃত্ব, বাল্য বিবাহ, ইভটিজিং, মাদক ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, ডেঙ্গু প্রতিরোধসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।

নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ে বিজয়নগরে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ভিজিডি কর্মসূচীর চাল কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে বস্তা পরিবর্তন করে পাচারের সময় হ্যান্ড ট্রলিসহ ১৩শ কেজি চাল জব্দ করেছে পুলিশ। আজ সকালে উপজেলার গোয়ালনগর ইউনিয়নের নৌকা ঘাট থেকে এই চাল জব্দ করা হয়।
স্থানীয়রা ১৩ কেজি চাল জব্দ করার কথা বললেও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দাবি ৯শ কেজি চাল জব্দ করা হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গত মঙ্গলবার (১৫ জুন) গোয়ালনগর ইউনিয়নের ১২৭ জন হতদরিদ্র নারীর মধ্যে ভিজিডি কর্মসূচির তিন হাজার আটশ কেজি চাল বিতরণ করার কথা ছিলো। কিন্তু এসব চালের মধ্যে ১৩শ কেজি চাল কালোবাজারির কাছে বিক্রি করে দেয়া হয়।

বুধবার সকালে গোয়ালনগর নৌকা ঘাটে স্থানীয় বাসিন্দা মমিন মিয়া ও শফিকুল মিয়া এইসব চাল সরকারী বস্তা পরিবর্তন করে অন্য বস্তায় ভরার সময় স্থানীয়রা দেখতে পায়। পরে স্থানীয়রা নৌকা ঘাটে গেলে পাচারকারি মমিন মিয়া ও শফিকুল মিয়া পালিয়ে যায়। এ সময় একটি হ্যান্ড ট্রলিসহ ৪৪ বস্তা (১৩শ কেজি) চাল জব্দ করে স্থানীয়রা।
পরে স্থানীয়রা বিষয়টি পুলিশ, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে এসব চাল জব্দ করে।

গোয়ালনগর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুল হক মিয়া জানান, নৌকা ঘাটে প্রকাশ্যে সরকারী বস্তা পরিবর্তন করে চাল অন্য বস্তায় ভরে পাচার করার সময় আমি এগিয়ে গেলে তারা পালিয়ে যায়। পরে আমি বিষয়টি গ্রামবাসীকে জানালে সবাই মিলে চাল আটক করি। উপজেলা প্রশাসনকে বিষয়টি অবগত হলে পুলিশ এসে চাল জব্দ করে।
এ ব্যাপারে গোয়ালনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আজহারুল হক বলেন, আমি বিষয়টি শুনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি। তিনি বলেন, ১৩শ কেজি নয়, ৯শ কেজি চাল জব্দ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিচুল হক সাংবাদিকদের কাছে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জব্দকৃত চাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের জিম্মায় রাখা হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হালিমা খাতুন বলেন, গোয়ালনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান চাল আটকের বিষয়টি ফোন করে আমাকে অবহিত করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নাসিরনগরে পাচারের সময় ১৩শ কেজি ভিজিডির চাল জব্দ


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
হেফাজতে ইসলামের নারকীয় তান্ডবের দীর্ঘ ৮০ দিন পর অবশেষে গতকাল মঙ্গলবার থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রা বিরতি দিতে শুরু করেছে ট্রেন। মঙ্গলবার সকালে তিতাস কমিউটার ট্রেনের যাত্রা বিরতির মধ্য দিয়ে ধ্বংস স্তূপে পরিণত হওয়া এই স্টেশনটিতে আবারো প্রানচাঞ্চল্য ফিরে আসে। মঙ্গলবার ভোর থেকে স্টেশনে চার জোড়া মেইল ও কমিউটার ট্রেনের যাত্রা বিরতির মধ্য দিয়ে স্টেশনে পুনরায় ট্রেনের যাত্রা বিরতি শুরু হয়েছে। আজ থেকে একটি আন্তঃনগর পারাবত ট্রেনও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় থামবে।

মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তির অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা গত ২৬ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনটিতে হামলা করে ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করে। হামলাকারীরা স্টেশনের কন্ট্রোল প্যানেল বোর্ডসহ মূল্যবান জিনিসপত্র আগুনে পুড়িয়ে দিলে পরদিন ২৭ মার্চ থেকে স্টেশনটিতে সব ধরনের ট্রেনের যাত্রা বিরতি বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ ।

এদিকে স্টেশনটিতে ট্রেনের যাত্রাবিরতি বন্ধ করে দিলে দুর্ভোগে পড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী। তারা বাধ্য হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে জংশন অথবা কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব রেলওয়ে জংশন থেকে ট্রেনে চড়তে হতো। আবার অনেকেই বাসে করে যাতায়ত করতো।

এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনের যাত্রা বিরতি বন্ধ করে দেয়ার পর স্টেশনটির সংস্কার করে পুনরায় ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল, প্রতিবাদ সভাসহ আন্দোলনে নামে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন। গত ৫ জুন সন্ত্রাস প্রতিরোধ মঞ্চ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ব্যানারে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন স্টেশন চত্বরে মানববন্ধন করে। মানববন্ধন থেকে ২০ জুনের মধ্যে ট্রেনের যাত্রাবিরতির ব্যবস্থা না করলে রেলপথ অবরোধের আল্টিমেটাম দেয়া হয় ।

এদিকে গত ১৩ জুন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ডিজিটাল সিগন্যালিং ব্যবস্থা পুনঃস্থাপিত না হওয়া পর্যন্ত স্টেশনটিকে ‘বি’গ্রেড থেকে ‘ডি’গ্রেডে রুপান্তর করে সনাতনি পদ্ধতিতে সীমিত সংখ্যক ট্রেনের যাত্রা বিরতির সিদ্ধান্ত নেয়। এই সিদ্ধান্তের আলোকে মঙ্গলবার ভোর থেকে স্টেশন থেকে চার জোড়া ট্রেনের যাত্রাবিরতি শুরু হয়েছে। সীমিত সংখ্যক ট্রেনের যাত্রাবিরতিতে যাত্রী সাধারণের মধ্যে কিছুটা সন্তোষ ফিরে আসলেও তারা স্থগিতকৃত অবশিষ্ট আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর দ্রুত যাত্রাবিরতির ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাগরিক ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক পিযুষ কান্তি আচার্য্য বলেন, ম্যানুয়েল পদ্ধতিতে যদি পাঁচ জোড়া ট্রেন চালানো যায় তাহলে অবশিষ্ট আন্তঃনগর ট্রেনগুলোও চালানো যাবে। তাই একই পদ্ধতিতে বাকি আন্তঃনগর ট্রেনগুলো থামার ব্যবস্থা করারও দাবি জানান তিনি।

একই দাবি জানান সন্ত্রাস প্রতিরোধ মঞ্চ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংগঠক অ্যাডভোকেট মোঃ নাসির। তিনি বলেন, ঢাকা ও চট্টগ্রামের মধ্যে চলাচলকারী বিভিন্ন আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি না হলে যাত্রীরা ট্রেন থামার সুফল পুরোপুরি ভোগ করতে পারবেন না। তিনি দ্রুত সংস্কার শেষে স্টেশনটিকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে পূর্বে যাত্রা বিরতি দেয়া সকল ট্রেনের পুনরায় যাত্রা বিরতি দেয়ার দাবি জানান।
সরজমিনে দেখা গেছে, ৪ জোড়া ট্রেনের যাত্রা বিরতির মধ্যদিয়ে দীর্ঘ দিন পর আবারো প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেনে। যাত্রা বিরতর খবরে স্বস্তি ফিরে আসে পূর্বাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ এই স্টেশন দিয়ে চলাচলকারী যাত্রীদের মাঝে। সকালে তিতাস কমিউটার ট্রেনের যাত্রা বিরতির মধ্য দিয়ে ধ্বংস স্তূপে পরিণত হওয়া এই স্টেশনটিতে আবারো প্রানচাঞ্চল্য ফিরে আসে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ২ মাস ২০ দিনে অন্তত আড়াই কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে সুরমা মেইল, ময়মনসিংহ এক্সপ্রেস, তিতাস কমিউটার ও কর্ণফুলী এক্সপ্রেসট্রেন যাত্রাবিরতি করেছে। বুধবার ১৬ জুন থেকে নিয়মিত যাত্রাবিরতি করবে ঢাকা-সিলেট রেলপথে চলাচলকারী আন্তঃনগর পারাবত এক্সপ্রেস।

সিগন্যালিং ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পাশ্ববর্তী তালশহর ও পাঘাচং স্টেশনের মাধ্যমে লাইন ক্লিয়ারিং এর কাজ চলবে। ট্রেন থামবে গার্ড এবং চালকের সমন্বয়ে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে।

এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ শোয়েব জানান, সিগন্যালিং ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় গার্ড এবং ট্রেন চালকের সমন্বয়ে ট্রেনে যাত্রী উঠানামা করছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সিগন্যালিং ব্যবস্থা মেরামত করা হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনের যাত্রা বিরতি শুরু

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি বলেছেন, ২০২৫ সালের মধ্যে ৩৫ লাখ মেট্টিকটন খাদ্য শস্য মজুদের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছে সরকার। ইতোমধ্যে ৩০টি পেরি সাইলো একনেকের বৈঠকে পাশ হয়েছে। বিভিন্ন জেলায় ৫টি সাইলো নির্মাণের জন্য টেন্ডারের কাজ প্রক্রিয়াধীন।  আজ দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ১লাখ ৫হাজার মেঃ টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন আধুনিক ষ্টীল সাইলো নির্মানকাজ পরিদর্শন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

চাল আমদানি বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, দেশে চালের চাহিদা না থাকলে চাল আমদানি করা হবে না। চালের চাহিদা থাকলে আমদানি করা হবে। চাহিদার সময় চাল আমদানি করা না হলে চালের দাম একশ টাকা কেজি হতো। প্রয়োজন হলে আমদানি হবে। প্রয়োজন না হলে আমদানি হবে না। তিনি আরো বলেন, খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কৃষি যান্ত্রিকিকরণ সহ কৃষকদের ভর্তুকী ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করছে সরকার।

সরকারি খাদ্য গুদামে চুক্তি অনুযায়ী মিল মালিকদের কাছ থেকে চাল সংগ্রহের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, চুক্তি অনুযায়ী মিল মালিকরা খাদ্য গুদামে চাল সরবরাহ না করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আশুগঞ্জে আধুনিকখাদ্য সংরক্ষণাগার প্রকল্প কাজের অগ্রগতিরবিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ৫৪০ কোটি ৪৫ লাখ, ৪৯ হাজার ২৬৪ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি ২০২০ সালের ৩ এপ্রিল কাজ শেষ করার কথা থাকলেও করোনা ও নানা জটিলতার কারনে কাজের দেরি হচ্ছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা রয়েছে। এর মধ্যে কাজ শেষ করতে পারবে কিনা তা দেখতেই আমরা পরিদর্শনে এসেছি।

সময় বাড়ার কারনে ব্যয় বাড়বে কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, আরো ছয় মাস সময় বাড়লেও ব্যয় বাড়ার কোন সম্ভাবনা নাই।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন ১০লাখ রোহিঙ্গাকে পুষতে হচ্ছে। প্রতিবছর রোহিঙ্গাদের ২০ হাজার শিশু জন্ম নিচ্ছে। এদেরকে খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে সরকার।

পরিদর্শনকালে মন্ত্রীর সাথে ছিলেন, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম (শিউলী আজাদ), খাদ্য ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম, জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিছুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আল মামুন সরকার, আধুনিক ষ্টীল সাইলো প্রকল্পের প্র্রকল্প পরিচালক মোঃ রেজাউল করীম শেখ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার অরবিন্দ বিশ্বাস, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুবীর নাথ চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি প্রমুখ।

পরে মন্ত্রী আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানীর মিলনায়তনে চলতি বোরো সংগ্রহ অভিযানের বিষয়ে চাতাল ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় করেন।

আশুগঞ্জে সাইলোর নির্মানকাজ পরিদর্শনকালে খাদ্য মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার

ফেসবুকে আমরা..