শ্যালিকাকে ধর্ষনের পর হত্যা ধর্ষক নাঈম গ্রেপ্তার ॥ পিতার আত্মহত্যা

botvনিউজঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জুস খাইয়ে স্ত্রীকে অচেতন করে শ্যালিকা তামান্না আক্তার-(১৫) কে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় ভগ্নিপতি নাঈম ইসলামকে-(২৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার ভোররাতে সদর উপজেলার তালশহর (পূর্ব) ইউনিয়নের অষ্টগ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারের পর পুলিশের কাছে শ্যালিকা তামান্না আক্তারকে ধর্ষনের পর চিৎকার করায় হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেছে নাঈম। ধর্ষক নাঈম সদর উপজেলার নাটাই (দক্ষিণ) ইউনিয়নের শালগাঁও গ্রামের বসু মিয়ার ছেলে।

এদিকে, ছেলে নাঈমের অপকর্মের ঘটনায় লজ্জা ও অপমানে আত্মহত্যা করেছে নাঈমের বাবা বসু মিয়া। গতকাল শনিবার ভোরে জেলার নবীনগর উপজেলার গোসাইপুর গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ বসু মিয়ার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত নাঈম পুলিশের কাছে ধর্ষণ ও হত্যার দায় স্বীকার করেছে।

উল্লেখ্য, গত ১৭ জুন শ্যালিকা তামান্না আক্তার তার ভগ্নিপতি নাঈমের বাড়িতে বেড়াতে আসে। ১৯ জুন রাতে নাঈম তার স্ত্রী স্মৃতি আক্তার ও শিশু কন্যা জান্নাতকে আমের জুস খাইয়ে অচেতন করে তামান্নাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর তামান্না চিৎকার শুরু করলে নাঈম শ্বাসরোধ করে জান্নাতকে হত্যা করে। পরদিন সকালে নাঈমের স্ত্রী স্মৃতি আক্তার গ্রামের এক সর্দরকে ডেকে আনলে নাঈম পালিয়ে অষ্টগ্রামে তার মামা শফিক মিয়ার বাড়িতে চলে যায়। সোর্সের মাধ্যমে নাঈমের অবস্থান জানতে পেরে পুলিশ গতকাল শনিবার ভোর রাতে অষ্টগ্রাম থেকে তাকে আটক করে।
###

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরো খবর

ফেসবুকে আমরা..