ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় “ভাঙ্গারির” দোকানে মিলেছে বিএ,বিএসএস’র ২৯৪ উত্তরপত্র!

সুুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি “ ভাঙ্গারির” দোকান থেকে উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত বিএ এবং বিএসএস পরীক্ষার ২৯৪টি উত্তরপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। খাতাগুলো বিএ এবং বিএসএস ২০১৮ এর সমাজতত্ব- ২এর।

শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন রোডের একটি ‘ভাঙ্গারির’ দোকান থেকে বিপুল পরিমান এই উত্তরপত্র উদ্ধার করা হয়।

গত ৭ নভেম্বর জেলার কসবা উপজেলার সরকারি আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের সমাজকর্মের প্রভাষক মোঃ ছায়েদুর রহমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় খাতাগুলো হারিয়ে ফেলেছিলেন। গতকাল শনিবার দুপুরে তিনি নিজেই খাতাগুলো খুঁজে পান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সেলিম উদ্দিন ও প্রভাষক ছায়েদুর রহমান উত্তরপত্র পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তবে কসবা উপজেলা সরকারি আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মোঃ ইসহাক ভূঁইয়া বিষয়টি জানে না বলে জানান। তিনি জানান, প্রভাষক ছায়েদুর রহমান বিষয়টি তাঁকে জানান নি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় প্রভাষক ছায়েদুর রহমানের দায়ের করা জিডিতে বলা হয়, তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার বণিকপাড়ায় বসবাস করেন। গত ৭ নভেম্বর বাংলাদেশ উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক কেন্দ্র কুমিল্লা থেকে বিএ এবং বিএসএস পরীক্ষার ২০১৮ এর উত্তরপত্র নিয়ে কুমিল্লা থেকে চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনে করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে আসেন। দুপুর দেড়টার সময় তিনি ট্রেন থেকে নেমে রিকশা ডাকতে যান। পরে এসে দেখেন খাতা ভর্তি বস্তাটি নেই।

এ ব্যাপারে প্রভাষক ছায়েদুর রহমান খাতা খোঁজে পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, টোকাইয়ের মাধ্যমে তিনি নিজেই খাতাগুলো খুঁজে পেয়েছেন। গতকাল শনিবার বিকেলে তিনি স্টেশন রোড এলাকার একটি ভাঙ্গারির দোকান থেকে খাতাগুলো উদ্ধার করেন। সব খাতাই অক্ষত আছে বলে তিনি দাবি করেন।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন জানান, শনিবার এ বিষয়ে থানায় জিডি হয়। থানা পুলিশ ও ওই ব্যক্তি স্টেশনের আশপাশ এলাকায় খাতার খোঁজে নামেন। বিকেলে স্টেশন রোডের একটি ভাঙ্গারির দোকান থেকে খাতাগুলো উদ্ধার করা হয়। ওই প্রভাষক রিক্সা আনতে যাওয়ার সুযোগে টোকাইরা খাতাগুলো নিয়ে যায় বলে তিনি জানান।

এ ব্যাপারে কসবা সরকারি আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মোঃ ইসহাক ভূঁইয়া জানান, বিষয়টি তিনি জানেন না। প্রভাষক ছায়েদুর রহমান বিষয়টি তাঁকে জানান নি।
###

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরো খবর

ফেসবুকে আমরা..