২৬ ঘন্টা অন্ধকারে সরাইলের ৭ মার্কেট

botvনিউজ:

দীর্ঘ ২৬ ঘন্টা অন্ধকারে রয়েছে সরাইল সদরের ৭ মার্কেট ও অর্ধশতাধিক বাড়ি-ঘর। ফলে ভাদ্র মাসের এই ভ্যাঁসপা গরমে অতিষ্ট হয়ে ওঠেছে জনজীবন। হাসপাতাল মোড়ের বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের সামান্য ক্রুটির জন্য এমন দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় পিডিবি’র কর্মচারিরা। নির্বাহী প্রকৌশলী ছুটিতে তাই গত শনিবার বিকেল থেকে সারারাত দফায় দফায় চেষ্টা করেও সমস্যা সমাধান করতে পারেনি পিডিবি’র লোকজন।

পিডিবি’র লোকজন ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার বিকাল ৫ টার দিকে হঠাৎ করে সরাইল সদরের বিদ্যুৎ চলে যায়। আধা ঘন্টা পর সব জায়গায় বিদ্যুৎ আসলেও বাতি গুলো লাফাতে থাকে। পরে প্রায় ঘন্টা খানেক চলে বিদ্যুৎ যাওয়া আসার খেলা। এক সময় কিছুটা স্থির হয়। কিন্তু হাসপাতাল মোড় থেকে সরাইল সদরে প্রবেশের সড়কের দু’পাশে গড়ে ওঠা মোল্লা মার্কেট (১), মোল্লা মার্কেট (২), হাজী সানু মোল্লা মার্কেট, গার্লস স্কুল রোড মার্কেট, গার্লস স্কুল মার্কেট, মিজান ঠাকুর মার্কেট ও সমুদ্র মার্কেট ছিল গতকাল বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত অন্ধকারে। সেই সাথে মার্কেটের আশপাশের প্রায় অর্ধশতাধিক বাড়িÑঘরেও ছিল না বিদ্যুৎ।

ভাদ্র মাসের এ ভ্যাঁসপা গরমে সারারাত শিশু বাচ্চা নিয়ে ঘুমায়নি অনেকেই। সদ্য সমাপ্ত হওয়া কোরবানীর মাংস নিয়ে সকলেই পড়েছেন অবর্ণনীয় কষ্টে। মাংসকে পঁচনের হাত থেকে রক্ষার জন্য অনেককে গাড়িতে করে অন্যত্র স্বজনদের বাড়িতে পাঠাতেও দেখা গেছে। রাত শেষে গতকাল শনিবার সকাল থেকে অধীর আগ্রহে লোকজন অপেক্ষা করছিল বিদ্যুতের। কিন্তু ছোট সমস্যা বললেও সারাদিনেও সমাধান করতে পারছিলেন না পিডিবি কর্তৃপক্ষ। অবশেষে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে দেখা মিলে কাঙ্খিত বিদ্যুতের।

এ বিষয়ে সরাইল পিডিবি’র (বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাঈনুদ্দিন জুয়েল ২৪ ঘন্টারও অধিক সময় বিদ্যুৎ না থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, একটি ট্রান্সফরমার ডেথ হয়ে গিয়েছিল। আমার লোকজন কাজ করে এটি ঠিক করেছে। তাই এত সময় লেগেছে। জরুরী কাজে ব্যবহারের জন্য অফিসে অতিরিক্ত ট্রান্সফরমার বরাদ্ধ আছে কিনা? এমন প্রশ্নের উত্তেরে তিনি বলেন, আছে। তাও ওইটাকে মেরামত করে নিলাম। এটা আসলে টেকনিকেল বিষয়।
###

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরো খবর

ফেসবুকে আমরা..